বাংলাদেশ

উত্তরায় মেট্রোপলিটন প্রেস- ক্লাবের নার্সারি দখলের প্রতিবাদে মানববন্দন

উত্তরা প্রতিনিধি (ঢাকা):উত্তরায় মেট্রোপলিটন প্রেস- ক্লাবের নার্সারি দখলের প্রতিবাদে মানববন্দনl রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাবের নার্সারি দখল ও চারা গাছ লুটপাট এর প্রতিবাদে আজমপুর ঢাকা ময়মনসিংহ হাইওয়ে সড়কে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯ শে অক্টোবর রোজ শনিবার সকাল ১১ ঘটিকায় ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার পেশাদার সাংবাদিকবৃন্দের উপস্থিতিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে । উত্তরা আজমপুর ৪ নং সেক্টরে ২০/ ডি রোডে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন পরবর্তী আগষ্টের ২০ তারিখ স্থানীয় সন্ত্রাসী এবং দখলবাজ বারবার দলবদলকারী খোকন সরকারের নেতৃত্বে একদল দূর্বৃত্ত নার্সারিটির চারাগাছ লুটপাট ও দখল করে। খোকন সরকার নিজেকে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ( পার্থ ) নেতা বলে পরিচয় দিলেও তার লোকদের অনেকেই বিএনপির পরিচয় দিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ এই অভিযোগ অস্বীকার করে এবং তারা জানায় দখলবাজদের সাথে তাদের দলের কোন সম্পর্ক নেই। তবে খোকন সরকার এবং তার লোকেরা সকল অপকর্মের সময় কৌশলে তার আগে করা রাজনৈতিক দল বিএনপির পরিচয়ই দিয়ে থাকে বলে জানা গেছে। এই দখলে নার্সারির প্রায় লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতিসাধন হয়।
উল্লেখ্য যে গত ৭/৮ বছর থেকেই আজমপুর রেল গেইট এলাকায় অবস্থিত এই স্থানটি মাদক এবং ছিনতাইয়ের আখড়া ছিল। মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাব উক্ত স্থানে গত প্রায় ৩ বছর যাবৎ অনুমতি নিয়ে নার্সারি চালিয়ে আসছে। মাদক এবং ছিনতাইকারীদের স্থানীয় আশ্রয়দাতা খোকন সরকার এবং নব ভক্তদের ইন্ধনে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা এই নার্সারি দখল করে পুনরায় উল্লেখিত অপরাধ সংগঠিত করাবে বলেই স্থানীয়রা ধারণা করছে। ইতিমধ্যে রেলওয়ের বেশ কিছু জায়গা খোকন সরকারের লোকেরা দখল করে অনেকগুলো দোকান বসিয়েছে। মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাবের নার্সারি অবৈধ দখলের পরপর স্থানটিতে মাদক ব্যাবসায়ী এবং অপরাধীদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। নার্সারি দখল নিয়ে ১ লা সেপ্টেম্বর তারিখে ক্লাবের পক্ষ থেকে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি জিডি করা হয়েছিল। জিডি নং ১৬। তবে জিডির পরে তারা রুপ পাল্টিয়ে কখনও বিএনপি কখন বিজিপি নানান রাজনৈতিক পরিচয় দিতে থাকে। এদের বিরুদ্ধে অতীতেও অসংখ্য অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। বিজিপি নেতা পরিচয়দানকারী খোকন সরকারের বিরুদ্ধে আজমপুর ঈদগাহ মাঠের জায়গা দখল করে দোকান বসানো থেকে শুরু করে নানান অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তার পেশাই মূলত মসজিদ মাদ্রাসার কমিটিতে ঢুকে দূর্নীতি করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া । অন্যদিকে নব ভক্ত মূলত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রাজনীতির সাথে জড়িত। ৫ ই আগষ্টে সরকার পতনের আগ পর্যন্ত ছাত্র জনতার আন্দোলন নিয়ে তাকে কটাক্ষ করতে শোনা গেছে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তার অত্যাচারে অতিষ্ট ছিল রেল গেইট এলাকা। দোকান থেকে মালামাল নিয়ে টাকা না দেওয়া। তার বাসায় প্রায়ই মাদকের আড্ডা বসে, সে ইতিপূর্বে মসজিদের আযান এবং কুরবানী নিয়ে বাজে মন্তব্য করার মুছুল্লিদের বিরাগভাজন হয়েছিল । মুসুল্লিদের সেই ক্ষোভ যে কোন মূহুর্তে বিষ্ফোরণ ঘটতে পারে। গত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন অনেক রাজনৈতিক এবং পুলিশের প্রভাবশালীদের পরিচয়ে অনেকেই ভয় ভীতি দেখিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তার বাসার সামনে অহরহ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও সে থাকত চুপ। মূলত মাদক কারবারি ছিনতাইকারীদের সাথে তার যোগসাজশের কথা এলাকায় বহুল প্রচারিত। অজ্ঞাত কারণে ছিনতায়ের সময় তার বাসার সামনের লাইট নিভানো থাকত বলে আশপাশে বসবাসকারীদের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। নার্সারি দখলের পর মাদক ও ছিনতাইকারীদের যোগসাজশে অপরাধীরা আবার সংগঠিত হয়ে পুনরায় অপরাধে নিয়োজিত হবার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে । যার প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাবের নার্সারিটি। এর আগেও নার্সারি গাছ চুরি এবং গাছ ধ্বংশের কারণে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল বলে ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে । আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালীদের দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে অভিযোগটি থামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাব এর সভাপতি এইচ আর হাবিব এবং সাধারণ সম্পাদক মিজান বিন নূর বলেন, নার্সারি পুন:উদ্ধারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহযোগিতা তথা প্রশাসনের সহযোগিতার জন্যে এই মানববন্ধন আয়োজন করেছেন তারা । তারা জানান, প্রশাসন আশু হস্তক্ষেপ না করলে সাংবাদিক সমাজ একত্রিত হয়ে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন তারা।

 

Related Articles

Back to top button