বাংলাদেশ

জাল-জালিয়াতিতে খুলনা নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির দখল করেছে মিজান

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা : অনুমোদিত অংশীদার না হয়েও জাল-জালিয়াতি করে গায়ের জোড়ে খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ণ ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিজেকে ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যায্যভাবে দখল করে নিয়েছে। এক্ষেত্রে তিনি সাবেক চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে তিনি গোপনে সভা করে নিজেকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছেন।
এক্ষেত্রে তাকে সহায়তা করেছেন হাফিজুর রহমান, তিনি নিজেকে সভাপতি হয়ে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নিয়ম ভেঙ্গে গত ২২ আগস্ট চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বানিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সিরাজুল হক চৌধুরী।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সিরাজুল হক চৌধুরী। এ সময় ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যান সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সিরাজুল হক চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে জানান, আওয়ামী লীগের দোসর মো. মিজানুর রহমান কাউকে কিছু না জানিয়ে গোপনে সভা করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেছেন। গত ২৬ মে সকালে নর্থ ওয়েস্টার্ণ ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. সাহিদা খনম স্বাক্ষরিত পত্রে তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচনের বিষয়টি জানান।
এতে বলা হয়, গত ২১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩তম ট্রাস্টি বোর্ডেও সভায় মো. মিজানুর রহমানকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তাকে কিছু না জানিয়ে মিটিং করা হয়েছে। ওই মিটিংয়ে অধিকাংশ ট্রাস্টি মেম্বার উপস্থিত ছিলেন না, আর যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের সঙ্গে চেয়ারম্যান পরিবর্তন প্রসঙ্গে কোনো আলোচনাও করা হয়নি। কৌশলে এ পদটি তিনি দখল করে নিয়েছেন। আর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুমোদিত অংশীদার (ট্রাস্টি) নয়। যে অনুমোদিত অংশীদার নয়, সে কি করে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হন? এ প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, এসব করে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে আরও বিপদের দিকে ঠেলে দিলেন। বিভিন্ন আইনগত বাধার কারণে এতে বিপাকে পড়বেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ ২১ জন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হতে পারেন। ইতোপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে আঠারো জন ট্রাস্টি ছিলেন। বাকি তিনজন ট্রাস্টিও পদ পূরণের জন্য গত ৩০ জানুয়ারি মো. মিজানুর রহমানস সৈয়দ হাফিজুর রহমান ও মো. আজিজুল হকের নাম ট্রাস্টি হিসেবে অন্তুর্ভুক্ত করার জন্য যৌথ মূলধান কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে (আরজেএসসি) পাঠানো হয়। তবে আজেএসসি থেকে তাদের এখনও ট্রাস্টি হিসেবে অনুমোদন করেনি। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানটি সুন্দরভাবে চলতে পারে এবং খুলনা অঞ্চলের মানুয়ের যাতে শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে পারে সেই প্রত্যাশা করি বলে জানান তিনি।

Related Articles

Back to top button