টাইমস ২৪ ডটনেট: প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে উপহার ভাণ্ডার তোশাখানাবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে একটি মামলা হয় ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির নামে। সেই মামলায় খালাসের আবেদন করেছিলেন ইমরান। তবে ইমরানের সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ইসলামাবাদের একটি ট্রায়াল কোর্ট। বৃহস্পতিবার, ইসলামাবাদ সেন্ট্রাল কোর্ট-১ সিনিয়র স্পেশাল জজ শাহরুখ আরজুমান্দ রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলের ভিতরে অনুষ্ঠিত শুনানির সময় পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা এবং তার স্ত্রীর করা আবেদনের উপর তার আদেশ জানান।সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান এসময় সদ্য শেভ করা এবং ধূসর সোয়েটার পরে আদালতে হাজির হন। বুশরা, এ মামলায় গত মাসে জামিন পাওয়ায় আদালতে হাজির হননি। ৫ পৃষ্ঠার বিস্তারিত আদেশে, ট্রায়াল কোর্ট জানায়, মামলার তদন্ত স্বাধীনভাবে এনএবি দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। এতে বলা হয়েছে, নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে ইমরান যে গয়নাগুলো অধিগ্রহণ করেছেন, তার মূল্য অনেক বেশি বলে জানা গেছে। যা গয়না নির্মাতা বুলগারির দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক এবং মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেবের সমন্বয়ে গঠিত আইএইচসি বেঞ্চ তোশাখানা-১ মামলায় ট্রায়াল কোর্টের ৩১ জানুয়ারির আদেশ খারিজ চেয়ে ইমরান ও তার স্ত্রীর আবেদনের শুনানি করেন। আইএইচসি ১ এপ্রিল ট্রায়াল কোর্টের আদেশ স্থগিত করে।
পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা এবং তার স্ত্রীর পক্ষে ব্যারিস্টার আলী জাফর উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ প্রসিকিউটর আমজাদ পারভেজ এবং প্রসিকিউটর রফিক মাকসুদ আদালতে এনএবি-এর প্রতিনিধিত্ব করেন।শুনানির সময়, পারভেজ বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে তোশাখানা মামলার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পদ্ধতির সাথে একমত নন। যে কারণে তিনি আগে পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা এবং বুশরা বিবির সাজা স্থগিত করার কথা বলেছিলেন। এছাড়াও তিনি ট্রায়াল কোর্টের আদেশ খারিজ করে পুনরায় বিচারের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে অনুরোধ করেন।পরে এনএবির অনুরোধে ব্যারিস্টার আলী জাফরকে ইমরান ও বুশরার সঙ্গে পরামর্শ করতে বলে আদালত। এবং ২১ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।