topআন্তর্জাতিক

আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে চরম ভয়াবহতার সতর্কবার্তা কিমের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নতুন সলিড-ফুয়েল আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষার কথা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটি জানিয়েছে, দেশের পারমাণবিক পাল্টা আক্রমণ সক্ষমতাকে ‘ব্যাপকভাবে বাড়াতে’ এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে।অন্যদিকে নতুন এই আইসিবিএম পরীক্ষার পর শত্রুদের উদ্দেশে ‘চরম’ ভয়াবহতার সতর্কবার্তা দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন সলিড-ফুয়েল আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষার কথা শুক্রবার জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। নতুন এই আইসিবিএম’র নাম হোয়াসং-১৮।দেশের পারমাণবিক পাল্টা আক্রমণ ক্ষমতাকে ‘ব্যাপকভাবে বাড়াতে’ এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।
রয়টার্স বলছে, অত্যাধুনিক এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ নিজেই তত্ত্বাবধান ও পরিচালনা করেন কিম জং উন। পরে তিনি শত্রুদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। কম জং উন সতর্ক করে বলেন, নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুদের ‘স্পষ্টভাবেই নিরাপত্তা সংকটের সম্মুখীন করবে। একইসঙ্গে নিজেদের বিবেকহীন চিন্তাভাবনা এবং বেপরোয়া কাজগুলো পরিত্যাগ না করা পর্যন্ত ক্রমাগত মারাত্মক এবং আক্রমণাত্মক পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে শত্রুদের মধ্যে চরম অস্বস্তি ও ভয়াবহ আতঙ্ক সৃষ্টি করা হবে।’
এদিকে উত্তর কোরিয়া সাম্প্রতিক মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়াকে উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য দায়ী বলে সমালোচনা করেছে এবং সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নিজেদের অস্ত্র পরীক্ষা বাড়িয়েছে। এছাড়া উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় মিডিয়া সর্বশেষ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের সময়কার বেশ কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করেছে।সেসব ছবিতে স্ত্রী, বোন এবং মেয়েকে সাথে নিয়ে কিম জং উনকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ দেখতে দেখা যায়।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম দ্য কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে, ‘নতুন ধরনের আইসিবিএম হোয়াসংফো-১৮ তৈরি করার ফলে এটি উত্তর কোরিয়ার কৌশলগত প্রতিরোধ সক্ষমতার উপাদানগুলোকে ব্যাপকভাবে সংস্কার করবে। একইসঙ্গে এর ফলে পারমাণবিক পাল্টা আক্রমণের সক্ষমতার কার্যকারিতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে এবং আক্রমণাত্মক সামরিক কৌশলের ব্যবহারিক দিকগুলোতে পরিবর্তন আনবে।’প্রসঙ্গত হোয়াসং-১৮-কে কেসিএনএ হোয়াসংফো-১৮ বলে উল্লেখ করেছে। মূলত কোরিয়ান ভাষায় ‘ফো’ মানে হচ্ছে ‘আর্টিলারি’।
রয়টার্স বলছে, এই ধরনের সলিড-ফুয়েল আইসিবিএম তৈরি করা দীর্ঘকাল ধরেই উত্তর কোরিয়ার জন্য প্রধান একটি লক্ষ্য ছিল। আর এতে সফল হওয়ায় এখন পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি যুদ্ধের সময় দ্রুত এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করতে সক্ষম হবে।

 

Related Articles

Back to top button