টাইমস ২৪ ডটনেট: নিজেদের তৈরিকৃত সর্বাধুনিক পারমাণবিক অস্ত্রবাহী সারামাত ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে রাশিয়া। পশ্চিমারা এ ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ‘শয়তান’ নামে ডাকে।রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২২ সালে জুনে ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার শত্রুরা হুমকি দেওয়ার আগে দুইবার ভাববে।’সর্বাধুনিক এ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রধান ইউরি বোরিসোভ। রুশ বার্তাসংস্থা টাস নিউজ জানিয়েছে, ‘বিশেষজ্ঞদের তথ্য অনুযায়ী, আরএস-২৮ সারামাত ১০ টন ওজনের এমআইআরভিইডি পারমাণবিক অস্ত্র (ওয়ার হেড) বিশ্বের যেকোনো স্থানে— উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে নিয়ে যেতে সক্ষম।’যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জন কিরবি শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছেন, রাশিয়ার এ ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের ব্যাপারে তারা এখনো নিশ্চিত নন।গত ফেব্রুয়ারিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন, খুব দ্রুত সময়ে এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হবে। এর আগে গত বছর তিনি বলেছিলেন, বহিঃবিশ্বের যেকোনো ধরনের হুমকি থেকে রাশিয়াকে রক্ষা করবে এই ক্ষেপণাস্ত্র এবং শত্রুরা রাশিয়াকে হুমকি দিতে দ্বিতীয়বার ভাববে।ন্যাটো ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ‘শয়তান’ নামে অবহিত করে থাকে। এ ক্ষেপণাস্ত্রটি খুবই কম সময়ের মধ্যে ছোড়া যায়। এ কারণে ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্তের যেসব প্রযুক্তি বর্তমানে বিশ্বে রয়েছে সেগুলো এটি শনাক্ত করতে হিমশিম খাবে।এই ক্ষেপণাস্ত্রের একেকটির ওজন ২০০ টন। ক্ষেপণাস্ত্রটির ১৮ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সক্ষমতা রয়েছে। রাশিয়া ৮০-র দশকে যেসব আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছিল সেগুলো জায়গায় নতুন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের জন্য সারামাত তৈরি করেছে।২০২২ সালের এপ্রিলে রাশিয়া এ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম পরীক্ষা চালিয়েছিল। এটি রাজধানী মস্কো থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরের প্লেসেস্কে অঞ্চল থেকে ছোড়া হয়েছিল এবং ক্ষেপণাস্ত্রটি নির্ভুলভাবে দেশটির সূদুর পূর্বাঞ্চলের কামাচকা উপদ্বীপের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছিল।রাশিয়ার দাবি এটি একসঙ্গে ১৫টির বেশি পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তাদের তথ্য অনুযায়ী এই ক্ষেপণাস্ত্রটির ১০টি পারমাণবিক অস্ত্র বহনের ক্ষমতা রয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা ও ঢাকা পোষ্ট।