বিনোদন

অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ: পারেয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি

মোহাম্মদ আলী, টাইমস ২৪ ডটনেট: সম্প্রতি সরকারের উন্নয়নের প্রত্যন্ত ইউনিয়ন পরিষদ গুলোতে সরকারের প্রকল্প গুলি কিভাবে বাস্তবায়িত করেছে সাক্ষাৎকারের সমস্ত বর্ণনা দিয়েছেন এক নম্বর পারেয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বি। তিনি বলেছেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে বাংলাদেশের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবে রূপলাভ করছে তার সুযোগ্য কন্যার হাত ধরেই। অমিত সম্ভাবনার নতুন নতুন দিক উন্মোচিত হচ্ছে তার যাদুকরী নেতৃত্বের ছোঁয়ায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে এগিয়ে চলেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার অসাধারণ বিচক্ষণতা, দেশকে ক্রমেই আরও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়, দৃপ্ত সাহসী পদক্ষেপ; সর্বোপরি দেশের জনগণের প্রতি অপরিসীম মায়া ও ভালোবাসা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সক্ষম করেছে তাকে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল, বিচক্ষণ, দক্ষ নেতৃত্বের সাফল্যগাথা এবং বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রার উজ্জ্বল চিত্র ফুটে উঠেছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, এ স্বাধীনতা আমার ব্যর্থ হয়ে যাবে যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়। এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এদেশের মানুষ যারা আমার যুবক শ্রেণি আছে তারা চাকরি না পায় বা কাজ না পায়
২০১৫ সালে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ, ২০১৮ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি মিলেছে। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন এমনকি ২০১৫ সালে নিজের পিতার জন্মভূমি কেনিয়া সফরকালে বাংলাদেশকে অনুসরণের পরামর্শ দেন। জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব এন্টিনিও গুটেরাসও একই মন্তব্য করেন।
২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে দেশের মানুষের মাথাপিছু গড় আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৪ ডলার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ও মাথাপিছু আয়ের সাময়িক হিসাবে এই চিত্র উঠে এসেছে। বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি মুদ্রায় মানুষের মাথাপিছু আয় বছরে দাঁড়াচ্ছে গড়ে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ, মাসে গড় আয় প্রায় ১৪ হাজার ৬০০ টাকার মতো। এটা সহজেই অনুমিত যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে। ১৯৯১ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে দুই কোটিরও বেশি মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছে। স্বাধীনতার ৪৯ বছরে দেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে ৬০ শতাংশেরও বেশি। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরেও জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে খরস্রোতা উত্তাল পদ্মায় আজ বাংলাদেশের গর্ব। প্রমত্তা পদ্মায় ৬ হাজার ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু গড়েছে বাংলাদেশের নতুন এক দিগন্ত। বিশ্বের অন্যতম খরস্রোতা পদ্মার সাথে প্রকৃতির বিরূপ আচরণ এবং নানামুখী সমালোচনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে-বাংলাদেশ উঁচু করে কথা বলতে শিখেছে-এই দেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের দেশ। এই দেশ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ কাজ ছিল এটি। ৬.১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ সেতু এখন বাংলাদেশের বড় সেতু। এই সেতু প্রমাণ করেছে বাঙালি জাতি আর পিছিয়ে নেই। নিজস্ব অর্থায়নে বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষমতা রাখে।

https://youtu.be/Qq_i0OEC9XI

 

 

Related Articles

Back to top button