
মীর সাজু চরফ্যাশন প্রতিনিধি: প্রবল বর্ষণ ও ঘূর্ণিঝড় শক্তি’র আঘাতে গতকাল শনিবার রৌদ্রের উত্তাপে ভোলার চরফ্যাশনে বিচ্ছিন্ন ৩টি দ্বীপের শত শত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, রাস্তাঘাটের ক্ষতচিহ্ন ভেসে উঠেছে। শুক্র ও গতকাল শনিবার ঝড়তুপান উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারী(ইউএনও) রাসনা শারমিন মিথি জীবনের ঝুকি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে সাথে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের কাছাকাছি গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ৪শ’ পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করায় প্রসংশায় ভাসছেন। শুকনা খাবারের প্যাকেটের সাথে ৩০কেজি করে চাল,ডাল,আলু, তেল, বিস্কুট,খাবার স্যালাইন এবং ঢেউ টিন দেওয়া হয়েছে। ঘূণিঝড়ে আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ রহিমা বিবি বলেন, ঝড়তুপান হলে নেতারা ,টিন দিমু,খাবার দিমু বলিয়া শুধু নাম নিয়ে যাইতো, দেহনের আর খবর থাকতো না। এহন ম্যাডাম স্যার এসে চাউল,ডাইল চিড়া মুড়ি দিয়া তার পর নাম নিয়েছে,তার জন্য নামায পড়ে দোয়া করমু।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি দৈনিক জনতা ও টাইম ২৪.নেট এবং বিপ্লবী বাংলাদেশকে বলেন,ঘূণিঝড় শক্তির আঘাতে বিশেষ করে ভোলার মধ্যে চরফ্যাশন উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের প্রায় ৬টি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত ৭০/৮০পরিবারের ঘর সম্পন্ন বিধ্বস্ত । ৬/৭শ’ গবাদি পশু সাগরে পানির স্রোতে ভেসে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে । ইউএনও রাসনা শারমিন মিথি আরো বলেন, সময় ক্ষেপণ নয় একএক এলাকা একএক জন উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদেরকে দিয়ে ঝড়তুপানের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী ক্ষতিগ্রস্থদের হাতে পৌছিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেছি। তিনি দুর্যোগে কালীন এগিয়ে আসতে সকলে সহযোগিতা কামনা করছেন।
উল্লেখ্য গত ২৮ মে থেকে প্রবলবর্ষণ,ঘূর্ণিঝড় শক্তির আঘাতে অন্ধকারে নিম্মজ্জিত ছিল। গতকাল শনিবার ভোর থেকে প্রখর রৌদ্রের উত্তাপে মানুষের হতাশা কেটে উঠেছে। তবে বিকেলের দিকে আবার আকাশ মেঘে ঢেকে যেতে দেখা গেছে।
ছবিঃ চরফ্যাশন ইউএনও রাসনা শারমিন মিথি সার্বিকদিক নির্দেশনা ত্রাণ পেয়ে মহাখুশি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার।