রাজনীতি

ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলায় প্রস্তুত আজমল হুদা মিঠু

রাজনৈতিক প্রতিহিসংহার কবলে হলুদ সাংবাদিকতার শিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক : শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজমল হুদা মিঠু বলেছন ষড়যন্ত্রকারীদের মোকাবেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা সবসময়ই প্রস্তুত রয়েছে। আন্দোলন-সংগ্রামে অকুতভয় বিএনপির এই নেতা সম্প্রতি সময়ে তাঁকে জড়িয়ে বিভিন্ন মহলের অপচেষ্টার জবাবে এই দৃঢ়তা প্রকাশ করেন।

সম্প্রতি সময়ে বেশ কিছু অপতৎপরতার কার্যক্রমকে উল্লেখ করে আজমল হুদা মিঠু বলেন, আমার বিরুদ্ধে লাগাতার মিথ্যা ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। স্যোসাল মিডিয়ার বাইরে মিথ্যা তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ এর প্লট তৈরী করে গুটিকয়েক হলুদ সাংবাদিকদের দিয়ে ভুয়া সংবাদ ছড়ানো হয়েছে।

উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলছেন, ৫ আগস্টের পর সুযোগ সন্ধানী একটি চক্র মিঠুর সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে বিভিন্ন অপকর্মে জড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাছাড়া ভবিষ্যত নির্বাচন ও জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে আজমল হুদার প্রতি স্থানীয়দের বিদ্যমান আস্থা ও বিশ্বাসে ভাঙন ধরাতেই এত সব আয়োজন।

স্থানীয় ব্যবসায়িরা বলছেন চাঁদাবাজি ও অবৈধ আয়ের নানা কর্মকাণ্ডে ভুইফোঁড় নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলেও মিঠুর বিরুদ্ধে তেমন কোন অভিযোগ নেই। যেসব অভিযোগ আসছে তার সবটাই অতিরঞ্জিত করে রং দেয়ার চেষ্টা। বেশ কয়েকজন আওয়ামীপন্থী হলুদ সাংবাদিক আজমল হুদা মিঠুকে জড়িয়ে বেশ কিছু উদ্দেশ্যমূলক প্রতিবেদন করেছে। তবে কোন প্রতিবেদনেই মিঠু’র বক্তব্য নেয়া হয়নি। একতরফা এবং উদ্দেশ্যমূলক এসব প্রতিবেদন দলীয়ভাবে প্রভাব বিস্তারের জন্য ব্যবহার করেছে সুযোগসন্ধানী তথাকথিত নেতারা।

আজমল মিঠু বলেন, গেল কয়েকদিন আগে তুরাগ থানায় আওয়ামীলীগ আমলের একটি রাজনৈতিক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখাতে বাধ্য হয় প্রশাসন। কারন, ওই মামলার রায়ে সাজা ঘোষণা করেছিল তৎকালীণ আদালত। রায়ে বেশকিছু বিএনপি-নেতার নাম থাকলেও উদ্দেশ্যেমূলকভাবে তাঁকেই শুধু গ্রেফতার করা হয়েছিলো। এর পেছনে সুযোগ-সন্ধানী ওই চক্রটি বিএনপির প্রভাবকে কাজে লাগিয়েছে।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, আমার বিরুদ্ধে যত নিউজ ও অভিযোগ রয়েছে তার একটিরও কোন প্রমাণ বা প্রকৃত তথ্য দেখাতে পারেনি। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে প্রকৃত কোন অভিযোগকারীও খুঁজে পাওয়া যায়নি। একতরফাভাবে উদ্দেশ্যমূলকভাবে লেখা হয়েছে এবং ছড়ানো হয়েছে। কোথাও আমার কোন বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়নি। যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সে সম্পর্কে প্রশাসনের কাছে মামলা নেই। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আওয়ামীপন্থী হলুদ সাংবাদিকদের ব্যবহার করে এইসব ভুয়া তথ্য ছড়ানো হয়েছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক ইমেজ নষ্ট করতে একটি মহল তার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

জানা যায়, আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রগামী এ সৈনিক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আজমল হুদা মিঠু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে সততা আর নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তার নেতৃত্বে উত্তরা পশ্চম থানা বিএনপির নেতা কর্মীরা ছিলো সু-সংগঠিত। রাজপথের লড়াকু সৈনিক আজমল হুদা দলের জন্য নিবেদিত। শুধু তাই নয়, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছর যাবত তিনি জেল-জুলুম হামলা- মামলার স্বীকার হয়েছিলেন। কয়েবার তিনি জেল খেটেছেন। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি প্রায় ৭০টি মামলার আসামি হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ তার বাসায় ১০০ বারের ও বেশি অভিযান দিয়েছে। এ ছাড়াও তার বাসায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ,আওয়ামী লীগ ও পুলিশ বাহিনী মিলে কয়েকবার হামলা চালিয়ে বাসা বাড়ি ভাংচুর করে।

মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার আজমল হুদা মিঠু, ছাত্র জীবন থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দলকে ভালোবেসে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পতাকাতলে এসে ১৯৯৩ সালে ছাত্রদল ও ১৯৯৮ সালে ১ নং ওয়ার্ড যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ২০১০ সালে অবিভক্ত উত্তরা থানা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১২ সালে তিনি অবিভক্ত উত্তরা থানা যুবদলের সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। দলের জন্য নিবেদিত সাদামনের এই মানুষটির কাজে সন্তুষ্ট হয়ে ২০১৮ সালে উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী রাজনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল নিরহংকার এই নেতা কাজের মাধ্যমে যোগ্যতা অর্জনের মধ্যদিয়ে ২০২০ সালে উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির সদস্য সচিব পদে নির্বাচিত হন। পরোপকারী বিনয়ী এই নেতা বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পর থেকে দলের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে আসছেন। মিঠুর সামাজিক বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও আগামী দিনের উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে জনগণের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছে। ২০২২ সালে তরুণ ও মেধাবী এ রাজনীতিক উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়েছেন।

পারিবারিক ভাবে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় তিনি দলের দুর্দিনে অবহেলিত নেতা কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে সর্বোচ্চ সেবা দিয়েছেন। উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজমল হুদা মিঠু রাজনীতির পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ী। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে তিনি স্ব-শরীর জুলাই-২৪ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অগ্রণী ভুমিকা পালন করছেন।
#

Related Articles

Back to top button