টাইমস ২৪ ডটনেট: ব্রিটেনের দৈনিক গার্ডিয়ানের এক বিশ্লেষক মনে করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক জুটি দুই-মাথার এমন এক দানব যা ওয়াশিংটনের সঙ্গে তার মিত্রদের সম্পর্কে এক কূটনৈতিক ধ্বংসযজ্ঞ বয়ে আনতে পারে।”গার্ডিয়ান” পত্রিকার বিশ্লেষক “জুলিয়ান বোরগার” একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নভেম্বরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর থেকে “ডোনাল্ড ট্রাম্প” এর প্রত্যাবর্তনের ফলে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের জন্য ইউরোপ নিজেকে প্রস্তুত করছে, তবে মনে হচ্ছে ইউরোপের স্থিতিশীলতার প্রতি ট্রাম্পের হুমকি যেমনটি ভাবা হচ্ছিল তার চেয়ে অনেক আগে ও দ্রুত চলে এসেছে এবং এটি হতাশাবাদী পর্যবেক্ষকদের ভবিষ্যদ্বাণীর চেয়েও গুরুতর বা বেশি কঠিন হয়ে দেখা দিয়েছে।
বোরগার ইউরোপের উগ্র ডানপন্থী দলগুলোর প্রতি ট্রাম্প ও ধনকুবের ইলন মাস্কের সমর্থনের দিকে ইঙ্গিত করে লিখেছেন: ইউরোপীয় রাজধানীগুলো এখন ট্রাম্পকে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে গেছে। তারা একদিকে চরমপন্থীদের পক্ষে ইলন মাস্কের প্রকাশ্য হস্তক্ষেপে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে চায় এবং অন্যদিকে তারা ট্রাম্প ও মাস্কের ব্যক্তিগত অভিযোগের লক্ষ্যবস্তু হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন।
“জুলিয়ান বোরগার” গ্রিনল্যান্ডকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশে পরিণত করাসহ ট্রাম্পের উচ্চাভিলাষী নানা প্রচেষ্টার দিকে ইঙ্গিত করে লিখেছেন: ডেনমার্ক ন্যাটো জোটের সদস্য, এখন ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড অধিকারের ইচ্ছা প্রকাশ করায় এবং এর বিরোধিতা করলে শুল্ক বা কর আরোপের হুমকি দেয়ায় বিষয়টি এক রাজনৈতিক সংকটে পরিণত হয়েছে। ড্যানিশ সরকার গ্রিনল্যান্ডের রাজা ও নেতৃবৃন্দের সঙ্গে অনেক জরুরি বৈঠকের পাশাপাশি এ বিষয়ে নানা জবাব দিতে গিয়ে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করেছেন।
ব্রিটেনের এই বিশ্লেষক মনে করেন ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের নানা পরিণতি সম্পর্কে মার্কিন সরকারের মিত্রদের দুশ্চিন্তা কেবল বাণিজ্যের মধ্যেই সীমিত নয়, তারা ইউরোপ ও ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন। তিনি লিখেছেন, ইউরোপের নেতৃবৃন্দ মনে করেন, ট্রাম্প আবারও মার্কিন ক্ষমতায় ফিরে আসায় ইউক্রেনের যুদ্ধ এক নতুন পর্যায়ে উপনীত হবে এবং এ পর্যায়ে ইউক্রেনে অস্ত্র-সম্ভার পাঠানো অব্যাহত রাখতে ট্রাম্পের মনোভাবকে ইতিবাচক করতে তাদেরকে রীতিমত সংগ্রাম করতে হবে।
সবশেষে এই বিশ্লেষক আটলান্টিক পরিষদের সিনিয়র সদস্য এলিজাবেথ ব্রায়ুকে উদ্ধৃত করে লিখেছেন: যদি কিছু না বলি তাহলে তা হবে দুঃখজনক কিন্তু একইসঙ্গে এটা হাস্যকর এ কারণে যে আমরা যখন ভাবছি রাশিয়া, চীন ও ইরানের দিক থেকে হস্তক্ষেপের ঝুঁকি কমানোর জন্য আমরা নানা হাতিয়ার প্রয়োগ করছি নিশ্চিন্তে, অথচ তখনই দেখছি যে আমরা এক মিত্রের পক্ষ থেকেই গোলা বর্ষণের শিকার হচ্ছি!
সূত্র: পার্সটুডে।