জাতীয়সারাদেশ

দীর্ঘ ছুটিতে ঈদে ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা

টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: পবিত্র ঈদুল ফিতরের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। সারাদেশে বইছে উৎসবের আনন্দ। নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে লাখো মানুষ। প্রতিদিন বাস, ট্রেন ও লঞ্চে ঢাকা ছাড়ছে নগরবাসী। এবারের ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তিদায়ক। ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখগুলোতে যানজট থাকলেও দূরযাত্রায় দুর্ভোগ নেই। এরই মধ্যে ১১ এপ্রিলকে ঈদুল ফিতরের দিন ঠিক করে ছুটির তালিকা করেছে সরকার। ৮ ও ৯ তারিখে অফিস খোলা থাকবে। ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ঈদের ছুটি। তবে রোজা ২৯টি হলে ঈদের ছুটি শুরু হবে ৯ এপ্রিল থেকে। সে হিসেবে অফিস ছুটি হয়নি এখনো। পরিবার নিয়ে যেতে হবে গ্রামে। ঈদের ছুটি শুরু হলে একসঙ্গে সবাই বাড়ির পথ ধরবে। এতে বাড়বে চাপ। এজন্য পরিবার-পরিজনকে আগেভাগেই বাড়িতে পাঠাতে শুরু করেছেন অনেকে। গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন। মানুষ বাড়ি ফেরায় ঢাকা ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে শুরু করেছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন, গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনাল এবং সদরঘাট লঞ্চঘাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যাত্রীদের ভিড় অনেক বেড়েছে। নির্ধারিত সময়ে বাস ছেড়ে যাচ্ছে। মহাসড়কে গাড়ির চাপ হওয়ায় যানজট তৈরি হচ্ছে। তবে দিনের শুরুতে রেলের সিডিউলে ছন্দপতন ঘটলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সিডিউল ঠিক হয়ে যায়। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকাল ৬ টায় রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তা ছেড়েছে ৭টা ৫০ মিনিটে। ট্রেনটি প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে। তবে সোনারবাংলা এক্সপ্রেস, এগারসিন্দুর প্রভাতি, তিস্তা এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস সময়মতই স্টেশন ছেড়েছে।
ঈদযাত্রায় পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়েই বাসগুলো একের পর এক স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। ঢাকা-মাওয়া, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যাত্রীরা যাত্রাবাড়ী মোড়, শনির আখড়া, রায়েরবাগ ও সাইনবোর্ড বাস কাউন্টারগুলোতে ভিড় করেন। এর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চট্টগ্রামমুখী যানবাহনের চাপ বেশি ছিলো। এ ছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় থেমে থেমে চলে গাড়ি।
তবে নৌপথের ঈদযাত্রাও স্বস্তির বলে জানা গেছে। বিশেষ করে লঞ্চের কেবিনের চাহিদা বেশি। ডেকে তুলনামূলক যাত্রী কম। যাত্রী বাড়তে থাকায় লঞ্চের সংখ্যাও বাড়িয়েছেন লঞ্চ মালিকরা। তবে গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত সড়কে যানজটে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সদরঘাট টার্মিনালে শুক্রবার লঞ্চযাত্রী ছিল অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। তবে খুব বেশি চাপ ছিল না। ফলে নৌপথের যাত্রায় এখনো অনেকটা স্বস্তি রয়েছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বিআইডব্লিউটিএ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ডসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে।
সদরঘাট নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, বুড়িগঙ্গা নদী ও টার্মিনালে নৌপুলিশের একাধিক টিম টহল দিচ্ছে। পরিস্থিতি ভালো রয়েছে।
সদরঘাট টার্মিনালের নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, রমজানের শেষ গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার হওয়ায় যাত্রী কিছুটা বেড়েছে তবে চাপ নেই। তিনি জানান, গত শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ২৮টি লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বিভিন্ন রুটে ছেড়ে গেছে। ভিড়েছে ৩৭টি। সবমিলিয়ে শুক্রবার ৭০টি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যায়। গত বৃহস্পতিবার এই সংখ্যা ছিল ৬৬টি।
তবে ঈদ উপলক্ষ্যে ১৩টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সেগুলো হলো-গ্যাস সিলিন্ডার অথবা গ্যাসের লাইন, পানির লাইন, সব ধরনের লাইট, ফ্যানের সুইচ, বৈদ্যুতিক প্লাগ বন্ধ করে বের হতে হবে। বাসাবাড়িতে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে ছুটি শেষে বাড়ি থেকে ফিরে এসে দরজা-জানালা খুলে ঘরে জমে থাকা গ্যাস বের না হওয়া পর্যন্ত কোনো অবস্থাতেই গ্যাসের চুলা জ্বালানো কিংবা বৈদ্যুতিক সুইচ অন করা যাবে না। বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। আগে বসানো সিসি ক্যামেরা সচল আছে কিনা পরীক্ষা করতে হবে। বাসার চারপাশে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। নগদ টাকা কিংবা স্বর্ণালংকার ব্যাংক কিংবা নিকটাত্মীয়দের কাছে নিরাপদে রাখতে হবে। রাতে কিংবা দিনে একসঙ্গে মুখে মাস্ক এবং মাথায় ক্যাপ পরিহিত অপরিচিত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধি নজরদারি করতে হবে। প্রয়োজনে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিতে হবে।
নির্দেশনার মধ্যে আরও আছে-মোটরসাইকেল চুরি রোধে এলার্ম লাগাতে হবে। এতে কেউ মোটরসাইকেল স্পর্শ করলেই এলার্ম বেজে উঠবে। লক করার কাজে স্টিলের তৈরি মেরিন অ্যাংকর চেইন ব্যবহার করতে হবে। মোটরসাইকেলে জিপিএস ট্র্যাকার লাগাতে হবে এবং চাকাতে উন্নত মানের ডিস্ক লক ব্যবহার করতে হবে। দেশের কিংবা বিদেশের কোনো আইপিএস কিংবা বিসিএস কর্মকর্তা, সেনা কর্মকর্তা ইত্যাদি পরিচয়ে ফেসবুকে পাঠানো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করলে প্রতারিত কিংবা ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হতে পারেন। সেজন্য এ ধরনের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট গ্রহণ করা উচিত হবে না। যার নাম-ঠিকানা আপনার জানা নেই এমন অপরিচিত ব্যক্তির দেওয়া ভিডিও কল গ্রহণ করবেন না। এরূপ ভিডিও কলে পাঠানো অশ্লীল ছবি কিংবা ভিডিও রেকর্ড করে আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করতে পারে। ডিএমপির নির্দেশনায় আরও রয়েছে-আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট কিংবা বিকাশ বা নগদ অ্যাকাউন্ট কোনো ব্যক্তি বন্ধ করতে পারে না। এসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার ভয় দেখিয়ে আপনার কাছ থেকে অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড কিংবা পিন নম্বর বিভিন্ন কৌশলে বারবার চাইতে পারে। এ ধরনের ফোনকল পেয়ে কোনো অবস্থাতেই পাসওয়ার্ড কিংবা পিন কোড দেওয়া যাবে না। ভুল করে আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে-এমন ফোনকল পেলে যাচাই না করে বিশ্বাস করবেন না। লটারি জিতেছেন কিংবা বিদেশ থেকে দামি উপহার কিংবা ডলার পাঠানো হবে এরূপ মোবাইল কল পেয়ে বিশ্বাস করবেন না। এয়ারপোর্ট কাস্টমসে কিংবা এনবিআর অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকে টাকা পরিশোধ করতে হবে জানিয়ে প্রতারকরা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। কোনো অবস্থাতেই এ ধরনের লোভে পড়বেন না।
জনসাধারণের প্রতি ডিএমপির আরও অনুরোধ-অত্যন্ত দামি ধাতুর তৈরি সীমান্ত পিলারে বিনিয়োগ করে কোটি কোটি টাকা লাভ করা যাবে এরূপ প্রলোভনে বিশ্বাস করবেন না। প্রতারকরা নকল পিলার দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। বাস্তবে এ ধরনের কোনো পিলার নেই। ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো ইত্যাদি আইডিতে আত্মীয়, বন্ধু কিংবা পরিচিত ব্যক্তির বিপদে পড়ে জরুরি টাকা পাঠানোর অনুরোধ পেলে ওই ব্যক্তির মোবাইল নম্বর কিংবা তার পরিবারের লোকজনের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ না করে কোনো টাকা পাঠাবেন না। মোবাইল চুরি করে কিংবা বিভিন্ন আইডি হ্যাক করে এ ধরনের অনুরোধ পাঠানো হয়। সস্তায় হোটেল ভাড়া করা, বিমানের টিকিট কাটা কিংবা কম খরচে ইউরোপ, কানাডা কিংবা আমেরিকায় পাঠানোর প্রস্তাব কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট কিংবা অ্যাপসে পাঠালে বিশ্বাস করবেন না।
ডিএমপির উপকমিশনার (ক্রাইম) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এর পাশাপাশি ছুটির সময়ে রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছি। এজন্য ১৩ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো মসজিদে খতিবরা এবং কোথাও পুলিশ সদস্যরা এই নির্দেশনা প্রচার করেছে। আমরা চাই মানুষ যেন নিরাপদে গ্রামে গিয়ে নিশ্চিন্ত মনে আবার শহরে ফিরতে পারে।
নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সদরঘাটের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো। আশা করছি দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা সুন্দরভাবে বাড়িতে যেতে পারবেন।
ঢাকা রেলওয়ে বিভাগীয় বাণিজ্য কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির বলেন, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার ঈদযাত্রায় যাত্রীরা ভ্রমণ করেছে। আমরা চেষ্টা করছি, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে। বিনা টিকিটে ভ্রমণ রোধেও কাজ করছি। আমরা অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ সিটবিহীন টিকিট বিক্রি করছি। ঈদ আনন্দ শেষে ১৫ এপ্রিল যারা ঢাকায় ফিরবে তারা শুক্রবার অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করেছে। সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। আর দুপুর ২টায় পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। যাত্রীদের অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে হয়েছে।
অপরদিকে, পবিত্র ঈদুল ফিতরে উত্তরবঙ্গের ঘরমুখী মানুষ যেন প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে, সেজন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সিরাজগঞ্জের পাঁচিলা ওভারপাস, মুলিবাড়ি ওভারপাস, দাদপুর ওভারপাস ও দাতিয়া সেতু। বর্তমানে ওই ওভারপাসের ওপর দিয়ে ঈদে ঘরমুখো যানবাহন চলাচল করছে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে ওভারপাসগুলো উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে সাসেক-২ প্রকল্পের মাধ্যমে নবনির্মিত মুলিবাড়ি ওভারপাসের দৈর্ঘ্য ৩৯ মিটার, পাঁচলিয়া ওভারপাসের দৈর্ঘ্য ৩৯ মিটার, দাদপুর ওভারপাসের দৈর্ঘ্য ৩৫ মিটার ও দাতিয়া সেতুর দৈর্ঘ্য ৫৬ মিটার।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মো. মাহবুবুর রহমান, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য সদস্য জান্নাত আরা হেনরী, সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম, সাসেক-২ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান। এ ছাড়াও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, ঈদযাত্রায় উত্তরের পথে এখনও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। গতকাল শনিবার দুপুরেও ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলতে দেখা গেছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় গাড়ির কিছুটা চাপ বেড়েছে। মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, আগে এই সময়ে উত্তরের পথে যানজট লেগে থাকতো। কিন্তু এবার ঈদযাত্রায় এখনও কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। তবে ক্রমেই গাড়ির চাপ বাড়ছে। স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। যানজট নিরসনে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় সাত শতাধিক পুলিশ কাজ করছে।
বগুড়াগামী হানিফ পরিবহনের যাত্রী তোফাজ্জল বলেন, পরিবারের সঙ্গে একত্রে ঈদ উদযাপন করতে বাড়িতে যাচ্ছি। এবার অল্প সময়েই ঢাকা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত এসেছি। সড়কে কোথাও যানজট পাইনি। লিটন নামে এক বাসযাত্রী বলেন, গাবতলী থেকে বাসে রওনা হয়েছি। সড়কের কোথাও যানজটে আটকে থাকতে হয়নি। আশা করছি রংপুরে যানজট ছাড়াই পৌঁছাতে পারবো।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বলেন, রাতে গাড়ির কিছুটা চাপ ছিল। সে তুলনায় বর্তমানে চাপ কমই রয়েছে। স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। আশা করছি, ঘরমুখো মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে।
হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত আইজিপি) শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, ঈদকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলে মহাসড়কে কয়েকটি কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল প্লাজায় গাড়ির গতি কমে যাওয়া অন্যতম কারণ। মহাসড়কগুলো ফোর লেন হওয়ায় যানবাহন যে গতিতে আসে সেগুলো বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে এসে ধীর হয়ে যায়। এ কারণে সেতুর কাছে এসে যানবাহনের জট বেঁধে যায়। এটা স্বাভাবিক বিষয়।
তিনি জানান, এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বাত্মক সজাগ রয়েছে। মহাসড়কে কোনও ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া পরিবহন মালিকদেরও এ বিষয়ে সজাগ হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক পরিদর্শনকালে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

Related Articles

Back to top button