জাতীয়

ট্রাম্পের অদম্য ক্ষুধা

টাইমস ২৪ ডটনেট: ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গত শনিবার ইউক্রেনের দুর্লভ খনিজ পদার্থের ৫০ ভাগ জব্দ করার মার্কিন পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন: ট্রাম্প প্রশাসনের ওই পরিকল্পনা ইউক্রেনের স্বার্থ সংরক্ষণ করে না। পার্সটুডে আরও জানায়, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সম্প্রতি জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কানাডা, গ্রিনল্যান্ড, পানামা খাল এবং গাজাসহ বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চল নিয়ন্ত্রণের দাবি, একবিংশ শতাব্দীর একটি পুরনো ধারণা। বৃহৎ শক্তিগুলো নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে এবং অন্যদের ওপর নিজেদের ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়ে মূলত নিজ দেশের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তাগত স্বার্থই রক্ষা করতে চায়। বিভিন্ন সংবাদসূত্র জানিয়েছে, ট্রাম্প সরকারের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট সম্প্রতি কিয়েভ সফর করেছেন। ওই সফরকালে বেসেন্ট ১২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনকে প্রস্তাব দিয়েছে, যদি দেশটির সরকার ইউক্রেনের দুর্লভ খনিজ পদার্থের ৫০ শতাংশের মালিকানা আমেরিকাকে দেয়, তাহলে ইউক্রেনকে রক্ষা করার জন্য তারা সেনা মোতায়েন করতে প্রস্তুত রয়েছে। গতকাল (শনিবার) জেলেনস্কি ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন: এই পরিকল্পনা ইউক্রেনের স্বার্থ রক্ষা করে না।

আলোচনা কি ইউক্রেনের কাছ থেকে আরও বেশি ছাড় আদায়ের লক্ষ্যে এগুচ্ছে?
শনিবারও আমেরিকার বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, ইউক্রেন সংকট সমাধানের জন্য আমেরিকার পদস্থ কর্মকর্তারা শীঘ্রই সৌদি আরবে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সাথে দেখা করবেন। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে টেক্সাসের রিপাবলিকান সদস্য মাইকেল ম্যাককল এ ব্যাপারে বলেছেন: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ এবং মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক ট্রাম্পের বিশেষ প্রতিনিধি স্টিভ হুইটকাফ সৌদি আরব সফর করবেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এর আগে ইউরোপের প্রতি আমেরিকার সমর্থন প্রত্যাহারের ব্যাপারে হুশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, কিয়েভ এমন কোনও শান্তি চুক্তি মেনে নেবে না যে চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনা প্রক্রিয়ায় তাদের অংশগ্রহণ থাকবে না।

পরবর্তী শিকার কি সৌদি আরব?
পরিশেষে এই গল্পের ধারাবাহিকতায়, সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী তার মার্কিন সমপক্ষের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা জোরদার করার ব্যাপারে টেলিফোনে আলাপ করেছেন। সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান এ প্রসঙ্গে বলেছেন: প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আমি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেটের সাথে কথা বলেছি। ফোনালাপে হেগসেট ওয়াশিংটন এবং রিয়াদের মধ্যে প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। ট্রাম্প আগেই ঘোষণা করেছিলেন, সৌদি আরব আমেরিকায় ৬ শ’ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। তিনি ওই বিনিয়োগের পরিমাণ ১ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছেন। ট্রাম্প আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম মেয়াদকালে সৌদি আরবকে দুধেল গাভি বলে উল্লেখ করেছিলেন।

সূত্র: পার্সটুডে।

Related Articles

Back to top button