বাংলাদেশ

রমনা থানার ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাউল দলের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:বর্ষবরণ ১৪৩২-এ বাউল উৎসবের অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রাজধানীর রমনা বিভাগের ডিসি মহোদয় সহযোগিতা করলেও রমনা থানার ওসি ও এসআই মনির হোসেন অনুষ্ঠান করতে বাধা প্রদান করেছেন। তাছাড়াও তাদের কারণে শাহনাজ বেলী, মুজিব পরদেশী ও শফিউল বাদশাসহ অনেক সুনাধন্য শিল্পী গান পরিবেশন করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বাউল দল।
গতকাল শুক্রবার সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন বাউল দলের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয়তাবাদী বাউল দলের সভাপতি নেওয়াজ দেওয়ান, সহ-সভাপতি আলম দেওয়ান, মোখলেসুর রহমান, যুগ্ন সম্পাদক আব্দুর রহমান ও জহিরুল ইসলামসহ অন্যান্য বাউল শিল্পীরা।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল ইসলাম জানান, রমনা বিভাগের ডিসি মহোদয়কে যখন জানানো হল বাউল শিল্পীরা তাদের মঞ্চের কাজ প্রায় শেষ করা হয়েছে। তখন তিনি আমাদের মৌখিকভাবে অনুমোতি দেন। কিন্তু রমনা থানার ওসি কোনভাবেই মঞ্চের কাজ করতে দিলেন না। পহেলা বৈশাখের রোববার রাতে আমাদের সকল কাজ বন্ধ করে দিলেন। রাতে ট্রাক ভর্তি সাউন্ড সিস্টেমের মালামাল এসেছে তা গাড়ি থেকে নামাতে তো দিলেনই না বরং ওই থানার এস আই মনির এসে ট্রাক ভর্তি সাউন্ড সিস্টেমের মালামাল রমনা পার্ক হতে সরিয়ে নিতে বাধ্য করলেন। নিরুপায় হয়ে এস আই মনির সাহেব কে পুনরায় অনুরোধ করলাম ট্রাক ভর্তি মালামাল পার্কে রাখতে, তিনি তাতেও কর্ণপাত তো করলেনই না উল্টো মাঠ থেকে সরে না গেলে গ্রেপ্তারের ভয় দেখালেন। তার কাছে ডিসি মহোদয়ের মৌখিক অনুমোতির কথা বলার পরও তিনি বিরুপ মন্তব্য করলেন। ডিসি মহোদয়ের কথা বলার পরও ওসি সাহেব কেন গুরুত্ব দিলেন না? তা আমাদের বোধগম্য নয়।
তিনি আরও জানান, এরই মধ্যে জাতীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে সকাল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেয়া হলেও পাঁচটা বাজার পূর্বেই রমনা থানার এক এসআই এসে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন। তখনও আমাদের অনেক শিল্পী উপস্থিত থেকেও সংগীত পরিবেশন করতে পারেননি।
বাউলদের প্রতি কেন এত বৈরিতা? এদেশের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিতে বাউলদের উপস্থিতি সেই প্রাচীন কাল থেকে। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ঐতিহাসিক দলিল চর্যাপদ। সে চর্যাপদেও কিন্তু বাউলের উপস্থিতি রয়েছে। বাংলা গান নিয়ে যদি কথা বলতে হয় তবে বাউলের বাইরে তেমন কোন কিছু নেই। গগন হরকরা থেকে শুরু করে রাধারমন রশিদ উদ্দিন উকিল মুন্সি শাহ আব্দুল করিম হাসন রাজা ফকির লালন শাহ পাঞ্জু শাহ পাগলা কানাই আব্দুল গনি বয়াতি কালা শাহ কালু শাহ অসংখ্য বাউল সাধক কবিদের বাণীতে বাংলা গানের ভান্ডার আজ এতো টা সমৃদ্ধ। সেই বাউল সম্প্রদায় কেন অবহেলিত হচ্ছে? তারা কেন অনুষ্ঠান করতে বা যে কোন প্রগ্রাম করতে হয়রানির স্বীকার হবে? আপনাদের মাধ্যমে জাতির কাছে এই জিজ্ঞাসা রইলো বলে জানান তিনি।

Related Articles

Back to top button