টাইমস ২৪ ডটনেট: ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহৎ অঞ্চল খারকিভের কুপিয়ান্সকে কয়েকদিন ধরে অব্যাহত গোলাবর্ষণ করছে রুশ বাহিনী। আর পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সেখানকার ২৭টি বসতির সব বেসামরিক মানুষকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) রুশ বাহিনীর ছোড়া গোলায় এক নারীর মৃত্যু হয় বলে জানায় ইউক্রেন।রাশিয়া দাবি করেছে তাদের হামলার মুখে সেখানে পিছু হটেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে ইউক্রেন দাবি করেছে রুশ সেনাদের হামলা প্রতিহত করা হয়েছে। যুদ্ধে লিপ্ত দুই দেশের সেনাদের পাল্টাপাল্টি বিবৃতির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।কুপিয়ান্সক বিভাগ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, দুটি শহর ও ৩৫টি গ্রামের বাসিন্দাদের ইতোমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এখনো সেখানে যারা রয়ে গেছেন তাদের প্রতি সতর্কতা জারি করে কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘আপনার এবং প্রিয়জনের নিরাপত্তা উপেক্ষা করবেন না।’
তারা জানিয়েছে, সরিয়ে নেওয়া বাসিন্দাদের ইউক্রেনের ‘নিরাপদ’ অঞ্চলে রাখা হচ্ছে।কুপিয়ান্সকের কিভসারিভকা গ্রামের ৩৬ বছর বয়সী নারী বাসিন্দা আন্না কোরেস বার্তাসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, তিনি তার সন্তানদের নিয়ে গ্রাম ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু তার স্বামী নিজ বৃদ্ধা মায়ের জন্য থেকে যাবেন।তিনি বলেছেন, ‘তাদের রেখে চলে যাওয়ার বিষয়টি খুবই কঠিন। কিন্তু পরিস্থিতি যেহেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে, তখন শিশুদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
নিজেদের সর্বশেষ বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তাদের হামলাকারী বাহিনী কুপিয়ান্সকে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে সমর্থ হয়েছে। তবে ইউক্রেন এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
কুপিয়ান্সকে এবারই প্রথমবার বেসামরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। গত মার্চেও শিশু ও শারীরিকভাবে অক্ষমদের এই বিভাগ ছাড়তে বলা হয়েছিল। ওই সময়ও রুশ বাহিনী সেখানে গোলাবর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছিল।
কুপিয়ান্সক রসদ পরিবহনসহ বিভিন্ন কারণে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই কুপিয়ান্সক দখল করেছিল তার সেনারা। কিন্তু গত বছর সেপ্টেম্বরে ইউক্রেনীয় বাহিনীর অপ্রত্যাশিত পাল্টা আক্রমণে রুশ সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল।
সূত্র: বিবিসি ও ঢাকা পোষ্ট।