টাইমস ২৪ ডটনেট: ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের হামলার পর ইরানের জনগণ সম্পূর্ণ নিশ্চিন্তে আছে এবং তারা চিন্তিত নয়। অন্যদিকে, বিভিন্ন খবরে জানা গেছে আগামীতে ইরানের পাল্টা সামরিক প্রতিক্রিয়ার কারণে ইহুদি বসতি স্থাপনকারী এবং ইসরাইলি কর্মকর্তারা ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। ইহুদিবাদী ইসরাইল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজের ভাবমূর্তি ধরে রাখার জন্য গত শনিবার রাতে ইরানে হামলা চালায়। কিন্তু ইরান তাদের হামলা ব্যর্থ করে দিতে সক্ষম হওয়ায় এই হামলা ইসরাইলের জন্য আরেকটি কলঙ্ক হয়ে দাঁড়ায়। পার্সটুডে জানিয়েছে, ইরানের উপর ইসরাইলি শাসকদের হামলার পর ইরানের পাল্টা হামলার আতঙ্কে ইহুদিবাদীরা ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। ইসরাইলি মিডিয়া “ইসরাইল হাইউম” জানিয়েছে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ইসরাইলি যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ইরানের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর পর আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে গিয়েছিলেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরান ও প্রতিরোধ শক্তির হামলার ভয়ে নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেন। ইরানে হামলার ঘোষণার সাথে সাথে নেতানিয়াহু এবং গ্যালান্টের ছবিও প্রকাশিত হয়েছিল, যা থেকে বোঝা যায় যে তারা খুবই উদ্বিগ্ন। ইসরাইলের সেনা ঘাঁটি “ওয়াল্লা” থেকে জানানো হয়েছে, ইরানের সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আশঙ্কায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী তার সৈন্যদের তলব করার বিষয়টি এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আল-জাজিরা চ্যানেল ইহুদিবাদী মিডিয়াকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ইসরাইল তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। ইহুদিবাদী মিডিয়া ঘোষণা করেছে যে তেল আবিবের এই পদক্ষেপ এই সরকারের উপর ইরানের সম্ভাব্য হামলার কারণে সৃষ্ট ভয়ে এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
আমেরিকান ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই ইহুদিবাদী কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে লিখেছে: আমরা আশা করি ইসরাইলের এই হামলা ইরানের সাথে সংঘাতের অবসান ঘটাবে। এই দুই ইহুদিবাদী কর্মকর্তা দাবি করেছেন যে গাজা ও লেবাননের যুদ্ধে মনোযোগ দেওয়ার জন্য ইরানের সাথে সংঘাতের অবসান হওয়া উচিত।
ইসরাইলের বিরোধী দলের প্রধান ইয়ার লাপিদ এক বিবৃতিতে ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদীদের দুর্বল ও নিষ্ফল আগ্রাসনের কথা স্বীকার করে বলেছেন, ইরানিরা ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়টি অনুভবই করেনি।
সূত্র: পার্সটুডে।