
স্টাফ রিপোর্টার : উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আজমল হুদা মিঠুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ও নিঃস্বার্থ মুক্তির দাবিতে উত্তরায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে দলের নেতা কর্মিরা।
১১ই মার্চ মঙ্গলবার উত্তরা আজমপুর রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি মুগ্ধমঞ্চ হয়ে উত্তরা ১১ নম্বর চৌরাস্তা দিয়ে গিয়ে উত্তরা আধুনিক মেডিকেলের সামনে এসে বিক্ষোভ মিছিল শেষ হয়।
মিছিলে অংশ নেয় উত্তরা বিএনপির ছাত্রদল, যুবদল, সহ আরো সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন নেতা কর্মীরা।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কালে করা একটি হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারের ঘটনাস্থলে থাকা বিএনপির সাবেক ছাত্রনেতা মাসুদ রানা বলেন, গতকাল সোমবার প্রতিদিনের মতো আমরা মিঠু ভাইকে নিয়ে ইফতারি বিতরণে ছিলাম। প্রথম রমজান থেকেই আমরা ইফতার বিতরণ করে আসছি। ঘটনার সময় আমরা রাজউক কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স এর পিছনে ছিলাম। এমতাবস্থায় একজন ডিজিএফআই’র পরিচয় দিয়ে বলেন, এখানে আজমল হুদা মিঠু কে? তখন মিঠু ভাই বললেন আমি হলাম আজমল হুদা মিঠু।
ডিজিএফআইয়ের অফিসার বলেন, আমার সাথে আপনাকে সেনা ক্যাম্পে যেতে হবে। তখন আমরা বললাম কেন? এটা বলার পর অফিসার বললেন ওনার নামে ২০১৮ সালের তুরাগ থানায় একটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। তাই ওনাকে নিয়ে যেতে হবে। পরবর্তীতে তাকে নিয়ে গেলেন। সেনা ক্যাম্প থেকে তুরাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উত্তরা পশ্চিম থানায় নেওয়া হয়। পশ্চিম থানা থেকে জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
পরের দিন মঙ্গলবার অনলাইন পোর্টাল সহ একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় পত্রিকায় চাঁদাবাজির মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয় এই শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। যা সম্পুর্ণ ভুল তথ্যে সয়লাব। আমরা ধারণা করছি মিঠু ভাইয়ের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ কয়েকজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ বিভিন্ন সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে। যার ফলে সেসব সাংবাদিকরা যাচাই-বাছাই ছাড়াই ভুল তথ্যে সংবাদ পরিবেশন করেছে যা অত্যন্ত দুঃখ জনক।
আন্দোলনে নেতারা দাবি করেন মিঠু ভাই আওয়ামী আমলে দীর্ঘদিন কারা নির্যাতিত বিএনপির পরিক্ষিত সৈনিক। বারবার কারাবরণকারী মজলুম নেতা মিঠু ভাই। যখন বিএনপি পরিচয়ে কেউ কথা বলার ছিল না তখন মিঠু ভাই ছিল উত্তরা বিএনপির একমাত্র ভরসা। আমরা এস এম জাহাঙ্গীর ও মিঠু ভাইয়ের নেতৃত্বে গত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের আমলে জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়ে বিএনপিকে আগলে রেখেছি। আজকেও মিঠু ভাই নির্যাতিত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থেকে বারবার বলা হলেও গত ফ্যাসিবাদের আমলের যত মামলা আছে সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করা হবে। কিন্তু অতি দুঃখের সাথে জানাতে হয় ফ্যাসিবাদের আমলের মামলায় আমাদের নেতা মিঠু ভাই গ্রেফতার হয় কিভাবে?