টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: আর্থিক কেলেঙ্কারির দায়ে দু’বাংলায় আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) ভারতে বিচার শেষে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার কথা জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি বলেন, ভারতে এক মামলায় তার বিরুদ্ধে অর্থপাচারের বিচার চলছে। বিচার শেষ হলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, পিকে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে দুদক খুবই সচেতন আছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ জজ আদালতে তার বিচার প্রায় শেষ পর্যায়ে। রবিবার ঢাকায় সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এসব কথা বলেন।
এরআগে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং তা পাচারের মামলায় চার বছরের সাজার বিরুদ্ধে প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের বান্ধবী অনিন্দিতা মৃধা ও তার বাবা সুকুমার মৃধা হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন। আপিলে তারা সাজা বাতিল চান। আসামিদের মধ্যে চারজন কারাগারে রয়েছেন। তারা হলেন-অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা।
পিকে হালদারসহ অন্য ১০ আসামি পলাতক। পলাতক আসামিরা হলেন-পিকে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, ভাই প্রীতিশ কুমার হালদার, সহযোগী অমিতাভ অধিকারী, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।এছাড়া পি কে হালদার সহযোগী এবং এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেষ্টমেন্টের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমানের ২৩ কোটি টাকার শেয়ার ফ্রিজ করা হয়।দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত থেকে ওই অস্থাবর সম্পত্তি ফ্রিজ করা হয়েছে। ফ্রিজকৃত সম্পদের মধ্যে রয়েছে— সিদ্দিকুর রহমানের নামে সিমটেক্স ইন্ড্রাস্ট্রিজ লিমিটেডের ১০ টাকা মূল্যের মোট ১৬ কোটি ৭২ লাখ ৮৭ হাজার ৩৯০ টাকার ১ কোটি ৬৭ লাখ ২৮ হাজার ৭৩৯টি শেয়ার, তার আত্মীয় মাহফুজা রহমানের নামে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৭১ হাজার ৫৫০ টাকা, নিয়ার রহমান সাকিবের নামে ১ কোটি ৩৫ লাখ ৩ হাজার ৬০০ টাকা, ইসতিয়াক রহমান ইমরানের নামে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৬১ হাজার ৪৩০ টাকা এবং অপর আত্মীয় মো. ইনসাফ আলী শেখের নামে ১ কোটি ৪১ লাখ ৯৩ হাজার ৩০০ টাকার শেয়ার। সব মিলিয়ে ২৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার ফ্রিজ করা হয়েছে।