topআন্তর্জাতিক

পুতিনের বাড়ির কাছে বসানো হলো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, কারণ কী?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ছাদে বসানো হয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এছাড়া প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারি বাসভবন থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে পানশির-এস১ বিমান-বিধ্বংসী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে এ দৃশ্য।

কোনো আক্রমণ ঠেকাতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হলো কিনা, এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে কয়েকদিন ধরে। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট দপ্তর এ নিয়ে কোনো কথা বলছে না।

বার্তাসংস্থা এএফপি শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সব মন্ত্রণালয়ের ছাদে পানশির-এস১ বিমান-বিধ্বংসী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেখা গেছে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রো পেসকোভকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তখন তিনি জানান এ ব্যাপারে যেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রশ্ন করা হয়।

পেসকোভ বলেছেন, ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সাধারণত দেশের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব পালন করে। বিশেষ করে রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তারা। তাই এ ব্যাপারে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে জিজ্ঞেস করলে ভালো হবে।’তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রশ্ন করলে তারা তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে এএফপি।

পানশির-এস১ বিমান-বিধ্বংসী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বানানো হয়েছে বিমান, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধে।

ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অ্যান্টন গেরাশেঙ্কো সামাজিক যোগাযোগমা্ধ্যমে পুতিনের বাড়ির কাছের একটি জায়গার ভিডিও প্রকাশ করেছেন। সেই ভিডিওতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেখা যাচ্ছে। তিনি প্রশ্ন করেছেন, ‘কি হচ্ছে? কেউ কী বিষ্মিত?’ গেরেশেঙ্কো আরও জানিয়েছেন, এ ভিডিওটি গত ৬ জানুয়ারি ধারণ করা হয়।

এর আগে গত সপ্তাহে মস্কোর লোসিনি ওস্ত্রোভ ফরেস্ট পার্ক এবং একটি কৃষি ইনস্টিটিউটে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেখা যায়।

কী কারণে রাশিয়া সরকারি স্থাপনায় এসব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা স্থাপন করল সে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মাইকেল হোরোইজ।

তিনি টুইটারে লিখেছেন, মস্কোতে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী হামলা করতে পারে এমন একটি আশঙ্কা রয়েছে রাশিয়ার। তাই সতর্কতার অংশ হিসেবে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে দেশটি। আরেকটি হলো রাশিয়ার নেতৃবৃন্দ অভ্যুত্থানের ভয় পায়। যদিও এমনটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

গত তিন মাসের মধ্যে রাশিয়ার অভ্যন্তরে অবস্থিত বিমান ঘাঁটিতে একাধিকবার ড্রোন হামলা হয়েছে। এসব হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে মস্কো।

ইউক্রেনে রুশ বাহিনী হামলা করার পর কিয়েভকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে তারা জানিয়েছে, রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালানো যাবে এমন অস্ত্র ইউক্রেনকে দেবে না তারা।

সূত্র: আল জাজিরা।

Related Articles

Back to top button