
সৈয়দা রাশিদা বারী: গবেষণাকর্ম ও লেখক জগতের দুই বিশ্বস্তজন শ্রাবনী ও শান্ত। শ্রবাণী বলছে শান্তকে- দান হলো মনের সাথে লিপ্ত থাকা প্রয়োজনের বিষয়। এটা কেউ কারো দিতে অনুরোধ করতে হয় না। আবার নিষেধও করতে হয় না। সেটা মানুষের সাথে শত্রুতা করা হয়। আমার মনে হয় এই ধরনের বিষয় ভালো নজরে দেখলেই ভালো। মন্দ নজরে দেখলেই মন্দ। আল্লাহ এবং নবীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল তো হতেই হবে। আল্লাহ এবং নবীর উম্মতদেরও কারো ছোট করা ঠিক নয়, আমার তাই মনে হয়। যার যার ভালো তার তার কাছে থাকে। নিয়তটা ঠিক রাখতে হবে। নিয়তটা আল্লাহ নবীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল রেখে, আল্লাহ নবীর উম্মতদের মানুষ মনে করতে হবে। ভালোবাসতে হবে। বাঁচতেও দিতে হবে। এখন কথা হল একই জাতি ধর্মের হলেও মানুষের কর্মক্ষেত্র যেমন ভিন্ন। তেমন প্রয়োজন ও পছন্দও ভিন্ন। এটা খুবই স্বাভাবিক। এবং এটাও মার্জিত শ্লীলতার। তাই যারা থাকে, ঘরবাড়ি হারা, অসহায় গরিব-দুখী তারাও বাঁচার অধিকার রাখে। সহযোগিতা পাওয়ার ও নেওয়ার অধিকার রাখে। তারাও তো মানুষ। আল্লাহর বান্দা নবীর উম্মত। তারা মদের আড্ডায়, জুয়ার আড্ডায় বসে নাই। লুচ্চা লয় বা বেশ্যা খানায় যাচ্ছে না। চোর বাটপার এর কাছে আশ্রয় চাইতে যাই নাই। অন্যায় অবৈধ পথে অনাচারে লিপ্ত হয় নাই। না হয় একটু অলি আওরিয়া প্রেমিক। তাই মাজার প্রাঙ্গনে ঘোরে, যায়, বসে। ওই সব খারাপ সঙ্গ ও চক্রান্ত এড়িয়ে, নিরাপদ মাজার এড়িয়ায় নিরাপদে থেকে, আল্লাহ আল্লাহই করছে। না হয় হরি হরি ভগবাদ ঈশ্বর ঈশ্বরই করলো। তাতে সমস্যা কি? স্বৈরাচার স্বৈরাচার তো করছে না? জয় বাংলা। জয় বাংলা, শ্লোগানে নেই। বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু বলছে না। আওয়ামীলীগ আওয়ামীলীগ করছে না। বিএনপি বিএনপি করছেনা। কারোর মাথায় বাড়ি দিচ্ছে না কিংবা পাকা ধানে মই মুগুর দিচ্ছে না। তো সমস্যা কি? যারা অলি আউরিয়ার মাজার শরীফ পছন্দ করে না, তারা যাবে না, ওখানে এবং তারা কিছু দেবে না। কিন্তু যারা আছে, আল্লাহর অলির কাছে, যাই বা থাকে, মানসিক শান্তি পেতে আল্লাহকেই ভালোবেসে। সেই ব্যক্তিদের পিছনে লাগার কি প্রয়োজন? ওখানে যেয়ে, কোন কোন মানুষ যদি, বদমাইশের হাত থেকে বেঁচে, ভালো হয়, নিরাপত্তা পায়, খারাপ লাইন থেকে মুক্তি পাই, তো সমস্যা কি? প্রশ্নর সাথে ২লেখক ২লেখকের দিকে তাকায়! তাদের ৪ চোখের মিলন এক হয়ে গবেষণামূলক লেখা, অধ্যাবসায়ের জগত হৃদয় একাকার হয়ে, শান্ত মুখ খুললো এতক্ষণে। বললো- হ্যাঁ একটা জিনিস সবার পছন্দ হয় না। যার পছন্দ হয় না, সে ওখানে না গেলেই হলো? ওখানে কিছু না দিলেই হলো? অন্যকে বাধা দেওয়ার কি দরকার? টাকা কি সস্তা? যে যেখানে সেখানে মানুষ ময়লা ফেলানোর মতো ঢেলে দেয়? তাই মাজারের ব্যক্তির কিংবা মাজারে কেউ দিলে, সে বুঝেই দেয়। রাজনীতি করে যারা বিপদে পড়ছে এবং নানাজন নানাভাবে অকালে মরছে সেটা দুঃখজনক! কিন্তু ওখানে যারা থাকে বা যায়, ওরা তো রাজনীতি সমাজনীতি করে না।, ওদের হেনস্থা করার ইচ্ছা মনে উদয় হবে বা প্রভাব ফেলবে কেন? ওরা যে কোন ভাবে অন্যায় না করে বেঁচে থাকছে, বেঁচে থাকুক। ওদেরও বেঁচে থাকার অধিকার আছে। রাজনীতিমুক্ত, ওদের মেরে ফেলানোর চিন্তা মাথায় আসবে কেন??!! ওদের আশ্রয় নষ্ট দখল করার ধান্দাইতো!? কারণ ওদের জন্য মাজারের জমিটা দখল নিতে পারছে না। তাই ওদের মিথ্যে দোষ ধরে মাজার ভাঙে। দরবার শরীফ লুণ্ঠন করে! এইটা কিন্তু ১০০% রাইট। আর ওদের আশ্রম নষ্ট করা মানেই মেরে ফেলানোর ধান্দা! এবং ওদেরকে হাতে নিয়ে, দুষ্টুরা, নিজের মত ওদের খারাপ কাজে ব্যবহার করার ধান্দা। ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে দেখবেন আমি যা বলেছি মিথ্যে নয়। নিরপেক্ষরা নিরপেক্ষয়। তাদের রাষ্ট্রের কাছে কোন চাওয়া পাওয়াও নাই। রিয়াকশনও নাই। একশন রিয়াকশন, প্রতিশোধ পাল্টা প্রতিশোধ, এগুলো কাজ হচ্ছে রাজনৈতিকদের জন্য। আমি যেমন কোন দলমল করি না। আবার আমি কোন দলের শত্রুও নয়। কোন স্বার্থ শর্তও নেই আমার। মাজার পূজারীও নয়। তবে মানবধর্মী সাংবাদিক ও লেখক, গবেষক ছোটবেলা থেকে। তাই আমি লালন একাডেমীসহ ভারত বাংলাদেশ মিলিয়ে আধ্যত্মিক ফকির ফাকরার বহু ঘরানা, দরবার শরীফ ও মাজার শরীফ নানাভাবে পর্যবেক্ষণ এবং তাদের সাথে সময় দিয়ে জেনেছি। ওখানে ভিজিট করে দেখেছি। ওখানে যারা থাকে, তাদের নিয়ত খারাপ নয়। তারা ধর্ম নিয়ে যারা ব্যবসা করে তাদের থেকে এবং দেশ নিয়ে যারা ব্যবসা করে, ঐ রাজনৈতিকদের থেকে ভালো। বরং তারা অন্যায়মুক্ত থাকার জন্যই ওখানে অবস্থান করে, নিজেকে শোধন বোধন করে নিরাপদে রাখার জন্য। অলিদের মাজার শরীফ দরগা শরীফ এতকালতো নিরাপদ ছিলই। জুন জুলাই ৫তারিখ বিগত সরকারের পতন হতে সেই নিরাপদের ফাটল ধরেছে উল্টোপন্থি উগ্রবাদীদের …। এরপর অন্তবর্তী সরকার এলো ভাবলাম দেশটা বুঝি নতুনভাবে ভালো থাকবে এবার। আরো ভালো থাকবে! এখন দেখছি- সেগুড়ে বালি! মাজারের আশ্রয়ীরা গরীব দুঃখী সর্বহারা। চাই না কিছু, ধান্দা করে না।
বেশিরভাগ গরীব দুঃখী অসহায় ৭১রের ভারসাম্যহারা। ভারসাম্য হারাদের পাকিস্তানের মিলিটারী মাথায় রাইফেলে আঘাত করার দরুণ হয়। ২৫/৩০ বছর পূর্বে অল্প বুদ্ধির বয়সে আমি তাদেরও সাক্ষাতকার নিয়েছি। পূর্বে ছিলো এখন তারা আর নাই! হয়তো মারা গেছে। তবে এখনকার যারা সাদা মাঠা অসহায় এবং নদী ভাঙ্গনে অথবা অন্যভাবে ভিটে বাড়ি হারা মানুষ। হয়তো বা দুই এক জন খারাপ মানুষ থাকতেও পারে। সেটা বহিরাগত। কোন ফ্যাসাদকারীর চক্রান্তের শিকার হয়ে, ডানপিটে কাজ করে বেড়ায়। আল্লাহর অলীদের ভক্তদের ফাসাতে আসে। অপকর্মকারীদের টাকার প্রলোভনেও আসে। সেটা কিন্তু সব সেক্টরে অবাঞ্ছিতভাবে আছে। মাদ্রাসা মসজিদের ভিতরেও কিন্তু খারাপ মানুষ আছে, আসে, তারাও অবাঞ্চিত। সেন্ডেল চুরি করে তারাও অবাঞ্চিত। এই যে ৮মার্চ ২০২৫ রমজানের রহমতের ১০দিন চলাবস্থায় ৭রমজান মসজিদের মধ্যে একসঙ্গে ৩জন খুন হলো! বলাৎকার হলো মাদ্রাসায়! এখন এর জন্য কি ঐ প্রতিষ্ঠান বা ঘরগুলো গুড়িয়ে দিতে হবে, ভাঙতে হবে নাকি? তাই মাজারনীতিক মাজারবিদরা গাজা খায়, এই দোষে আল্লাহর অলীদের মাজার ভাঙার যুক্তি বা প্রশ্নই নাই। বরং এই অছিলা বা দোহায় কিন্তু একদমই অবৈধ বা অযৌতিক। আর তাছাড়া ওরা খায় না। উদ্ভট উদগ্রীবরা অন্য ছেলেপেলে এদিক সেদিক খেয়ে বেড়ালে সেই দোষ এদের ঘারে অন্যায়ভাবে চাপানো হয়! এটাও দুর্ধ্বস্তপণা! আমি কিন্তু একটানা ৪৮ঘন্টা পর্যবেক্ষণ করে জেনেছি দেখেছি এবং বুঝেছি। যেমন- গোলাপ শাহ মাজার থেকে একটু দূরে গভীর রাত্রে কিছু চিটার বাটপাল লম্পদ দুর্ধ্বস্ত মাস্তান ছিনতাইকারী গুণ্ডা নেশা করে ও নেশাজাতীয় জিনিস খায়। ভয়ে কিন্তু পুলিশও ওদের কাছে যায় না। ওখানকার রাস্তার পাহাদার, ট্রাফিক, নাইটগার্ড, পুলিশরা সেটা কিন্তু জানে। ঐ পুলিশ ট্রাফিকদেরও আমি ভিজিট করেছি সাক্ষাতকার নিয়েছি, ঐসব মুহূর্তেই। তারা বলেছে আমাদের জীবনতো তাদের হাতে ছেড়ে দিতে পারি না। তাই যায় না ওদের কাছে! ওদের ধরতে। ওরা খাচ্ছে- ওরা খাচ্ছে, আমরা পাহাড়া দেওয়ার দরকার পাহাড়া দিচ্ছি- ইত্যাদি। ঠিকই তো ?! ওরা কেন বাটপারদের হাতে যান দেবে?! এই যে এখন আমি বললাম বলে সেটা প্রমাণ করতে, কোন দুষ্ট, শত্রুতামূলক ওদের ভাষ্য মতে- মাজার পূজারি আমার ভাষ্যমতে মাজার নীতিবিদ, পাগল নিরীহদের কারো পকেটে অথবা থলির মধ্যে হিরোইন, মদ, গাজা ইত্যাদি নেশাজাতীয় খারাপ কিছু ঢুকিয়ে দিয়ে, ধরিয়ে কেউ যদি দেখায়, যে এটা তো পেলাম, সেটা আলাদা কথা। শত্রুতা করলে সবই সম্ভব। তবে ঐরকম করলে সে আল্লাহর কাছে, বিশেষ একজন, ইবলিশ শয়তানে পরিণত হবে। এ ছাড়া আর কি বলবো তাকে? মহান বিশ্ব নেতা আল্লাহপাকও তাকে ইবলিশ বলবে! কারণ আল্লাহ কারো মাথায় ঘোল ঢালতে বলেন নাই। সুফি সাধক আল্লার বান্দা। সাধারণরা যাদের পাগল ছাগল ভাবে তারাও আল্লাহর বান্দা। সাংবাদিক কবি সাহিত্যিক আল্লাহর বান্দা। শ্রদ্ধেয় গুরুজন আল্লাহর বান্দা। হুজুরগন আল্লার বান্দা। রিক্সাওয়ালা মুচি নাপিত আল্লাহর বান্দা। রাস্তার ফকিররা আল্লাহর বান্দা। সবাই নবী রাসুলের উম্মত। মাজার দরগা দরবার শরীফে যারা আছে হয়তো নতুন চকচকে পোশাক পড়ে না। ভালো খায় না। ভালো জায়গায় ঘুমায় না। কিন্তু তারাও আল্লার মানুষ। নবীর উম্মত। নিজ স্বার্থ বাদ দিয়ে, ব্যক্তিগত স্বার্থ বাদ দিয়ে, তাদেরকেও মানুষ ভাবতে হবে। আল্লাহর পাওয়ার অনেকগুলো রাস্তা আছে। সেইসব রাস্তা ফেলে কেন এই রাস্তায় হাটা?! ওই গরিব দুখীর পলিটিক্স ষড়যন্ত্র করে নানান অজুহাত ওসিলায়, তাদের সড়িয়ে দেওয়ার নামে, ওই আল্লাহর অলির, ইবাদত খানা ও কবরের জায়গা টুকু দখল করার মানসিকতা, চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে। সবকিছুরই নিগেটিভ দিক আছে পজেটিভ দিকও আছে। আর বেঁচে থাকার অধিকার সবার আছে। তাই ওখানকার ফকির মিছকিনিরও তো রমজাদের দান বা যেকোন দান পাবার হক আছে। তা কেউ দেয় না। সরকারের দানের নানান প্রণোদনা মাদ্রাসা মসজিদ এতীম খানা ইত্যাদি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান পায়। যারা আছে দায় দায়িত্বে লভ্যাংশ তরাইতো নেয়। মাজারেরও একটা অংশ প্রাপ্তী আছে। বোধ হয় ভারতের জাতিসংঘ সেটা দেয়। সেটা কোথায়? যেহেতু এখানে থেকে অলী আউলিয়ার অচিলায় বা গুণেও সেবা পাচ্ছে দুখিরা। দুঃখ হলো যারা খায় এদের হক তারাই এদের সতীন ভাবে। শত্রু মনে করে। গাজাখোর দুর্নাম দেয়। দুই দিনের দুনিয়ায় দুনিয়াদারি রাজত্ব চিরকাল কারো থাকে না। অতএব মাজারভক্ত ব্যক্তিদেরও আল্লাহর বান্দা ভাবতে হবে। আর মরা মানুষের তার বৈধকৃত দরবার শরীফের দানকৃত জায়গা, তার অবর্তমানে তারই গুণগ্রাহীরা থাকছে। নিঃস্ব দরিদ্ররা থাকছে। এবং তার যাবতীয় দেখে শুনে রাখছে। এখানে তো না জায়েজের কিছু নাই। গাছের ফল পাখি খেলেও মৃত ব্যাক্তি (মালিক) কবর থেকে ছওয়াব পাই। তো দুনিয়ায় আল্লাহর রাস্তায় আধ্যাত্মিক এতীম উপকৃত হলে এবং তার গুন জ্ঞান করলে, তারজন্য দোয়া দরুদ পড়লে কবর বাসী তথা দুনিয়ার মানুষ উভয়ের জন্যই কল্যাণ। আর তিনিও সেটাই চেয়েছিলেন। দরবার শরীফ পরবর্তীতে আল্লাহ ও আল্লাহর গুণগ্রাহী নবী রাসুলের ভক্ত দ্বারা পরিচালিত থাকবে। মণীষিগন মৃত্যুর পরেও মানুষের খেদমত করেন। তাদের রুহু সবই দেখতে পাই। এই ব্যাপারে ব্যখ্যা দিতে গেলে লেখার শেষ হবে না। তাই থাক এ কথা। এখন যেখানে থাকে তার ভক্তরা। ওরা ফকির অসহায়। ওরা না থাকলে খারাপরা দখলবাজিরা কবেই দখল করে নিয়ে নিতো! কবরের জায়গাটুকু দরবার শরীফটা দখল করার চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিতে হবে। নদীর চর ভালই দখল করা হয়েছে! বাদ দিতে হবে নদীর বুক থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলণ করা ও মাজারের জায়গা দখল করার ধান্দা!! দয়াময় আল্লাহ যে, কার ভালোবাসেন, কার পছন্দ করেন, সেটা কেউ জানে না, একমাত্র আল্লাই জানেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো, বিপদে সুযোগ নেওয়া ও হিংসাবৃত্তি পরশ্রীকাতরকে, সাত আসমান জমিন, দোজাহানের মালিক, আল্লাহ সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করেন। রমজানের দান মানুষের জন্য, জানোয়ারের অমানুষের জন্য নয়। দখল বাজিদের জন্যও নয়। আমার মতে মাজারবাসী দুঃখি অসহায়দেরও হক আছে। আর দাতার মন যেখানে টানবে সেই দেওয়াটাই কবুল হবে। জুলুম করা দানের ওপর চলে না। জুলুম কি? এ অযুহাত, সে অজুহাত, এ মাসায়েল, সে মাসায়েল, এ ব্লাকমেইল, সে ব্লাকমেইল এবং কোন কোন অছিয়ত নছীয়ত এর নামও জুলুম। মানষিক তৃপ্তিই দানের আসল কান্ডারী। মহান আল্লাহর কাছেও সেটা গ্রহণযোগ্য। এই রমজানের পবিত্র মাসে সিয়াম সাধনা সংজমতা আল্লাহ কবুল করুণ। এবং মানুষকে মসুষত্বে পরিণত করুন। ইফতারি সামনে দুই রোজাদার শ্রাবনী শান্ত দুজনে বললো- আমিন।