topআন্তর্জাতিক

গাজায় ‘শিগগিরই’ যুদ্ধ বন্ধ হবে: ইসরাইল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসঙ্ঘ প্রধান ‘অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানানোর’ প্রেক্ষিতে ইসরাইল সোমবার বলেছে, বিধ্বস্ত দক্ষিণ গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে তাদের যুদ্ধের ‘নিবিড়’ পর্যায়ে ‘শিগগিরই’ শেষ হবে। হামাস অক্টোবরের হামলার সময় অপহৃত ইসরাইলি বন্দীদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যুর ঘোষণা করেছে।৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পর থেকে ইসরাইলি বাহিনীর প্রতিশোধমূলক বিমান ও স্থল হামলায় গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়ে পড়েছে।হামাসকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইসরাইল অবিরাম ও নির্বিচার হামলা চালিয়ে গাজায় কমপক্ষে ২৪ হাজার ১০০ লোককে হত্যা করেছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিহতদের এই সংখ্যা প্রকাশ করেছে।


গাজার উত্তরে হামাসের সামরিক কাঠামো ভেঙে ফেলার ঘোষণা দেয়ার পর সেনাবাহিনী সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দক্ষিণের খান ইউনিস এবং রাফাহ শহরে অভিযান এবং বোমাবর্ষণ জোরদার করেছিল।ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, দক্ষিণ গাজায় প্রায় তিন মাস ধরে চলা একটি ‘তীব্র যুদ্ধের পর্যায়’ ‘শিগগিরই শেষ হবে’।


তিনি বলেন, দক্ষিণ গাজা থেকে ইতোমধ্যেই উত্তর গাজায় সৈন্য সরিয়ে আনা হচ্ছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনী নিশ্চিত করেছে’ তাদের চারটি ডিভিশনের মধ্যে সোমবার একটি প্রত্যাহার করা হয়েছে।ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধ আরো কয়েক মাস ধরে চলবে-এ কথা বলার এক দিন পর মন্ত্রিসভা যুদ্ধের ব্যয় মেটাতে অতিরিক্ত ৫৫ বিলিয়ন শেকেলসহ (১৫ বিলিয়ন ডলার) একটি সংশোধিত ২০২৪ বাজেট অনুমোদন করেছে।


জাতিসঙ্ঘ বলেছে, তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাত গাজার জনসংখ্যার প্রায় ৮৫ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। বাস্তুচ্যুতরা আশ্রয়কেন্দ্রে ভিড় করছে এবং খাদ্য, পানি, জ্বালানি এবং চিকিৎসা সেবার জন্য লড়াই করছে।

ইসরাইল গাজার মানবিক সঙ্কট এবং ক্রমবর্ধমান বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা নিয়ে ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের সম্মুখীন হচ্ছে। অঞ্চলটির হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার-সোমবার রাতে বোমাবর্ষণে ৬০ জন নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে।ইসরাইল-অধিকৃত পশ্চিম তীরে মারাত্মক সহিংসতা লেবাননের সাথে ইসরাইলের সীমান্তে গুলি বিনিময় এবং লোহিত সাগরে মার্কিন বাহিনী এবং ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনি বিদ্রোহীদের হামলায় যুদ্ধ গাজা উপত্যকা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।জাতিসঙ্ঘ প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস সোমবার ‘যেখানে প্রয়োজন সেখানে পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছে দেয়া নিশ্চিত করতে, বন্দীদের মুক্তির সুবিধার্থে এবং বৃহত্তর যুদ্ধের আগুন নেভাতে’ গাজায় একটি মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।


সূত্র : এএফপি।

Related Articles

Back to top button