টাইমস ২৪ ডটনেট, রামু থেকে: মহামারি করোনা কালীন ৬ মাসের গর্জনিয়া বাজার ইজারাদার মোঃ নুরুল ইসলামকে ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশনা দিয়েছে মহামান্য হাইকোর্ট। বারবার মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনায় ও ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত ইজারাদার মোঃ নুরুল ইসলাম। ৮ মার্চ বিকালে নাইক্ষ্যংছড়ি অনলাইন প্রেস ক্লাবের অস্থায় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গর্জনিয়া বাজারের করোনা কালীন ক্ষতিগ্রস্ত ইজারাদার মোঃ নুরুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে ইজারাদার মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি মামুনুর রহমান ও খন্দকার দিলোরুজ্জামান এর দ্বেৈত বেঞ্চ পিটিশন নং ১৯১৩/২০২২ মূলে আদেশ প্রদান করেন তাং ১৭/০২/২০২২ ইংরেজি এক আদেশে
১ লা বৈশাখ ( ১৪ এপ্রিল ২০২২ ইং থেকে ১৬ অক্টোবর ২০২২ ইং) ৩১ শে আর্শ্বিন পর্যন্ত ৬ মাস গর্জনিয়া বাজারের ইজারার মেয়াদ বৃদ্ধি করে ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার আদেশ কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার, স্হানীয় সরকারের উপপরিচালক (কক্সবাজার) সহকারী কমিশনার (ভুমি) রামু ও ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা কে গর্জনিয়া আদেশ প্রদান করেন।
মহামান্য হাইকোর্টে আদেশ বাস্তবায়ন না করায় ১৭/০৫/২০২২ ইংরেজি তারিখে একই পিটিশন মামলায় পিটিশন নং ১৯১৩/২০২২ মহামান্য হাইকোর্টে মাননীয় বিচারপতি মিজানুর রহমান মিয়া ও খিজির হায়াৎ এর দ্বৈত বেঞ্চের যে’ ১ লা বৈশাখ ( ১৪ এপ্রিল ২০২২ ইং থেকে ১৬ অক্টোবর ২০২২ ইং) ৩১ শে আর্শ্বিন পর্যন্ত ৬ মাস গর্জনিয়া বাজারের ইজারার মেয়াদ বৃদ্ধি করে ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার পুনরায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার, স্হানীয় সরকারের উপপরিচালক (কক্সবাজার) সহকারী কমিশনার (ভুমি) রামু ও ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা কে গর্জনিয়া আদেশ প্রদান করেন।মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ বারবার অবমাননা করায় পিটিশন নং ১৯১৩/২০২২ তাং ১০/১১/২০২২ ইংরেজি তারিখ মহামান্য হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি এমডি মুজিবুর রহমান মিয়া ও কাজী এমডি ইজাহারুল হক আখন্দ এর দ্বৈত বেঞ্চে সর্বশেষ আদেশ প্রদান করেন যে,মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ ইচ্ছাকৃত ভাবে লঙ্ঘন ও অবাধ্যতার জন্য কেন শাস্তির আওতায় আনা হবে না মর্মে কারণ দর্শানো সহ আদেশের ৪ সপ্তাহের মধ্যে ক্ষতিপূরণ পুষিয়ে দিতে ব্রামনবাড়ীয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আইটি ও শিক্ষা প্রণয় চাকমা ও রামু উপজেলা নির্বাহী ফাহমিদা মুস্তফা কে নির্দেশ দেন।একই সাথে মহামান্য হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার কে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আদেশের পত্র পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের কপি সংযুক্ত করে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারক ৫৬১ তাং ১৩/০৯/২০২২ ইংরেজি মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশের বাস্তবায়ন চেয়ে লিখিত মহামান্য হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করী গর্জনিয়া বাজার ইজারাদার মোঃ নুরুল ইসলাম। জেলা প্রশাসক আবেদনকারীর আবেদন গ্রহণ করে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের আলোক ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কে অবহিত করার জন্য রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা কে লিখিত আদেশ দেন।