টাইমস ২৪ ডটনেট :তাজা ফল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করেছে সরকার। বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার না করলে আগামী মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশের সব স্থল ও নৌ বন্দর থেকে তাজা ফল আমদানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার ২৯ জানুয়ারি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ফারুক সিদ্দিকী। তিনি বলেন, “বর্ধিত সম্পূরক শুল্কের কারণে আমাদের ব্যবসা চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। প্রতি চালানে আর্থিক লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।”
আগে যেখানে একদিনে একটি ট্রাক ফল বিক্রি করা সম্ভব হতো, এখন তা বিক্রি করতে ৩-৪ দিন লেগে যাচ্ছে। ফলে পণ্য পোর্ট থেকে খালাস করা যাচ্ছে না এবং শিপিং ও পোর্টে ডেমারেজ চার্জ গুনতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, “দেশে তাজা ফলের চাহিদার ৬০-৬৫ শতাংশই আমদানি করতে হয়। কিন্তু বর্তমান শুল্ক বৃদ্ধির ফলে আমরা ব্যবসায়িকভাবে চরম সংকটে পড়েছি। ব্যাংকের সুদের হার, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতির মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত হঠকারী ছাড়া কিছুই নয়।”
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, শুল্ক বৃদ্ধির কারণে তারা স্বাভাবিকের তুলনায় অর্ধেক পরিমাণ ফল আমদানি করতে পারছেন। তবে এর মধ্যেও বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২০ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, “ফল কোনো বিলাস পণ্য নয়, এটি পথ্য। ব্যবসার এমন পরিস্থিতিতে আমরা টিকতে পারছি না। চাহিদা কম থাকলে ফল আমদানি করেই বা কী করব? শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে আপাতত ব্যবসা চালানো সম্ভব হবে।”
গত ৯ জানুয়ারি সরকার তাজা ফল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করে। আমদানিকারকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে তাদের ব্যবসা কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।
ফারুক সিদ্দিকী সংবাদ সম্মেলনে জানান, “যদি বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহার না করা হয়, তাহলে আগামী মঙ্গলবার থেকে দেশের সব বন্দর থেকে আমদানিকৃত তাজা ফল খালাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।”
ফল আমদানিকারকরা দাবি করেছেন, শুল্ক বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত দ্রুত প্রত্যাহার করা হলে তারা ব্যবসা সচল রাখতে পারবেন এবং দেশের মানুষের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারবেন।