চলতি সংবাদ

বিএডিসির অবৈধ সার আমদানির অভিযোগ

টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: অবৈধ ভাবে সার আমদানি , মজুদ এবং টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ প্রধান অতিরিক্ত সচিব ড. নুরুন নাহার চৌধুরী এবং তার সিন্ডিকেট এখন ভোল পাল্টে অন্য পন্থি সেজেছেন। এই সিন্ডিকেটিই ৪ অগাষ্ট তারিখে আওয়ামী লীগের শান্তি মিছিলে বাংলাদেশের কৃষি কর্পোরেশন(বিএডিসি) গবেষণা প্রতিষ্ঠানের লোক জন সাপ্লাই দিয়েছে । এই সিন্ডিকেট সামনা সামনি খুব আর্দশের কথা বললেও বাস্তবে এরা ভয়াবহ রকম দূর্নীতি গ্রস্ত এক দল মানুষ । তাদের আওতায় বছরের পর বছর নিন্মমানের সার ঢুকছে গুদামে, নীরব বিএডিসি সারাবছর খোলা আকাশের নিচে রোদে পুড়ে-বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হয়েছে বিএডিসি আমদানিকৃত লক্ষ লক্ষ বস্তা নন-ইউরিয়া সার। আসন্ন বোরো মৌসুমকে সামনে রেখে পচাঁ সার শুকিয়ে ক্রাসিং করে নতুন বস্তায় ভরে বিএডিসি গুদামে পাঠাচ্ছে সংশ্লিষ্ট পরিবহণ ঠিকাদাররা। অপেক্ষাকৃত গুণাগুন নষ্ট হওয়া সার কিনে প্রতারিত হবে প্রান্তিক কৃষক। তবুও কৃষি খাতের গুরুর্ত্বপূর্ণ এই সেক্টরে দায়িত্বরতরা বছরের পর বছর উদাসিনতা দেখাচ্ছেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, বছর জুড়েই যশোরের শিল্পনগরী নওয়াপাড়া, খুলনা ৭নং ঘাট, মুক্তারপুর, আশুগঞ্জ ঘাটে বছর ধরেই খোলা আকাশের নিচে নামমাত্র তাবু টাঙিয়ে এসব সার পড়ে থাকতে দেখা যায়। গত বছর ডলার সংকটের মধ্যে উচ্চমূল্যের দাম কিনে খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখা হয়েছিল । সরকার বিপুল অংকের ভর্তূকি গুনলেও এখন মুক্তারপুরের আমান ঘাটে প্রায় ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ বস্তা ডিএনপি সার পড়ে আছে । ফলে সারের মান হারাচ্ছে এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ কৃষকরা ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, বিএডিসির আমদানী করা ওই সারের পরিবহণ ঠিকাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে ‘মেসার্স বঙ্গ ট্রেডার্স’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। কয়েক মাস আগে সার ভিজে যাওয়ার ঘটনা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন বিএডিসির জিএম আজিমউদ্দিন, ম্যানেজার মেজবাহ উদ্দিন, মুভমেন্ট ম্যানেজার নোমান উদ্দিন, যুগ্ম পরিচালক কামাল উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তবে ওই সার পরিবহণে দায়িত্বহীনতার কারণে বিপুল ক্ষতি হলেও শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থা নেননি। বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ ও তৎকালীন সদস্য পরিচালক (সার) আব্দুস সামাদ’র হস্তক্ষেপে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট পরিবহণ ঠিকাদারের কাছ থেকে আমদানীমূল্য আদায় করার বিধান রয়েছে। তবে এসব ঘটনায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিএডিসি কর্মকর্তাদের ম্যানেজ ফর্মুলায় সতুষ্ঠু রেখে নষ্ট সার গুদামে পৌঁছে দিয়ে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্থ করছে। কয়েকটি জেলায় বিগত কয়েক মাসের বরাদ্ধের বিপরীতে বিএডিসি গুদাম থেকে মানহীন সার ডিলারদের সরবরাহ করলে কৃষক পর্যায়ে সৃষ্টি হয়েছে অসন্তোষ। কৃষক ও ডিলাররা এই সারের গুণাগুণ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও পাচ্ছে না প্রতিকার।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ওই সার বিএডিসির মেড্ডা গোডাউন থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারাও এমন অভিযোগ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্টদের মতে, কৃষি খাতের উন্নয়নে সরকার উচ্চমূল্যে আমদানি করা এসব সারের তদারকির দায়িত্বে থাকা বিএডিসি কর্মকর্তাদের তদারকির অভাবের সুযোগ নিয়ে কয়েকজন পরিবহণ ঠিকাদার সরকারি সার খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখায় গুণাগুণ নষ্ট হওয়া সার সিন্ডিকেটের হস্ত’ক্ষেপে পরবর্তীতে গুদামে ঠুকছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট গুদাম কর্মকর্তারাও ‘বিশেষ সুবিধায়’ তুষ্ঠ থাকছেন। এসব কারণে পদে পদে প্রতারিত হচ্ছে কৃষক। ফলে সরকারের আর্থিক গচ্চার পাশাপাশি দুর্নামও কুড়াতে হচ্ছে। বিশেষ করে প্রতিবছরই বোরো ও শীতকালীন সবজির মৌসুমে পরিবহণ ঠিকাদারদের জমাট বাঁধা সার সরবরাহের যিনি ওপর মহল সামলাতেন সাবেক জনপ্রশাসন ও বর্তমানে সড়ক ও জনপথ মন্ত্রনালয়রে ডেপুটেশনে থাকা অতিরিক্ত সচিব জিয়াউল হক বিগত ১৫ বছর যাবত আওয়ামী সরকারের হয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় ও বিএডিসিতে সিন্ডিকেট করে সার নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। সিন্ডিকেট অন্যতম হোতা ড. নুরুন নাহার চৌধুরী এনডিসি, অতিরিক্তি সচিব সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরন আওয়ামী লিগ এর বড় আমলা আবু আলম শহীদ খানের পিএস ছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এর মিঠু চক্রের সাথে ছিল, অগাষ্ট মাসের ৪ তারিখের শান্তি মিছিলের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের লোক সাপ্লাইয়ার ছিল। যদিও সারের গুণাগুণ নষ্টের জন্য বিএডিসিকে দায়ী করছেন কয়েকটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তাদের মতে, সারাদেশের বিএডিসি গুদামগুলোর ধারণ ক্ষমতা ২ লাখ ৪০ হাজার থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিকটন। অথচ, প্রতিবছর বিএডিসি আমদানী করে ২০ থেকে ২২ লাখ মেট্রিকটন। ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত আমদানী করার কারণে সময়মতো সার পৌঁছে দিলেও গুদামে জায়গার অভাবে তারা বুঝে নিতে ব্যর্থ হয়। ফলে খোলা আকাশের নিচে তাবু টাঙিয়ে মজুদ রাখতে বাধ্য হয় ঠিকাদাররা। যদিও বিএডিসির যোগসাজসে কিছু অদক্ষ ঠিকাদার পরিবহণের কাজ নিয়ে ওই সার কালো বাজারে বিক্রির মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।

Related Articles

Back to top button