
টাইমস ২৪ ডটনেট: ইরানের মহাকাশ সংস্থার প্রধান হাসান সালারিয়ে বলেছেন, ইরান গত ফার্সি বছরে পাঁচটি উপগ্রহ এবং একটি গবেষণা পেলোড সফলভাবে কক্ষপথে স্থাপন করেছে। পার্সটুডের তথ্য বলছে- কক্ষপথে স্থাপিত উপগ্রহগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলো চামরান, কওসার, হুদহুদ। ইরানি মহাকাশ সংস্থার প্রধান বিগত ফার্সি ১৪০৩ সালে তাদের মহাকাশ শিল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন ও সাফল্য সম্পর্কে বলেন, “আমরা অবকাঠামোগত ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছি, যার ফলে চাবাহার মহাকাশ কেন্দ্রের অবকাঠামোগত কাজ ৮০ শতাংশেরও বেশি সম্পন্ন হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে এই কেন্দ্রের প্রথম অংশ নয়া ফার্সি বছরে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হবে।”
গত বছর তিনটি উৎক্ষেপণের মাধ্যমে কৃত্রিম উপগ্রহসহ মোট ছয়টি পেলোড কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। ইরানের এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, বিগত ফার্সি ১৪০৩ সালে মহাকাশ খাতে ইরান নিজের করা রেকর্ড নিজেই ভেঙেছে।হাসান সালারিয়ে বলেছেন, অবকাঠামোগত ক্ষেত্রে পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশের সোলমাস এবং খোরাসান রাজাভি প্রদেশের চেনারান মহাকাশ কেন্দ্রের কাজেরও ভালো অগ্রগতি হয়েছে এবং এগুলোর ভৌত অবকাঠামোর প্রায় ৭৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই দু’টি কেন্দ্র স্যাটেলাইট চিত্র গ্রহণ এবং স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা হবে। তিনি বলেন, দক্ষিণ ইরানের কেশমের কেন্দ্রস্থলে এক্স-ব্যান্ডে ছবি গ্রহণের জন্য একটি নতুন প্ল্যাটফর্মও স্থাপন করা হয়েছে, যা কাজ শুরু করেছে এবং এর মাধ্যমে স্যাটেলাইট ছবি গ্রহণ করা হচ্ছে। আমরা কারাজের মহদাশত মহাকাশ কেন্দ্রেও ছবি গ্রহণ এবং উপগ্রহ নিয়ন্ত্রণের কাজ এগিয়ে নিতে পেরেছি।
গত ফার্সি বছরে ইরান নিজেদের তৈরি একটি স্পেস টাগ এবং ন্যানো স্যাটেলাইট মহাকাশে সফলভাবে পাঠানো হয়েছে। এই কাজে ব্যবহার করা হয়েছে ইরানের তৈরি ‘সিমোর্গ’ স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল। ইরানের পাঠানো স্পেস টাগ বা অরবিটাল ট্রান্সফার ব্লকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সামান-১’ এবং ন্যানো স্যাটেলাইটের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফাখর-১’। সেমনান প্রদেশের ইমাম খোমেনী (রহ.) মহাকাশ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে এগুলো পাঠানো হয়। স্পেস টাগ ও স্যাটেলাইট পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরের কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, ‘ফাখর-১’ ন্যানো স্যাটেলাইটটি পাঠানোর উদ্দেশ্য ছিল সিমোর্গ স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকলের মাল্টি-প্লেলোড উৎক্ষেপণের ক্ষমতা যাচাই করা। ইরানের শহীদ বিজ্ঞানী ড. মোহসেন ফাখরিজাদের সম্মানে এই স্যাটেলাইটের নামকরণ করা হয়েছে ‘ফাখর-১’। এটির ওজন ১০ কেজির কম।
ইরানের মহাকাশ সংস্থার প্রধান হাসান সালারিয়ে বলেছেন, ইরানের পাঠানো স্পেস টাগ বা অরবিটাল ট্রান্সফার ব্লকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সামান-১’ একটি মহাকাশযানের সমতুল্য। ইরানের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা কম খরচে আরও দূরবর্তী কক্ষপথে স্যাটেলাইট স্থাপন করার জন্য ‘সামান-১’ নামের স্পেস টাগ তৈরি করেছেন। এর ফলে বড় আকৃতির লঞ্চ ভেহিকলের প্রয়োজনীয়তাও দূর হবে বলে জানা গেছে।
সূত্র: পার্সটুডে।