চলতি সংবাদ

ফরিদপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশিদের ১৫ আগস্ট পালন


টাইমস ২৪ ডটনেট: সর্বকালের সর্বোশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ফরিদপুর-১ আসনব্যাপী শোক দিবস, মিলাদ মাহফিল ও কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা হয়। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ভিন্ন ভিন্ন ভাবে দিবসটি পালন করেন। সরজমিনে দেখা যায়, ফরিদপুর-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মঞ্জুর হোসেন বুলবুল, বাংলদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য ও সাবেক এমপি আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার সম্পাদক লায়ন মো. সাখাওয়াত হোসেন, বোয়ালমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলার চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মোশা মিয়া, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার, বাংলাদেশ শ্রমিক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আলহাজ সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদিকা মাহমুদা বেগম কৃক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সহ-সভাপতি ডা. দীলিপ রায়, ঢাকা টাইমস পত্রিকার সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলনসহ আরো কয়েকজন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা শোক দিবস উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল ও কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করেন। এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বৃহৎ আকারের আয়োজন করেছেন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও দৈনিক নবচেতনা’র সম্পাদক ও প্রকাশক লায়ন মো. সাখাওয়াত হোসেন। এলাকাব্যাপী ছোট-বড় অনেক আয়োজনে এটাই প্রমাণিত হয় ফরিদপুর-১ এর মাটি বঙ্গবন্ধুর ঘাঁটি। শত শত স্পটে কাঙ্গালী ভোজ ও মিলাদ মাহফিলে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। এলাকাব্যাপী এতো আয়োজনের কারন জানতে চাইলে আমাদের প্রতিনিধিকে লায়ন মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জাতির সর্বোকালের সর্বোশ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান বৃহত্তর ফরিদপুর। ফরিদপুরের প্রতিটা আসনের ন্যায় ফরিদপু-১ আসনের জনগন বঙ্গবন্ধুকে মনের সবটুকু আবেগ দিয়ে ভালোবাসেন। তারই ফলশ্রুতিতে এই এলাকার মানুষ বার বার নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এই আসন উপহার দিয়ে থাকেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও যে তার কোন ব্যত্যয় হবে না এসব তারই নিদর্শন। তিনি বলেন, জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাঙালি জাতির জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতেও কৃপণতা করেননি। বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে দেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে উপনীত হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সর্বোবৃহৎ প্রকল্প রূপপুর পারমনবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশ্বব্যাপি আলোচিত স্বপ্নের পদ্মাসেতু, কর্ণফুলি টানেল, পাতাল রেল, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার, হাতিরঝিল প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু স্যাটেল্যাইটসহ হাজার মেগা প্রকল্প আজ দৃশ্যমান। বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে রোল মডেল হিসাবে দাঁড় করানোর কৃতিত্ব একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার। তিনি আরো বলেন, আমি যদি জননেত্রী শেখ হাসিনার আর্শীবাদপুষ্ঠ হয়ে এই আসনের মনোনয়ন পাই তাহলে সকল নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে স্বরনকালের সর্বাধিক ভোটে জয় লাভ করে এই আসনটি বঙ্গবন্ধু কন্যাকে উপহার দিতে সামর্থ হবো। আওয়ামী লীগের মনোন য়ন না পেলে আপনি কী স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন এমন প্রশ্নের জবাবে লায়ন মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ২০০৮,২০১৪ ও ২০১৮ এই তিনবার আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এই আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। ২০০৮ ও ২০১৪ সালে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেও নেত্রীর সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে নৌকার বাহিরে যাইনি। আগামীতেও কোনদিন বঙ্গবন্ধুকন্যার সিদ্ধান্তের বাহিরে যাবো না। পরিশেষে তিনি সকলের দোয়া প্রত্যাশা করেন।

Related Articles

Back to top button