বাংলাদেশ

কক্সবাজারের বৃহত্তর গর্জনিয়ায় ফায়ার স্টেশন নেই, আগুনে পুড়ছে সম্পদ

এস এম হুমায়ুন কবির, কক্সবাজার:কক্সবাজারের রামু উপজেলার বৃহত্তর গর্জনিয়ায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নেই। উপজেলা সদর থেকে সবচেয়ে দুরবর্তী এলাকা বৃহত্তর গর্জনিয়ার ( কচ্ছপিয়া,ঈদগড়, গর্জনিয়া) ফায়ার স্টেশনের দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার। কাছাকাছি ফায়ার স্টেশন না থাকায় বৃহত্তর গর্জনিয়ার কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে দ্রুত আগুন নেভানো সম্ভব হয় না। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।

সর্বশেষ ২০ এপ্রিল উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের জুমছড়ির একজন দিনমজুরের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কিন্তু আগুন নেভানোর ব্যবস্থা না থাকায় এলাকাবাসীর চোখের সামনে প্রায় পুরো বসতঘর পুড়ে যায়।
গর্জনিয়া বাজার থেকে রামু সদর ফায়ার স্টেশন ৪০ কিলোমিটার দূরে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গেল সাপ্তাহে গর্জনিয়া বাজারে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে রামু ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু সেখান থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসার আগেই সব পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, এ অগ্নিকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। প্রশাসন বলছে গেল কয়েক বছরে গর্জনিয়া বাজারে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৫০ কোটি টাকার ও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদের।

 

স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে গর্জনিয়া বাজার ও বেলতলি বাজার , ২০১৯ সালে গিরিঙ্গি বাজার, ২০২০ সালে জুমছড়ি বাজার, ২০২১ সালে থিমছড়ি বাজার, ২০২১ সালে বড়বিল বাজার ২০২২ সালে দোছড়ি বাজার, ২০২৩ সালে মৌলভী কাটা স্টেশন বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া পাড়া-মহল্লা ও বসতবাড়িতে আরও ৭০থেকে ৮০ টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা গর্জনিয়া বাজারে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এখনো কাজ হয়নি। ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে যাচ্ছে।

গর্জনিয়া বাজারের মসজিদ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি নেতা ও মিষ্টি বন এর সত্ত্বাধিকারী সরওয়ার বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দাবি জানিয়ে আসছি। ফায়ার স্টেশনের দাবিতে একাধিকবার মানববন্ধনও করা হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো কাজ হয়নি। প্রতিবছর আগুনে ব্যবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থাকলে ক্ষতির পরিমাণ কমে আসত।’।

উদীয়মান যুবনেতা শাহজলাল বলেন, রামু থেকে গর্জনিয়া বাজারের দূরত্ব ৫০ কিলোমিটারেরও বেশি। এ ছাড়া সরু ও আঁকাবাঁকা পাহাড়ি রাস্তায় গন্তব্যে পৌঁছাতে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ সময় লেগে যায়।

গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বাবুল চৌধুরী বলেন,ফায়ার স্টেশন থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান অনেক কমে আসত

সে কারণে বৃহত্তর গর্জনিয়ায় কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই সব পুড়ে যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রাশেদুল ইসলাম দৈনিক গণমুক্তি কে বলেন, বৃহত্তর গর্জনিয়ায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণের জন্য দাবীর বিষয়টি অবগত হয়েছি ।

Related Articles

Back to top button