এনামুল হক, টাইমস ২৪ ডটনেট: বাংলাদেশে ঢাকায় বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্তের রোগীর চাপ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। শয্যা ফাঁকা না থাকায় প্রথম সারির অনেক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ফিরে যেতে হচ্ছে ডেঙ্গু রোগীদের।বাংলাদেশে ডেঙ্গু নিয়ে যত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় ৫৬টি বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করা হচ্ছে। এসব হাসপাতালে এ পর্যন্ত সর্বমোট ১৫ হাজার ৫৫৬ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। ১১ আগস্ট পর্যন্ত এসব হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৭৩ জনের। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ২ হাজার ৮৭ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমআইএস) অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে ঢাকার ডেঙ্গু আক্রান্তের হার মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে, তবে এখন ঢাকার বাইরে আক্রান্তের হার বাড়ছে। ঢাকায় স্থিতিশীল থাকায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ কিছুটা কমে এসেছে। তবে প্রথম সারির বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ আছে। বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু চিকিৎসায় নির্দিষ্ট গাইডলাইন করে দেওয়া আছে, তাদের বলা হয়েছে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে। বেসরকারি ডেঙ্গু পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর বেশি কারও নেওয়ার সুযোগ নেই। ঢাকায় বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালটিতে রোগীদের জন্য মোট শয্যা রয়েছে ৬০০টি। ঢাকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এছাড়া অন্যান্য প্রায় সবগুলো হাসপাতালেও ভর্তি ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা চলছে।