টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: রাত পোহালেই বাংলাদেশে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা । সরস্বতী পূজা বিদ্যা ও সঙ্গীতের দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে চলছে শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি। এবার সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের মাঠে তৈরি করা হয়েছে ৮০টি পূজা মণ্ডপ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের আর্থিক সহযোগিতায় এসব মণ্ডপে তৈরি করা হয়েছে। পূজা উদযাপনের প্রস্তুতিও মঙ্গলবার রাত ১২টার মধ্যে শেষ হবে। ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ হলে মহাসাড়ম্বরে বিদ্যা ও আরাধনার অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর পূজার আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ৮টায় শুরু হবে পূজার্চনা এবং ১০টা থেকে শুরু হবে অঞ্জলি প্রদান। সন্ধ্যা ৬টায় হবে আরতি অনুষ্ঠান। এছাড়াও ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গন, রমনা কালী মন্দির ও রাজারবাগ কালী মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দিরে জাঁকজমকপূর্ণভাবেই বিদ্যারদেবী শ্রীশ্রী সরস্বতী পূজার আয়োজন করেছে।
ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশের মন্দির ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পূজা ছাড়াও অন্য অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যা আরতি, আলোকসজ্জা প্রভৃতি।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মতে, সরস্বতী বিদ্যা, বাণী ও সুরের দেবী। মাঘের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সাদা হাঁসে চেপে দেবি সরস্বতী জগতে আসেন। ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পূজার দিন সকালে দেবীকে দুধ, মধু, দই,ঘি, কর্পূর, চন্দন দিয়ে তাকে বরণ করা হবে। সেই অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাত পোহালেই বুধবার মন্দিরে মন্দিরে শুরু হবে সরস্বতী পূজা। বিদ্যার দেবী সরস্বতীর পূজা করা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে।
সরস্বতীর পূজা উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তাঁরা হিন্দু সম্প্রদায়ের সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। হাজার বছর ধরে এ ভূখন্ডে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল ধর্মের মানুষ মিলেমিশে একত্রে বসবাস করে আসছেন।’