বাংলাদেশ

সম্ভাবনার খিলক্ষেতে পকেট ভরতেই ব্যাস্ত স্থানীয় ধান্দাবাজরা

এস.এম.নাহিদ, টাইমস ২৪ ডটনেট :খিলক্ষেতের পূর্বে পূর্বাচল উপশহর, পশ্চিমে নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকা ও বিমান বন্দর,উত্তরে কাওলার সিভিল এভিয়েশন কোয়ার্টার এবং দক্ষিনে অত্যাধুনিক ৩০০ফিট রোড সহ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা।চতুর্দিক এত উন্নত হলেও রেললাইন থেকে বালু নদীর পাড় পর্যন্ত বসবাসরত এলাকাবাসী ঘর থেকে বের হলেই সীমাহীন দূর্ভোগ ও নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দিনদিন বাড়ছে অসহায় মানুষ ও ভিক্ষুকের সংখ্যা,চলাচলের উপযুক্ত রাস্তার অভাব,অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ,বায়ু দুষন,সড়কে দখলবাজি,স্থায়ী কাঁচাবাজার সংকট সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত এই খিলক্ষেত।এখানেই সকল রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতাদের বসবাস হলেও উল্লেখিত সমস্যাগুলো যেমনি চলমান তেমনিভাবেই দৃশ্যমান।

ইতিপূর্বে খিলক্ষেতে বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা যেসব কারনে আলোচিত সমালোচিত হয়েছেন,তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কুর্মিটোলা স্কুলের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ,কাঁচাবাজার ফুটপাত অটোরিকশায় বেপরোয়া চাঁদাবাজি, ড্রেজার লাগিয়ে অবৈধ বালুর ব্যাবসা,আমমোক্তারনামায় অধিগ্রহণকৃত জমির ৫৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা,পাতিরা এলাকায় সমিতির নামে এলাকাবাসীর টাকা আত্মসাৎ, ভূমি দস্যুতা,সরকারি জায়গা দখল করে দোকান নির্মান,রেলের জায়গা দখল ইত্যাদি।

সর্বোপরি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে যারা নিজের ফায়দা ও নিজ নিজ দলের নেতাকর্মীদের অবৈধ ও অনৈতিক কাজ করার সুযোগ করে দেয়, সুখে-দুঃখে তারা কখনোই গনমানুষের প্রিয় ব্যাক্তি হতে পারে না।নিজ স্বার্থের বাইরে সাধারণ নিরীহ আম-জনতার পাশে থাকেনা বলেই তারা কোন গনমানুষের নেতা হতে পারেনা,কোন রাজনৈতিক দলের পরিচয় বহন করতে পারে না। উদাহরণ স্বরূপ উপরে বিভিন্ন নেতাদের কিছু কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হলোপ্রয়োজনে পরবর্তিতে বড় করে তাদের আরো অনেক আমলনামা প্রকাশ করা হবে। তাই এখন থেকে সাধারণ মানুষের অধিকার শোষণকারী নামসর্বস্ব এইসব নেতা পরিচয়ের মুখোশধারীদের হাটে,মাঠে,ঘাটে, শহরে-বন্দরে,ঘরে-বাইরে,পাড়া-মহল্লায় একটাই এবং একমাত্র পরিচয় – এরা “ধান্দাবাজ।”

 

Related Articles

Back to top button