খেলাধুলা

যুবরাজ-পোলার্ডের পর এবার এক ওভারে ছয় ছক্কা মারলেন দীপেন্দ্র

স্পোর্টস ডেস্ক: নেপালের জার্সিতে আজ খেলতে নেমেছিলেন নিজের ৬০তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আল আমেরাত স্টেডিয়ামে কাতারের বিপক্ষে সেই ম্যাচে ছয় বলে ছয় ছক্কা হাঁকিয়ে তাক লাগালেন দীপেন্দ্র সিং আইরি।আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ভারতের যুবরাজ সিং ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইরন পোলার্ডের পর তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি।বিগ হিটিং ফিনিশার হিসেবে ভালোই নামডাক আছে দীপেন্দ্রর। সেটারই দুর্দান্ত এক ঝলক তিনি দেখালেন আজ। এসিসি প্রিমিয়ার কাপের ম্যাচে অসাধারণ এই কীর্তিটি গড়েন ম্যাচের শেষ ওভারে। ১৯তম ওভার শেষে নেপালের সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেটে ১৭৪ রান। দীপেন্দ্র তখন অপরাজিত ১৫ বলে ২৮ রান নিয়ে। এরপর শেষ ওভার করতে আসা কাতারের মিডিয়াম পেসার কামরান খানকে দুঃস্বপ্ন উপহার দেন তিনি। ২১ বলে ৩ চার ও ৭ ছক্কায় ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
২৪ বছর বয়সী দীপেন্দ্রর কাছে অবশ্য ছয় বলে ছয় ছক্কা হাঁকানো নতুন কিছু নয়। এর আগে ২০২৩ এশিয়ান গেমসে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে টানা ছয় ছক্কা মেরেছেন তিনি। তবে সেটি হজম করেছিলেন দুজন বোলার মিলে। এবারই প্রথম নির্দিষ্ট কোনো ওভারের সব বলেই ছক্কা হাঁকালেন এই ব্যাটার।মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচে মুখোমুখি হওয়া প্রথম ছয় বলেই ছক্কার দেখা পেয়েছিলেন দীপেন্দ্র। প্রথম পাঁচটি ছয় মেরেছিলেন মুঙ্গুন আলতানখুয়াগকে। পরের ওভারে প্রথম বল করতে আসা লুভসানজুন্দুই এরডেনেবুলগানকেও ছক্কা মারেন তিনি। এরপর ফিফটি স্পর্শ করেন নবম বলে। যা টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্রুততম ফিফটি। সেই ম্যাচে ৩ উইকেটে ৩১৪ রান করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে নেপাল। আজ অবশ্য ৭ উইকেটে ২১০ রান করে তারা। ১০ দলকে নিয়ে চলমান এসিসি প্রিমিয়ার কাপের চ্যাম্পিয়ন দল সুযোগ পাবে ২০২৫ এশিয়া কাপে। গতবার এই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েই এশিয়া কাপে খেলেছিল নেপাল। এবারের আসর অনুষ্ঠিত হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
দীপেন্দ্রর আগে ২০২১ সালে ছয় বলে ছয় ছক্কা মেরেছিলেন কাইরন পোলার্ড। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে আকিলা ধনঞ্জয়ার ওপর এই ঝড় তোলেন তিনি। সেই ম্যাচে আবার হ্যাটট্রিকও করেন ধনঞ্জয়া।ছয় বলে ছয় ছক্কা হাঁকানোর ইতিহাসটি প্রথমে লেখেন যুবরাজ সিং। ২০০৭ বিশ্বকাপে ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডের ওভারের প্রতিটি বল উড়িয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করেন সাবেক এই ভারতীয় ব্যাটার। এদিকে ওয়ানডেতে এমন নজির আছে কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শেল গিবস ও যুক্তরাষ্ট্রের জাসকারান মালহোত্রার।

Related Articles

Back to top button