আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দক্ষিণ এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ও অংশীদার ভারতকে অত্যাধুনিক ম্যাকাব্রে হেলফায়ার আরএনএক্স ক্ষেপণাস্ত্র এবং সাবমেরিন বিধ্বংসী মার্ক ৫৪ অ্যান্টি সাবমেরিন টর্পেডো দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের ৩০ কোটি ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় ৩৭ হাজার ৬০০ কোটি রুপি) যে অস্ত্র ক্রয় চুক্তি হয়েছে, তার আওতায়তেই এসব অস্ত্র পাচ্ছে ভারত। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই চুক্তি করেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মূলত নৌবাহিনীকে আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করতেই করা হয়েছিল এই চুক্তি। ম্যাকাব্রে হেলফায়ার আরএনএক্স এবং মার্ক ৫৪ অ্যান্টি সাবমেরিন টর্পেডো ছাড়াও কয়েকটি এমএইচ ৬০ রোমিও হেলিকপ্টারও কিনছে ভারত।
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সবচেয়ে আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় ম্যাকাব্রে হেলফায়ার আরএনএক্সকে, যেটি সংক্ষেপে হেলফায়ার নামে পরিচিত। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীগোষ্ঠী আলকায়দার সাবেক প্রধান আইমান আল জাওয়াহিরি এবং ইরানের সেনা কর্মকর্তা কাশেম সোলায়মানিকে হত্যা করতে যুক্তরাষ্ট্র ব্যবহার করেছিল এই ‘গোপন অস্ত্র’।সেনাবাহিনীর প্রিডেটর ড্রোন থেকে ছোড়া হেলফায়ার ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিল জাওয়াহিরিকে। ‘নিনজা বোমা’ নামে পরিচিতি পাওয়া এই ক্ষেপণাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য হল লক্ষ্যবস্তুকে টুকরো টুকরো করে ফেলবে, কিন্তু জোরালো কোনও বিস্ফোরণ হবে না। ক্ষতি হবে না ‘মূল লক্ষ্যের’ আশপাশের বাড়িঘর এবং মানুষজনের।জাওয়াহিরি, সোলায়মানি ছাড়াও পশ্চিম এশিয়ায় আল কায়দার অন্যতম শীর্ষনেতা আবু আল-খায়ের আল-মাসরিকে হত্যা করতেও ধারালো ব্লেডযুক্ত এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছিল পেন্টাগন।
আমেরিকার সংস্থা লকহিড মার্টিনের তৈরি রোমিয়ো হেলিকপ্টার সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে থাকা শত্রু সাবমেরিন চিহ্নিত এবং ধ্বংস করায় পারদর্শী। সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে থাকা শত্রু ডুবোজাহাজ চিহ্নিত এবং ধ্বংস করায় পারদর্শী।এমএইচ ৬০ রোমিও হেলিকপ্টারেরও নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এই লকহেড মার্টিন। মূলত নৌবাহিনীর জন্যই তৈরি করা হয়েছে এই হেলিকপ্টার। শত্রু যুদ্ধজাহাজ ধ্বংস করা এবং সমুদ্রের বুকে নজরদারি, তল্লাশি এবং উদ্ধারকার্য চালাতেও অত্যন্ত দক্ষ এমএইচ ৬০ রোমিও। ভূমি বা বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজের পাশাপাশি, অপেক্ষাকৃত ছোট ক্রুজার এবং ডেস্ট্রয়ার জাতীয় রণতরী থেকেও ওঠানামা করতে পারে রোমিয়ো।