সারাদেশ

‘উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং-আইইডিসিআরের ল্যাব টেস্টে বিটিআই কার্যকর’

টাইমস ২৪ ডটনেট: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং এবং আইইডিসিআর-এর ল্যাব টেস্টে মার্শালের সরবরাহকৃত পণ্যটি বিটিআই বলে প্রমাণিত হয়েছে। সরকারি এ দুটি সংস্থার ল্যাব টেস্টে বিটিআই’র কার্যকারিতাও সন্তোষজনক।’তিনি বলেন, ‘পিপিআর-এর শর্ত অনুযায়ী পণ্যটি সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি করার পক্ষে যথাযথ কাগজপত্র (প্রমাণপত্র) হাজির করতে না পারার কারণে মার্শালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা বহাল থাকবে।’রোববার (২৭ আগস্ট) রাতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে বিশেষ শিক্ষার্থীদের আঁকা ছবি ও হস্তশিল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আজ পিপিডব্লিউ (প্ল্যান্ট প্রোটেকশন উইং) এবং আইইডিসিআর থেকে রিপোর্ট পেয়েছি। তাদের পরীক্ষায় নিশ্চিত হয়েছে আমদানিকৃত কীটনাশকটি বিটিআই এবং কার্যকরী। এর আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবের পরীক্ষায় এবং ডিএনসিসি’ আট সদস্য বিশিষ্ট মূল্যায়ন কমিটির পরীক্ষায়ও এটির কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। ডিএনসিসি’ প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আট সদস্য বিশিষ্ট মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক। এ কমিটিতে পিপিডব্লিউ এবং আইইডিসিআর-এর একজন করে প্রতিনিধিও রয়েছে। এ কমিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিটিআই’র কার্যকারিতা পেয়েছে। আজ পিপিডব্লিউ এবং আইইডিসিআর আনুষ্ঠানিক রিপোর্টে জানিয়েছে ডিএনসিসির আমদানিকৃত বিটিআই সঠিক ও এটির কার্যকারিতাও সন্তোষজনক।’
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ জৈব কীটনাশক বিটিআই ব্যবহার করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সফল হয়েছে। আমরাও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে বিটিআই আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। প্রথম ধাপে পরীক্ষামূলক ব্যবহারের জন্য পাঁচ টন আমদানি করি। পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পরপরই জানতে পারি- বিটিআই’র মোড়কে উল্লিখিত সিঙ্গাপুর থেকে আমদানির তথ্য সঠিক নয়। কীটনাশকটি সঠিক ও কার্যকর হলেও ভুল তথ্য দিয়ে মার্শাল প্রতারণা করেছে, সেটির জন্য আমাদের আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। আমি কোনো দুর্নীতি ও অনিয়মকে ছাড় দেব না।’তিনি বলেন, ‘আমি শুনেছি বিটিআই’র কার্যকারিতা নিয়ে অনেক কীটতত্ত্ববিদ অনেক কথা বলছেন। এও শুনেছি অনেক কীটতত্ত্ববিদ নিজেরাই বিটিআই সরবরাহের ব্যবসা করতে চায়। তারা নানান ধরনের কথা বলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেক কথা ছড়ানো হচ্ছে। আসলে নিন্দুকেরা অনেক কথাই বলবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করছি, করে যাব। স্পষ্ট করে বলতে চাই- আমি ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের একটি মহৎ উদ্দেশে বিটিআই আমদানি করেছি। এখানে কারো কোনো দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রমাণ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’মার্শালের সরবরাহ করা পাঁচ টন বিটিআই প্রয়োগ করা হবে কি না, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘মার্শালের সরবরাহ করা বিটিআই যে সঠিক এবং কার্যকর সেটি সব টেস্টে প্রমাণিত হয়েছে। এখন ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে এ বিটিআই ব্যবহার করা হবে কি না, সে বিষয়ে শিগগির মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেব।’

Related Articles

Back to top button