জাতীয়

ভিসা নীতি সরকারের বিষয়, পুলিশের চিন্তার না

টাইমস ২৪ ডটনেট: জাতীয় নির্বাচনে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব নিয়ে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা পেয়েছেন জেলা পুলিশ সুপাররা (এসপি)। পুলিশ বাহিনীর ইমেজ নষ্ট হয়—এমন কোনো কাজ করা যাবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মাঠপর্যায়ের এই কর্মকর্তাদের। এ ছাড়া গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।মঙ্গলবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত পুলিশ সদর দপ্তরের ত্রৈমাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা থেকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য মিলেছে। রাজধানীর রাজারবাগে পুলিশ অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ওই সভায় চলতি বছরের এপ্রিল-জুন ও জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে সংঘটিত নানা অপরাধ পর্যালোচনা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার নানা কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। এতে পুলিশ সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা ছাড়াও পুলিশের সব ইউনিট প্রধান, ৬৪ জেলার এসপি, রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটন কমিশনাররা অংশ নেন। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে এটাই শেষ ত্রৈমাসিক সভা।সভায় উপস্থিত ছিলেন এমন অন্তত ডিআইজি মর্যাদার দুই কর্মকর্তা ও কয়েকজন পুলিশ সুপারের সঙ্গে কালবেলার কথা হয়। তারা জানান, পুলিশ আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়—এমন কোনো কাজ বরদাশত করা হবে না।
একজন কর্মকর্তা জানান, সভাপতির বক্তব্যে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, তাকে সাংবাদিকরা মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে প্রশ্ন করেন। কিন্তু ভিসা নীতি নিয়ে পুলিশের চিন্তা করার বিষয় নয়, এটা সরকারের বিষয়। পুলিশ পুলিশের দায়িত্ব পালন করবে। তিনি সজাগ ও সতর্কতার সঙ্গে মাঠপর্যায়ের পুলিশকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি আইনি দায়িত্ব যথাযথ ও আইনানুগভাবে পালন করার কথা বলেন।সভা সূত্র জানায়, পুলিশ সদস্যরা মামলায় নিয়মিত সাক্ষ্য দিতে না যাওয়ায় আসামিরা বিচারে খালাস পাচ্ছে, এমন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশপ্রধান কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অপরাধীদের শাস্তি যাতে নিশ্চিত হয়, সেজন্য তিনি যথাযথভাবে পুলিশকে আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার নির্দেশ দেন।গতকালের সভায় আসন্ন দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা হয়। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে যাতে দুর্গাপূজা পালন করা যায়, সেজন্য পুলিশ সদস্যদের সতর্ক থাকার কথা বলেন পুলিশপ্রধান। কেউ যেন গুজব সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে, সেজন্য সজাগ থাকতে বলেন।
আইজিপি ছাড়াও অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্তি আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম সভায় বক্তব্য দেন। সেখানে অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. আতিকুল ইসলাম এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই কোয়ার্টারের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এ ছাড়া সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (লজিস্টিকস) মো. মাজহারুল ইসলাম, পিবিআইয়ের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার, ডিআইজি (ফাইন্যান্স) এস এম মোস্তাক আহমেদ খান, এআইজি (হেলথ, ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড পেনশন) মো. নাজমুল ইসলাম শাখা সংশ্লিষ্ট বিষয় উপস্থাপন করেন।

Related Articles

Back to top button