ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করতে হাদিকে হত্যা — লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান

টাইমস ২৪ ডটনেট : ওসমান হাদি মনে করতেন নির্বাচনই সমাধান। তাই তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চেয়েছিলেন। নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করতে হাদিকে হত্যা করা হয়েছে। এটি একটি টার্গেটেড কিলিং। এমন কোন মানুষ পাওয়া যাবে না হাদির হত্যাকান্ডে দু:খ পায়নি। হাদির মৃত্যুর পর যে এনআরকি তৈরি হয়েছে তা দু:খজনক। প্রথম আলো—ডেইলি স্টার নিয়ে সমালোচনা থাকলেও থাকতে পারে। কিন্তু হাদিকে যারা ভালোবাসেন তারা তার মৃত্যুতে এই গণমাধ্যমদুটিতে ভাংচুর করে আগুন দিতে পরেন না। এই ঘটনায় সরকার ভালো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। এর পিছনে দেশী—বিদেশী অপশক্তি জড়িত রয়েছে। আমাদের মধ্যে যখন কোন অনৈক্য তৈরি হয়, এক পক্ষ আরেক পক্ষকে হুমকি দেয়, তখন ভেস্টেড ইন্টারেস্ট গ্রুপ সুযোগ নেয়। বাংলাদেশে এখন নানা ভেস্টেড গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে, যারা দেশের স্থিতিশীলতা চায় না। আজ (১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার) এফডিসিতে আগামী নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের ভূমিকা নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে লেখক, গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। প্রতিযোগিতায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজকে পরাজিত করে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ এর বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। ছায়া সংসদটি আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও ওসমান হাদিকে বাঁচানো যায়নি। তার হত্যাকান্ডে আমরা ব্যাথিত, মর্মাহত, লজ্জিত ও শঙ্কিত। হাদির হত্যাকারিরা ইতিহাসে কাপুরুষ হিসেবে ঘৃণিত হয়ে থাকবে। এই হত্যাকান্ড জাতির জন্য এক মর্মান্তিক কালো অধ্যায় হিসেবে রচিত হবে। হাদির রক্ত বৃথা যেতে দেয়া যাবে না। হাদির রক্ত বৃথা গেলে জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ব্যর্থ হবে। পরাজিত ফ্যাসিস্টরা পালিয়ে গেলেও তাদের দোসররা এখনো হুমকি—ধামকি ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে। তারই অংশ হিসেবে হাদিকে হত্যা করা হয়। হাদি হত্যাকান্ডের পর জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ প্রার্থীদের নিরাপত্তা প্রদানের দাবি উঠেছে। তাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরার পর সরকার এসএসএফ এর মাধ্যমে তার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন বলে আশা করি।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র আয়োজনে “তরুণ ভোটাররাই হবে আগামী নির্বাচনে জয়—পরাজয়ের নিয়ামক” শীর্ষক ছায়া সংসদে বিচারক ছিলেন সাংবাদিক কাজী হাফিজ, মো: আলমগীর হোসেন, জাকির হোসেন লিটন, কাজী জেবেল ও মো: আতিকুর রহমান। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
সংবাদ প্রেরক: মো: আবুল বাশার, কো—অর্ডিনেটর, ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি
মোবাইল: ০১৭১১৫২৮৩৩২, ০১৬১৮১৮৭০৮৩, ০১৬১৮১৮৭০৮৫।
ক্যাপশন—১ (ক ও খ): আগামী নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের ভূমিকা নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদের বিজয়ী দলের বিতার্কিকদের ট্রফি হাতে অনুষ্ঠানের অতিথি রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সাথে দেখা যাচ্ছে।
ক্যাপশন—২: রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ এর কাছ থেকে আগামী নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের ভূমিকা নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে বিজয়ী দলের বিতার্কিকরা ট্রফি গ্রহণ করছেন।
ক্যাপাশন—৩: আগামী নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের ভূমিকা নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদের অতিথি রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণকে বিচারকসহ অংশগ্রহণকারী বিতার্কিকদের সাথে দেখা যাচ্ছে।



