টাইমস ২৪ ডটনেট: রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প বেড়ে উঠেছেন নিউ ইয়র্কের কুইন্সে। ট্রাম্পের বাবা ফ্রেড ট্রাম্প ছিলেন একজন জার্মান অভিবাসীর সন্তান। মা মেরি অ্যান ম্যাকলয়েড ট্রাম্প জন্মগ্রহণ করেন স্কটল্যান্ডে। তারা ট্রাম্পকে ১৩ বছর বয়সেই নিউ ইয়র্কে সামরিক একাডেমিতে ভর্তি করিয়ে দেন। ট্রাম্প বলেন, ১৯৫৯ সালে তিনি সামরিক একাডেমিতে ভর্তি হন। সেখানে পাঁচ বছর সামরিক প্রশিক্ষণ নেন। একাডেমি তাকে নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জনে সহায়তা করেছে। পরে সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক নিয়োগ স্থগিত হওয়ায় তিনি ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ নেননি। চারবার প্রাতিষ্ঠানিক কারণে এবং একবার স্বাস্থ্যগত কারণে তার নিয়োগ স্থগিত হয়েছিল। পেনসিভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হোয়ারটন স্কুল থেকে ডিগ্রি লাভের পর ট্রাম্প তার বাবার উত্তরাধিকারী হিসেবে পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দেন। কমলা হ্যারিস যখন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য হন, ট্রাম্প তখন প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে বসেন। ২০১৬ সালে তিনি ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে পুরো বিশ্বকে চমকে দেন।
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টকে বেশি রক্ষণশীল করে তুলেছিলেন। গর্ভপাতের অধিকার কেড়ে নেয়ার যে রায়, সেটির পথ প্রশস্ত করেছিলেন।
ওভাল অফিসে দায়িত্ব পালনকালে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের করে আনেন এবং অভিবাসন কমানোর উদ্যোগ নেন।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে ২০১৭ সালে সৌদি আরবে যান। ট্রাম্প বিদেশি সংঘাত থেকে নিজ দেশকে মুক্ত রাখার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী নীতির সমর্থক ছিলেন।
ট্রাম্পের পরিবারের সদস্যরাও তার রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন সময় ভূমিকা রেখেছেন। যদিও ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে তার স্ত্রী ও সাবেক ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের উপস্থিতি কম দেখা যাচ্ছে।
প্রথম স্ত্রী ইভানার ঘরে ট্রাম্পের তিন সন্তান। তারা হলেন- ডনাল্ড জুনিয়র, ইভাঙ্কা ও এরিক। দ্বিতীয় স্ত্রী মারলা ম্যাপলসের ঘরে তার একটি মেয়ে, নাম টিফানি। ট্রাম্প ২০০৫ সালে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে মেলানিয়াকে বিয়ে করেন। ব্যারন নামে তাদের একটি ছেলে আছে। এ নির্বাচনে নিজ দলের পক্ষ থেকে তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মনোনয়ন পেয়ে বিরল গৌরব অর্জন করেছেন ট্রাম্প। বন্দুক হামলায় আহত হয়ে কানে ব্যান্ডেজ নিয়েই তিনি উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান দলের জাতীয় সম্মেলনে বক্তব্য দিয়েছেন। এ বছর নির্বাচনী প্রচারাভিযানে দুবার হামলার মুখে পড়েছেন তিনি।