topআন্তর্জাতিক

৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে রোমানিয়া

টাইমস ২৪ ডটনেট: রোমানিয়ার আরাদ অঞ্চলের অভিবাসন পুলিশ গত সপ্তাহের শেষ দিকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে আসা ১৮ জন এবং দু’জন মিসরীয়সহ মোট ২০ জন অভিবাসীকে জোরপূর্বক নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে রোমানিয়া জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন (আইজিআই)।
এতে বলা হয়, গত ২৩ মার্চ রোমানিয়ার সীমান্তবর্তী আরাদ অঞ্চলের সীমান্ত পুলিশের সক্রিয় এস্কর্টের মাধ্যমে ২০ জন অভিবাসীকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠিয়েছে। সংশ্লিষ্ট অভিবাসীদের আরাদ অঞ্চলের অভিবাসী আটক কেন্দ্র থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়।
কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিবাসীদের মধ্যে ৯ জন শ্রীলঙ্কান, পাঁচজন বাংলাদেশি, তিনজন পাকিস্তানি, দু’জন মিসরীয় এবং একজন ভারতীয় নাগরিক। তাদের বিরুদ্ধে আগে রোমানিয়া ত্যাগের আইনি নোটিশ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তারা নিজ উদ্যোগে ফেরত না যাওয়ায় আইন অনুযায়ী এস্কর্ট দিয়ে জোরপূর্বক বহিষ্কার বাস্তবায়ন করা হয়।
বিমানবন্দর থেকে রোমানিয়া ছাড়ার সময় তাদের সবার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সবগুলো সদস্য রাষ্ট্র, ইউরোপীয় অর্থনৈতিক এলাকা এবং সুইস কনফেডারেশনে প্রবেশে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সাধারণত অভিবাসীদের চার্টার্ড ফ্লাইটে তোলা হলেও সংশ্লিষ্ট ২০ জনকে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

দেশটির পুলিশের সূত্র বলছে, বেআইনি সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার চেষ্টার দায়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে ওই ২০ জনকে স্থায়ী আটকের নির্দেশ দিয়েছিল বুখারেস্টের আপিল আদালত। প্রাথমিকভাবে সীমান্ত অঞ্চল থেকে আটক হয়েছিলেন তারা। ফেরত পাঠানো অভিবাসীদের সবাই ২০২৩ এবং ২০২৪ সালে বৈধ কাজের ভিসায় রোমানিয়ায় এসেছিলেন।
বহিষ্কার প্রক্রিয়ায় আরাদ অভিবাসন পুলিশকে সহায়তা করেছে আরাদ কাউন্টির জেন্ডারমেরি ইন্সপেক্টরেট। সামনের মাসগুলোতেও অনিয়মিত অভিবাসীদের ‘ডিপোর্ট’ অব্যাহত থাকবে বলে নিশ্চিত করেছে বুখারেস্ট।
২০২৩ সালে বিভিন্ন দেশের মোট এক হাজার ২২২ জন নাগরিককে নিজস্ব এস্কর্ট দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে চলতি বছরের শুরুতে নিশ্চিত করেছিল আইজিআই। এসব অভিবাসীদের মধ্যে ৩৯৭ জন বাংলাদেশের নাগরিক। এক দশক অপেক্ষার পর চলতি বছরের ৩১ মার্চ থেকে আংশিকভাবে ইউরোপের অবাধ চলাচলের অঞ্চল শেনজেন জোনে প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে রোমানিয়া। ইনফোমাইগ্রেন্টস।

Related Articles

Back to top button