টাইমস ২৪ ডটনেট: শত বছরের প্রথা ভেঙে সৈন্যদের দাড়ি রাখার অনুমতি দিল ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। এখন থেকে বাহিনীটির যে কোনো স্তরের সেনা ও কর্মকর্তা দাড়ি রাখতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, যারা দাড়ি রাখবেন তারা শর্ত প্রতিপালন করছেন কি না তা কঠোরভাবে নজরদারি করা হবে। দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে সিদ্ধান্তের পর দাড়ির বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার রাজা তৃতীয় চার্লস অনুমোদন দিয়েছেন। ফলে এরপর থেকেই বাহিনীতে ‘ক্লিন শেভ’ করার কঠোর নীতি বাতিল হয়। এর আগে ২০১৯ সালে ব্রিটিশ বিমানবাহিনী সৈন্যদের দাড়ি রাখার অনুমতি দেয়। এর আগে থেকেই দেশটির নৌবাহিনীতে দাড়ি রাখার প্রচলন ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনী এ ইস্যুতে কঠোর ছিল। কেবল স্বাস্থ্যগত, ধর্মীয় ও বাহিনীর আভিযানিক স্বার্থে নির্দিষ্ট কিছুসংখ্যক সেনা দাড়ি রাখতে পারতেন। এদিকে নতুন প্রজন্মের অনেকে দাড়ি রাখার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করতে থাকে। এতে নীতিনির্ধারকদের ওপর চাপ বাড়ে। গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘সেনাবাহিনীতে দাড়ি নিষিদ্ধ করা হাস্যকর। দাড়ি আধুনিকায়নের অংশ।’
এমন চাপের ফলে দাড়ি রাখার প্রভাব নিয়ে বছরব্যাপী পর্যবেক্ষণ করা হয়। এরপর এ সিদ্ধান্ত এলো।চার মিনিটের এক ভিডিও বার্তায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর বয়োজ্যেষ্ঠ নন-কমিশনড ওয়ারেন্ট অফিসার পল কার্নি নতুন নিয়মের ঘোষণা দেন।সেনাদের জানানো হয়, দাড়ি-গোঁফ যেনতেনভাবে রাখলেই হবে না। এটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুবিন্যস্ত রাখতে হবে।
এ ছাড়া এবড়োখেবড়ো বা ‘যখন ইচ্ছে তখন রেখে দিলাম’ এ মনোভাবেও দাড়ি রাখা যাবে না। দাড়ি পূর্বপরিকল্পনা করে রাখতে হবে। শুধু মুখভর্তি দাড়ি এ অনুমোদনের আওতায় পড়বে। এর দৈর্ঘ্য হবে ২ দশমিক ৫ থেকে ২৫ দশমিক ৫ মিলিমিটারের মধ্যে। সে সঙ্গে কোনো রং-ও ব্যবহার করা যাবে না।