আন্তর্জাতিক ডেস্ক:অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান ন্যাশন্স বা আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিল মিয়ানমার। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) থেকে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় চলছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক।আগামীকাল শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ওই বৈঠক শেষ হবে।২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বের বহু দেশ বিশেষ করে আঞ্চলিক দেশগুলো ওই দেশটিকে বয়কট করে। মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের ব্যাপক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বহু বৈঠকে দেশটির কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। ওই বৈঠকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সদস্য দেশগুলোর জ্বালানি নিরাপত্তা, খাদ্য, আর্থিক ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা।
২০২১ সালে আসিয়ান সদস্য দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে মিয়ানমারের অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রকারীদের নেতা জেনারেল মিন অং হিং-এর মধ্যে একটি সমঝোতা হয়। সমঝোতা অনুযায়ী পাঁচটি ধাপে চুক্তির শর্তগুলো বাস্তবায়ন করার কথা ছিল। কিন্তু মিয়ানমারের সামরিক সরকার গত দুই বছরে সেগুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থতার পরিচয় দেওয়ায় জাকার্তা বৈঠকে তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মং লুইনের অনুপস্থিতির কারণ।সমঝোতা অনুযায়ী কথা ছিল অভ্যুত্থানকারী সামরিক সরকার মিয়ানমারের পূর্ববর্তী সরকারের নেতাদের সঙ্গে দেখা করবে এবং সে দেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য সংলাপের পথ খুলে দেবে।
গত বছরও আসিয়ানের কম্বোডিয়া বৈঠকে মিয়ানমারকে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর সে দেশের সেনাবাহিনী নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চিকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সরকার বিরোধীদের দমন-পীড়নেরও অভিযোগ রয়েছে।