টাইমস ২৪ ডটনেট:যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রাথমিক ফলাফলে বিজয়ী হয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইতিহাস গড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজকীয় প্রত্যাবর্তন। একবার হেরে গিয়ে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তিনি। প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসকে ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছেন তিনি। ফলে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউজের দখল পাচ্ছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফলে তিনি হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট। এর মধ্য দিয়ে ১৩২ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন ট্রাম্প। ম্যাজিক ফিগার ২৭০ ইলেক্টোরাল ভোটের বেশি পেয়ে রিপাবলিকান শিবিরে চলছে বাঁধভাঙা উল্লাস। সিনেটেও তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হতে প্রয়োজন হয় ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের। সেই ম্যাজিক ফিগার এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছেন ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প। তিনি ম্যাজিক ফিগারের চেয়েও বেশি ভোট পেয়েছেন। রিপাবলিকান এই প্রার্থী ২৭৭টি এবং ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস পেয়েছেন ২২৪টি ইলেকটোরাল ভোট।কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হওয়ার আগেই ট্রাম্প ও তার সমর্থকরা দেশজুড়ে বিজয় উদযাপন শুরু করেছেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট এরই মধ্যেই নিজেকে ‘বিজয়ী’ ঘোষণা করেছেন। এক ভাষণে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তিনি একটি ‘অসাধারণ বিজয়’ পেয়েছেন। তার দ্বিতীয় শাসনামল ‘আমেরিকার স্বর্ণযুগ’ হবে দাবি করে রিপাবলিকান নেতা আরও বলেন, এটি আমেরিকার মানুষের জন্য একটি অসাধারণ বিজয়, যা আমাদের আবার আমেরিকাকে মহান করতে সাহায্য করবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার বিজয়ী ভাষণে আরও বলেন, আমেরিকাকে বাঁচানোর জন্য ইশ্বর আমাকে নতুন জীবন দিয়েছেন। গত ১৩ জুলাই নির্বাচনী সমাবেশে ট্রাম্পের ওপর হামলা চালানো হয়। পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় হামলার শিকার হন তিনি। তার কানে গুলি লাগে। তবে সে যাত্রায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। ট্রাম্প সম্ভবত ওই হামলার কথা স্মরণ করেই ইশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সে সময় তার কানে গুলি লেগেছিল এবং হামলার পরপরই তিনি মাটিতে পড়ে যান, তার মুখমণ্ডলে রক্ত দেখা যায়। এই ঘটনার পর পরই সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা হামলাকারীকে গুলি করলে তিনি নিহত হন। গত সেপ্টেম্বরেও ট্রাম্পের ওপর হামলার চেষ্টা হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর ওয়েস্ট পাম বিচে ঘনিষ্ঠ বন্ধু স্টিভ উইটকফের সঙ্গে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল গলফ ক্লাবে সময় কাটানোর সময় তার ওপর হামলার চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। ওই ঘটনার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভয় পাবেন না। আমি ভালো আছি এবং কেউ আঘাতপ্রাপ্ত হননি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ। তবে দুনিয়ায় এমন মানুষ আছে যারা আমাদের থামাতে যেকোনো কিছু করতে পারে। আমি আপনাদের জন্য লড়াই থামাবো না। আমি কখনো আত্মসমর্পণ করবো না। আমাকে সমর্থনের জন্য আপনাদের সবসময় ভালোবাসবো। আমাদের একতার মাধ্যমেই আমরা আমেরিকাকে আবারও মহান করবো। এবারের নির্বাচনে জয়ের পেছনে নিজের পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমি আমার পুরো পরিবারকে ধন্যবাদ দিতে চাই। আমার বাচ্চারা চমৎকার। প্রত্যেকেই ভাবেন তাদের সন্তানরা চমৎকার। ট্রাম্প বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিক, তাদের পরিবার এবং তাদের ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করবেন তিনি। তিনি বলেন, আমার শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত আমি আপনাদের জন্য লড়াই করে যাব। শক্তিশালী, নিরাপদ এবং সমৃদ্ধ আমেরিকা না গড়ে তোলা পর্যন্ত আমি বিশ্রাম নেব না। গত ১৩ জুলাই ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার ওই ঘটনার পর থেকেই মূলত নির্বাচনের হাওয়া বদলে যেতে শুরু করে। কপালজোরে প্রাণে বেঁচে যাওয়া ট্রাম্প আসন্ন নির্বাচনী ভূমিধস জয় পেতে চলেছেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন বিভিন্ন পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষক। এক ভাষণে ট্রাম্প বলেন, তিনি একটি ‘অসাধারণ বিজয়’ পেয়েছেন। তার দ্বিতীয় শাসনামল ‘আমেরিকার স্বর্ণযুগ’ হবে দাবি করে রিপাবলিকান নেতা আরও বলেন, এটি আমেরিকার মানুষের জন্য একটি অসাধারণ বিজয়, যা আমাদের আবার আমেরিকাকে মহান করতে সাহায্য করবে। গত নির্বাচনে দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি ট্রাম্প। ফলাফল, নির্বাচনে হার। কিন্তু এবার সেসব রাজ্যে দারুণভাবে ‘কামব্যাক’ করেছেন তিনি।
এছাড়া নেভাদা, অ্যারিজোনা, উইসকনসিন, মিশিগান, মিনেসোটা, আলাস্কায়ও এগিয়ে আছেন ট্রাম্প। সুইং স্টেট বা দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে গত নির্বাচনে সুবিধা করতে না পারলেও এবার দারুণভাবে ‘কামব্যাক’ করেছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় ৫ নভেম্বর ভোরে শুরু হয় ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এতে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভোট দিতে দেখা যায় ভোটারদের। ভোটের প্রাথমিক ফলাফল সামনে আসতে শুরু করলে ট্রাম্পের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই স্পষ্ট হতে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে তার দলের ইলেকটোরাল ভোটের পাল্লা। গত নির্বাচনে দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি ট্রাম্প। ফলাফল, নির্বাচনে হার। কিন্তু এবার সেসব রাজ্যে দারুণভাবে ‘কামব্যাক’ করেছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। জয় ছিনিয়ে এনেছেন বেশিরভাগ ব্যাটেলগ্রাউন্ডে। এবারের নির্বাচনে মূল লড়াইটা হওয়ার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে। কিন্তু প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর ডেমোক্র্যাট শিবিরে জোর দাবি ওঠে, ৮১ বছর বয়সী জো বাইডেনকে সরিয়ে অন্য কাউকে প্রার্থী করা হোক। তার ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিচ্ছিলেন একের পর এক অর্থদাতা। তবুও শেষপর্যন্ত লড়াইয়ে থাকার ঘোষণা দিয়েছিলেন বাইডেন। কিন্তু গত ১৩ জুলাই নির্বাচনী সমাবেশে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যাচেষ্টার ঘটনার পর বদলে যায় সব হিসাব-নিকাশ। কপালজোরে প্রাণে বেঁচে যাওয়া ট্রাম্প আসন্ন নির্বাচনী ভূমিধস জয় পেতে চলেছেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেন বিভিন্ন পর্যবেক্ষক ও বিশ্লেষক। এ অবস্থায় নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ডেমোক্র্যাটদের নাটকীয় কিছুই করতে হতো। এর মধ্যে তৃতীয়বারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বয়সের ভারে নুয়ে পড়া বাইডেন। আর তারপরেই নির্বাচনী দৌড় থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন তিনি। তার জায়গায় লড়াইয়ে নামেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
কমলাকে পেয়ে আগের চেয়ে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে ডেমোক্র্যাট শিবির। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে নির্বাচনী লড়াই। ধারণা করা হয়েছিল, নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতা হবে দুই নেতার মধ্যে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অনেকটা হেসেখেলেই জয় ছিনিয়ে নেন রিপাবলিকান প্রার্থী। প্রতিপক্ষের মুখের বুলি নয়, নির্বাচনী সভায় গুলির আঘাতে রক্তাক্ত ট্রাম্পের মুষ্ঠিবদ্ধ হাতের দৃশ্যই ভোটারদের বেশি আকৃষ্ট করেছে, তা নির্বাচনের ফলাফলেই স্পষ্ট। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন মার্কিন নাগরিকরা। ছিলেন বাংলাদেশিরাও, যাদের কাছে প্রার্থী বাছাইয়ে গুরুত্ব পেয়েছে অর্থনীতি, গর্ভপাত, স্বাস্থ্যনীতি, অভিবাসন, কর্মসংস্থান ও ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসন। এবারের নির্বাচনে নতুন ভোটারের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। নারী ভোটারের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়।
সূত্র জানায়, ব্যাপক পরিচিতি, কৌশলী রাজনীতি, হেনস্তা আর কটূক্তি সব মিলিয়ে উত্থান-পতন আর বিতর্কিত জীবন বিলিয়নিয়ার ডোনাল্ড ট্রাম্পের। মিলিটারি স্কুলে পড়ালেখা, এরপর বাবার ব্যবসার দায়িত্বভার হাতে তুলে নেয়া। ছিলেন টেলিভিশন ব্যক্তিত্বও। নানা চড়াই-উৎরাই পার হয়ে তার পদচারণা রাজনীতির অঙ্গনে। যুক্তরাষ্ট্রের একজন বড় ব্যবসায়ী বাবার ঘরে ১৯৪৬ সালে জন্ম ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ১৩ বছর বয়সে স্কুলে দুষ্টামি করায় বাবা ভর্তি করিয়ে দেন মিলিটারি স্কুলে। এরপর পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্টন স্কুল থেকে অর্জন করেন ডিগ্রি। এক সময় ধারণা করা হত, পরিবারের অধিকারে বিপুল সম্পত্তি থাকায় তিনি তার বাবার কোনো প্রতিষ্ঠানেই কাজ করবেন। তার ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও ভাই পাইলট হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে বাবার ইচ্ছায় পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দেন তিনি। বাবার সাহচর্যে থাকায় তাকেই মানতেন তার অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে। প্রথমে বাবার বিভিন্ন প্রজেক্ট দেখাশোনা। এরপর বাবার কাছ থেকে ১০ লাখ ডলার ঋণ নিয়ে নামেন রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়। হন নিউইয়র্কের রিয়েল এস্টেট সংগঠনের সভাপতি। পরে ক্যাসিনো, গলফ কোর্স ও হোটেলসহ আরও নানা ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হন তিনি। তার ব্যবসার পরিধি বিস্তৃত হয় বিশ্বজুড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটি, শিকাগো ও লাসভেগাস ছাড়াও ভারত, তুরস্ক ও ফিলিপিন্সে শাখা খোলে তার প্রতিষ্ঠান।
বিনোদন জগতেও বেশ খ্যাতি কুড়ান তিনি। প্রথমে তিনি বিখ্যাত হয়ে ওঠেন মিস ইউনিভার্স, মিস ইউএসএ এবং মিস টিন ইউএসএ সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার আয়োজক সংস্থার মালিক হিসেবে। তারপর এনবিসি টেলিভিশনের রিয়েলিটি শো দ্য অ্যাপ্রেন্টিসের স্রষ্টা হিসেবে। লিখেছেন বেশ কয়েকটি বইও। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তার মোট সম্পদের পরিমাণ কমে গেছে। তার পরেও ফোর্বসের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪০০ কোটি ডলার। ছয়বার ব্যবসায় দেউলিয়া হয়েছেন বলে দাবি করেছেন নিজেই। ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয়সহ তার বেশ কয়েকটা উদ্যোগও বন্ধ হয়ে গেছে।
ট্রাম্পের ব্যক্তিগত জীবন বরাবরই ব্যাপকভাবে বিতর্কিত। তার প্রথম স্ত্রী ছিলেন ইভানা জেলনিকোভা। তাদের ঘরে তিন সন্তান ডোনাল্ড জুনিয়র, ইভাঙ্কা এবং এরিক। তবে ১৯৯০ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায় দুজনের। বিচ্ছেদের সময় আদালতে তাদের আইনি লড়াই নিয়মিত গসিপে পরিণত হয়েছিল। তার দ্বিতীয় স্ত্রী অভিনেত্রী মার্লা ম্যাপলস। এই ঘরে ট্রাম্পের একটাই মাত্র সন্তান টিফানি। টিফানির জন্মের দুই মাস পর ১৯৯৩ সালে মার্লা ম্যাপলস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হন। ১৯৯৯ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বর্তমান স্ত্রী মেলানিয়ার সঙ্গে আছে তার এক ছেলে সন্তান। নাম ব্যারন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত জীবনে একাধিক বিতর্কিত অধ্যায় রয়েছে। একাধিকবার যৌন নির্যাতন ও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। বিভিন্ন সময়ে লেখিকা থেকে শুরু করে পর্ন তারকা তার বিরুদ্ধে তুলেছেন যৌন নিপীড়নের অভিযোগ।
২০১৫ সালের জুন মাসে ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দেন। প্রচারণায় নিজের সম্পদ এবং ব্যবসায়িক সাফল্য জাহির করতেন বারবার। তিনি মেক্সিকোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক, অপরাধ ও ধর্ষকদের পাঠানোর অভিযোগ তোলেন এবং দাবি করেন সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের খরচ ওই দেশকেই দিতে হবে। এরপর মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন-কে তার প্রচারাভিযানের স্লোগান বানিয়ে সহজেই রিপাবলিকান পার্টির অন্যান্য সদস্যদের পেছনে ফেলে ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ট্রাম্প। এরপর ২০২০-এ জো বাইডেনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে পরের বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বিরত থাকলেও ২০২৪-এ আবার তিনি লড়তে নামেন কমলা হ্যারিসের সঙ্গে। জীবনে বেশ কয়েকবার হামলার শিকার হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২০-এর নির্বাচনে পরাজয়ের পর ক্যাপিটল হিলে দাঙ্গা উসকে দেয়ার মতো বিশৃঙ্খল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ও চাপে তার ঘাড়ে।