চলতি সংবাদ

কক্সবাজার রামুর গর্জনিয়ায় রোহিঙ্গা ডাকাত আবছার বাহিনীর হাতে পিতা, পুত্র খুন

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার:২২ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১২.৫৫ ঘটিকায় পূর্ব শত্রুতা ও ডাকাতির উদ্দেশ্যে ৪৫/৫০ জনের চিহ্নিত ডাকাত বাহিনী অতর্কিত হানা দেন কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলাধীন গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড ঘোনার পাড়াস্হ জনৈক মুহাম্মদ সেলিমের বাড়ীতে। প্রথমে বাড়িতে ঢুকেই পরিবারের সদস্যদের সামনে ডাকাতরা মুহাম্মদ সেলিম কে গুলি করে সেলিমের মৃত্যু নিশ্চিত করেন।সেলিম কে উদ্ধারে বৃদ্ধ পিতা মোঃ জাফর এগিয়ে এলে ডাকাতেরা হতভাগ্য পিতা মোঃ জাফর কে ও গুলি করেন। মুমূর্ষ মোঃ জাফর কে উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মোঃ জাফর (৬০) কে মৃত্যু ঘোষনা করেন।

স্হানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন ধরে গর্জনিয়ায় সন্ত্রাসের ব্যাপক বিস্তার লাভ করে।গর্জনিয়া থোয়াঙ্গা কাটা ঘোষনার পাড়া এলাকার আবছার বাহিনী ত্রাসের রামরাজত্ব চালিয়ে আসছিল।ডাকাতি, খুন,গুম, অপহরণ,চাদাঁবাজির মত ভয়ংকর ক্রাইম সংঘটিত হয়েছে অনায়াসে। মূলত মিয়ানমার থেকে ১০/১৫:বছর পূর্বে এদেশে এসে বন বিভাগের সংরক্ষিত পাহাড় জবরদখল করে বসতি শুরু করেন রোহিঙ্গা নুর হোছন ও তার সন্তান এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী একাধিক হত্যা মামলার পলাতক আসামী রোহিঙ্গা আবছার। ধীরে গর্জনিয়া, বাইশারী ও ঈদগড়ের পেশাদার সন্ত্রাসীদের সাথে সখ্যতা গড়ে উঠে রোহিঙ্গা আবছার ও তার পিতা রোহিঙ্গা নুর হোছনের। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে সখ্য গড়ে তোলেন ঘিলাতলি বন বিটের জনৈক হেড়ম্যানের সাথে।প্রায় যুগ পূর্বে থেকে ওই হেডম্যানের আশ্রয় -প্রশ্রয় ও শেল্টারে সরকারি প্রায় ৩০/৪০ একর বনভুমি জবরদখল করেন। আবার রোহিঙ্গা নুর হোছন কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ঘিলাতলি বনবিটের উপ হেডম্যান হিসাবে মৌখিক নিয়োগ পান।জনশ্রুতি রয়েছে, আন্ডারগ্রাউন্ডের ডন হয়ে উঠার অন্তরালে এলাকার জনৈক প্রভাবশালীর সমর্থন রয়েছে।ঘোনার পাড়ার রোহিঙ্গা নুর হোছন ও তার পুত্র রোহিঙ্গা আবছার।রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোাষ্ঠী (আরসা) তাদের অস্ত্র যোগানদাতা বলে একটি অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে।
তবে রোহিঙ্গা আবছার বাহিনীর হাতে একে -৪৭ রাইফেল সহ দেশীয় ভারী ভারী আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। বর্তমানে ঈদগড়,ঈদগাঁও ও বাইশারী এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক পেশাদার সন্ত্রাসী রয়েছে আবছার বাহিনীতে।তারা দীর্ঘ দিন ধরে এদতঞ্চলে ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করে একের পর এক মানুষ খুন,গুম,অপহরণ ও বেপরোয়া চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে নির্বিঘ্নে।

Related Articles

Back to top button