চলতি সংবাদ

বাংলাদেশে সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল মজুমদার গ্রেপ্তার, প্রাণনাশের হুমকিতে কাফরুল থানার আওয়ামী লীগের নেতা আরিফুল ইসলাম

টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: বাংলাদেশে সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার গুলশানের বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা কামাল। তিনি জানান, কামাল আহমেদ মজুমদারের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। গত শনিবার কাফরুল থানায় দায়ের করা এক শিক্ষার্থীকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আলী হায়দার তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৫ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কামাল আহমেদ মজুমদার। এর আগে একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে শেখ হাসিনার চতুর্থ মন্ত্রিসভায় তিনি শিল্প প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। কামাল মজুমদার ১৯৯৬, ২০০৯ ও ২০১৪ সালেও আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি মোহনা টিভিরও চেয়ারম্যান।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানী মিরপুর ও পল্লবী থানায় কয়েকজন আন্দোলনকারীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা বেশ কয়েকটি হত্যা মামলার আসামি কামাল মজুমদার।


অপরদিকে সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার গ্রেপ্তারের পর তার দলের অন্যান্য নেতা কর্মীরা আতঙ্কে রয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকার কাফরুল থানার (ঢাকা মহানগর উত্তর) ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বাবুর নামে ৭টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। জামায়েত-বিএনপির নেতাকর্মীদের একের পর এক হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী হামলায় আতঙ্কে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুল ইসলাম বাবু ও তার পরিবারের সদস্যরা। সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে আরিফুল ইসলাম বাবুর ৩/৪টি বাড়ি দখল করে নিয়েছে। আরিফুল ইসলাম বাবুসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারাও লাপাত্তা হয়ে গেছেন। একের পর এক মামলা, হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় আওয়ামীলীগের নেতারা প্রাণনাশের আতঙ্কে রয়েছেন।


আওয়ামীলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম বাবু বাংলাদেশে থাকা জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। যেকোন সময় তাকে হত্যা করা হতে পারে। তাকে বাংলাদেশে পেলেই খুন করতে পারে সন্ত্রাসীরা। তার পরিবারের সদস্যরাও নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা আরিফুল ইসলাম বাবু বাংলাদেশে থাকা মানে যেকোন সময় হামলা ও হত্যার আশঙ্কা রয়েছে। তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও নিরাপত্তা দিতে পারবে না। তার মতো আওয়ামী লীগের বহু বিক্ষুব্ধ কর্মীরাও আতঙ্কে আছেন।


গত ১৫ বছরেরও অধিক সময় ধরে ক্ষমতায় ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ সময় আওয়ামী লীগের অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীও ছিলেন। কিন্তু গত ৫ আগস্ট দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে চড়ে বাংলাদেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ছোট বোন শেখ রেহেনাও তার সঙ্গী হন। সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে তীব্র গণ-আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। তার দেশছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অবসান ঘটে আওয়ামী লীগের টানা দেড় দশকের শাসন।


এরপর পাল্টাতে থাকে সার্বিক চিত্র। কেন্দ্রীয় নেতারা চলে যান আত্মগোপনে। শুরু হয় মামলা, গ্রেপ্তার হচ্ছেন অনেকে। আবার অনেকের বাসা-বাড়ি, অফিস কিংবা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে করা হচ্ছে হামলা, লুট করা হচ্ছে সর্বস্ব। এসব দেখে ভয়ে দিন পার করছেন সদ্য ক্ষমতাচ্যুত দলটির নেতাকর্মীরা।অনেক আওয়ামীলীগ নেতা জীবন বাঁচাতে বিদেশে চলে গেছেন। তার বর্তমানে জীবনের নিরাপত্তা চান।

Related Articles

Back to top button