বাংলাদেশ

ছাত্র সমাবেশ-বিক্ষোভ মুন্সীগঞ্জে সহিংসতায় দুই মামলায় মূলহুতা হুমায়ন কবির

টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: মুন্সীগঞ্জে কোটা আন্দোলনকে ঘিরে ভাঙচুর ও বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই থানায় ৩টি মামলা হয়েছে। এতে এজাহারনামীয় ৯২ জনসহ অজ্ঞাত অনেককে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার আসলাম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে দুটি মামলায় হুমায়ুন কবিরকে আসামী করা হয়েছে। মামলা নং ২৭ এ ৩নং আসামী ও ২৮নং মামলায় ৫নং আসামী করা হয় নাশকতাকার হুমায়ুন কবিরকে।
পুলিশ সুপার জানান, ৩টি মামলার মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় ২টি ও অপরটি পদ্মা সেতু উত্তর থানায়। ঘটনার পর থেকে বুধবার পর্যন্ত বিভিন্ন মামলা করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠে পঞ্চসার ইউনিয়নের নয়াগাও এলাকায় গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রাস্তা বন্ধ করে সংঘাতে জড়ায় দুই পক্ষ। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাসুদ রানাসহ এজাহারনামীয় ১৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলার বাদী হয়েছেন সদর থানার এসআই মো. মিঠু ফকির।
এদিকে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার খালইস্ট এলাকায় মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সদর উপজেলার সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মাসুদ রানাসহ ২৮ জন এজাহারনামীয়সহ অজ্ঞাত অনেককে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলার বাদী সদর থানা পুলিশের এসআই মো. জাহিদ হাসান। এই মামলায়
অন্যদিকে পদ্মা সেতু উত্তর থানায় গত ১৭ জুলাই লৌহজংয়ের মাওয়ায় পদ্মা সেতু উত্তর থানা মোড়ে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে অবরোধ করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশের বাধার মুখে ব্যাপক সংঘাতের ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীরা ইটপাটকেল ছুড়ে থানা কম্পাউন্ডে ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় উত্তর থানার এসআই শাখাওয়াত বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। যেখানে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান। ৩টি মামলায় এজহারনামীয় আসামিদের মধ্যে অধিকাংশ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে সদর থানার দুটি মামলায়ই নাশকতাকারী হুমায়ুন কবিরকে আসামী করা হয়েছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম ও অপস পুলিশ সুপার পদে সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত বদিউজ্জামান জানান, বিষয়টি রাজনৈতিক এ বিষয়ে আমার কোন বক্তব্য নেই। ২৭নং মামলার বাদী এস.আই (নি:) মো. মিঠু ফকিরের সেল ফোনে জানান, থানায় আসেন সাক্ষাতে বক্তব্য দেব। অপরদিকে ২৮নং মামলার বাদী মো. জাহিদ হাসানের সেলফোনে ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে নাশকতা ও ভাংচুরকারী হুমায়ুন জানান, আমি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কোন অঙ্গ সংগঠনে জড়িত নই। সেই ২০১৪ সাল থেকে আমি সমস্ত অঙ্গ সংগঠক থেকে অব্যাহতি গ্রহণ করি স্বেচ্ছায় এরপরও থানা পুলিশ আমার বিরুদ্ধে আমার কন্ঠরোধ করে অসৎ উদ্দেশ্যে। আমি বলতে পারি হলপ করে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার অফিসার গুলা তাদের দোষ ঢাকতে আমাকে এই ধরনের কয়েকটি মামলাতে জড়িয়ে অসৎ কর্মকাণ্ড আড়াল করার চেষ্টা করছেন। আমি কোন মারামারি, সন্ত্রাসী কাজের সাথে জড়িত নই । তবে কেউ আমার বিষয়ে এই ধরনের অপকর্মের সুনির্দিষ্ট প্রমান দিতে পারবে না বলেই মিথ্যা মামলার আসামি বানিয়ে কন্ঠ রোধ করছে থানার পুলিশ।

Related Articles

Back to top button