মনির আকন টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটনেট ঢাকা : করোনা মহামারীতে দেশে-বিদেশে যখন বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,স্কুল কলেজ অফিস আদালত যখন বন্ধ হবার পথে ছিল তখন তখন রাজধানীর বনশ্রী আইডিয়াল স্কুলের গনিত বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক খলিলুর রহমান এর উদ্যোগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেজবুকে একটু আনন্দ বিনোদন দেওয়ার জন্য সবার সাথে যোগাযোগ রাখার মাধ্যম হিসেবে আশার আলো ছড়িয়ে দিয়েছিল ফেসবুক ভিত্তিক গ্রুপ “চলো বেড়াতে যাই”। এরপর থেকে পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। এরই ধারাবাহিকতায় ২ মার্চ ২০২৪ইং রোজ শনিবার “চলো বেড়াতে যাই” এর সকল সদস্য ও তাদের পরিবার নিয়ে পারিবারিক মিলনমেলা আয়োজন করা হয়।
এডমিন, মডারেটর প্যানেল ও সকল গ্রুপ সদস্য ও তাদের পরিবার মিলে ঘুড়ে এলেন ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জের গার্ডেন পার্কে। এটি পারিবারিক বিনোদন কেন্দ্র ও শুটিংস্পট হিসেবে এটি বেশ পরিচিত।
দিনভর আড্ডা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন রাইড , র্যাফল ড্রসহ বিভিন্ন আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেন “চলো বেড়াতে যাই” গ্রুপের সকল সদস্য ও তাদের পরিবার।
ঢাকার রামপুরা,বনশ্রী, আফতাবনগর সহ বিভিন্ন প্রান্তে নানা পেশায় জড়িত “চলো বেড়াতে যাই” এই সদস্যরা শত ব্যস্ততার মাঝে পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরিবিলি স্থানে আয়োজিত এ বনভোজনে অংশগ্রহণ করেন।
এর আগে সকাল ৮ টায় বনশ্রী আইডিয়াল স্কুলের সামনে থেকে গ্রুপের সাড়ে তিন শতাধিক সদস্য স্বপরিবারে পিকনিক স্পটের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে পৌঁছে ফারজানা শামীম লাইজুর সঞ্চালনায় শুরু হয় অনুষ্ঠান পর্ব, দুপুরের খাবার গ্রহণ ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের ডিপ ফ্রিজ, মোবাইল সেট, প্রেসার কুকার, হটপট, ফ্রাই পেন, বই সহ বিভিন্ন প্রকার উপহার সামগ্রী তুলে দেন গ্রুপের এডমিন জনাব খলিলুর রহমান, অভিভাবক আলমগীর হোসেন, শিব্বির জুনায়েদ (রুবেল), নাইমা রহমান, শিক্ষক আব্দুল হাকিম লাল, ফারজানা লাইজু, সাংবাদিক আবু রায়হান অর্নব সহ আরো অনেকেই।
“চলো বেড়াতে যাই” গ্রুপের এই বনভোজন সফল ও সার্থক করে তুলতে অটোগ্রাফ লাইভ মিউজিক ক্যাফ, মেগামাইন্ড প্লাস ও শীতলক্ষ্যা গ্রুপ অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন “চলো বেড়াতে যাই” গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিন ও আইডিয়াল স্কুলের গনিত বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক খলিলুর রহমান, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিবর্গ।
“চলো বেড়াতে যাই” গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও এডমিন খলিলুর রহমান বলেন, মানুষের জীবনে যেসব কারণে ভ্রমণ করা জরুরি, সে তালিকা বেশ দীর্ঘ। সকল ধর্মেই ভ্রমণের গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে। এইসব ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক ভ্রমণ ছাড়াও স্বাস্থ্যগত কারণে, শিক্ষার প্রয়োজনে, সাংস্কৃতিক বিকাশে এবং মননের পুষ্টিতে ভ্রমণ অতীব জরুরি। ব্যক্তিজীবনের নান্দনিকতা স্ফূর্তির জন্য ভ্রমণ অপরিহার্য।
বিভিন্ন দার্শনিক ভ্রমণ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের কথা এবং চিরন্তন বাণী উপহার দিয়েছেন। অনেকে বলেছেন, ভ্রমণের জন্য অর্থ ব্যয় করে কেউ গরিব হয় না। বরং শরীর ও মনের দিক থেকে আরও ধনী ও ঋদ্ধ হয়। জীবন ও জগৎ সম্পর্কে জ্ঞানস্পৃহা বৃদ্ধি পায় ভ্রমণে। জীবন হয় উপভোগ্য ও আলোকিত।
এজন্যই আধুনিক-অগ্রসর সমাজে বছরে একবার অন্তত ভ্রমণ করার প্রচলন দেখা যায়। কারণ, ভ্রমণের মাধ্যমে স্থান পরিবর্তন এবং নতুন প্রাণশক্তি আহরণ করা যায়। পাশাপাশি নিজেকে জানার জন্য অন্যতম একটা উপায় হিসাবে কাজ করে ভ্রমণ,বনভোজন।
তাই আমি মনেকরি যান্ত্রিক শহরের এই জীবনে কর্মব্যস্ততার, বাচ্চাদের পড়াশোনার পাশাপাশি দরকার আনন্দ বিনোদন ও ভ্রমণের সবশেষে মডারেটর প্যানেল ও সকল গ্রুপ মেম্বারগন এ গ্রুপের সার্বিক অগ্রযাত্রায় যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।