আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজাবাসীর সোনাদানা, টাকাপয়সা লুট করছে ইসরাইলের সেনারা। গাজায় ফিলিস্তিনিদের দেওয়া সাক্ষ্য অনুযায়ী, গত ৯২ দিনে (শনিবার পর্যন্ত) ইসরাইলি সেনাবাহিনী আনুমানিক ৯০ মিলিয়ন শেকেল (২ কোটি ৪৫ লাখ ডলার) টাকা, স্বর্ণ ও শিল্পসামগ্রী চুরি করেছে। গাজা মিডিয়া অফিসের বরাত দিয়ে রোববারের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আনাদোলু এজেন্সি। ‘ইসরাইল সেনারা বিভিন্ন উপায়ে এই চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে’ বলে জানিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস। এরমধ্যে একটি কৌশল হলো উত্তর থেকে দক্ষিণ গাজা যাওয়ার সময় সালাহ আল-দিন স্ট্রিটের মতো চেকপয়েন্টগুলোতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের কাছে থাকা টাকা, স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান শিল্পসামগ্রীসহ ব্যাগ চুরি। আরেকটি হলো যেসব অঞ্চল থেকে ফিলিস্তিনিরা পালিয়েছেন তাদের বাড়িঘর লুট। সম্প্রতি ইসরাইলের সেনাবাহিনী এমন লুটপাটের কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছিল। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনোথ সেনাবাহিনীর এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে ‘গাজাবাসীদের অর্থের পদ্ধতিগত চুরি’ হিসাবে বর্ণনা করেছে। গাজায় রোববারও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের নিহতের সংখ্যা ২২ হাজার ৮৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। আর আহত হয়েছেন ৫৮ হাজার ৪১৬ জন। এরমধ্যে শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় ১১৩ জন নিহত ও ২৫০ জন আহত হয়েছেন। গাজা উত্তরাঞ্চলে হামাসের প্রধান কমান্ড সেন্টার ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি জানিয়েছে ইসরাইল।
বিবিসির রোববারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার তেল আবিবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি। সংবাদ সম্মেলনে হাগারি আরও বলেন, ‘ইসরাইলি স্থল ও বিমান বাহিনীর গত তিন মাসের অভিযানে উত্তর গাজায় হামাসের মূল কমান্ড সেন্টার ধ্বংসের পাশাপাশি নিহত হয়েছেন এই সংগঠনের প্রায় ৮ হাজার যোদ্ধা।’ আর নিহতদের মধ্যে কমান্ডার ও সাধারণ যোদ্ধা উভয়ই রয়েছেন বলেও জানান তিনি। তবে হাগারির উল্লিখিত এই সংখ্যা স্বাধীনভাবে যাচাই করার সুযোগ পায়নি বিবিসি। গাজাবাসীকে শাস্তি দিতে ‘মৃত্যুর চেয়ে যন্ত্রণাদায়ক উপায়’ খুঁজে বের করতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির ঐতিহ্য মন্ত্রী অ্যামিচাই এলিয়াহু। শুক্রবার ইসরাইলের ১০৩ এফএম রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ আহ্বান জানান তিনি।