টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে একটি বাণিজ্যিক ভবনে রবিবার সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। শিরিন ম্যানশন নামে ওই ভবনে বিস্ফোরণের ফলে তিনতলার দেয়াল আংশিক ধসে পড়েছে। এ ঘটনায় তিন জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন, শফিকুজ্জামান, আব্দুল মান্নান ও তুষার। এ ছাড়াও আহত অন্তত ১৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে আশপাশের এলাকাও। তবে বিস্ফোরণের ঘটনাকে মগবাজারের বিস্ফোরণের ঘটনার মতো বলছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) বোম ডিসপোজাল ইউনিট। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, সায়েন্সল্যাব এলাকার ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা নাশকতা নয়, এটি একটি দুর্ঘটনা। বিস্ফোরণের ঘটনাটি বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে। সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও সায়েন্সল্যাবের শিরিন ম্যানশনের তৃতীয় তলায় বিস্ফোরণের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল। এইসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া।
জানা গেছে, রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে একটি বাণিজ্যিক ভবনে রবিবার সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে বিস্ফোরণে ভবনটি আংশিক ধসে পড়ে ও আগুন লেগে যায়। ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিটের চেষ্টায় সকাল ১১টা ১৩ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই বাণিজ্যিক ভবনের সামনে রিকশা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন চালক জিয়াউর রহমান। সকাল সাড়ে ১০টা ৫২ মিনিটে হঠাৎ বিকট শব্দ আসে তার কানে। ভবনের ওপর থেকে তার শরীরে ইট-সিমেন্টের ভাঙা অংশ পড়তে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে সেখান থেকে চলে যান তিনি। তার সামনেই অনেককে ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে যেতে দেখেন তিনি। এসময় দৌড়ে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেন পথচারীরা। প্রত্যক্ষদর্শী জিয়াউর রহমান আরও বলেন, আমি ভবনটির সামনেই দাঁড়ানো ছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে ভবন থেকে ইট-সিমেন্টের আবর্জনা আমার শরীরে এসে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে আমি দৌড় দেই। যারা দাঁড়ানো ছিল তাদের অনেকেই আহত হয়েছে। মনে করছিলাম আজ (রোববার) আমি শেষ। আমার মৃত্যু এখানেই। আল্লাহ আমাকে বাঁচাইসেন। ‘শিরিন ম্যানশন’ নামের ভবনটির তিনতলায় ছিল ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির একটি শাখা। সেখানে ছয় জন কাজ করছিলেন। তারা সবাই আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অফিসের ইনচার্জ আকবর, আশরাফ, আশা, স্বপ্না ও জোহুর হাফিজ শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। এছাড়া আরেকজনকে ভর্তি করা হয়েছে ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে। জোহুর হাফিজ বাদে বাকি সবাই গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহাবুব ই সোবহান। তিনি বলেন, আমাদের অফিসে তেমন দাহ্য পদার্থ ছিল না। দুই টন করে চার টনের দুটি এসি ছিল। এছাড়া আমরা এখন পর্যন্ত আর কিছু জানতে পারিনি।
তবে তিনতলা এই ভবনটির নিচতলা ও দ্বিতীয়তলায় বেশ কয়েকটি কাপড়ের দোকান রয়েছে। এছাড়াও এর পাশেই সুউচ্চ আবাসিক ভবন ও প্রিয়াঙ্গন শপিং মল রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, দুর্ঘটনার সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে পুরো এলাকায় গ্যাসের তীব্র গন্ধ ভেসে আসে। বিস্ফোরণে দেয়ালের ইট ও কাঁচ ছিটকে সড়কে পড়ে। এতে ফুটপাতে থাকা পথচারী ও সিএনজিচালকসহ ১৫ আহত হয়েছেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, বিস্ফোরণের ঘটনায় ১৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭ জন ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৮ জন।
ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালনরত রমনা জোনের ডিসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, কী কারণে বিস্ফোরণ, সুনির্দিষ্টভাবে এখনও তা বলা যাচ্ছে না। গতকাল রবিবার সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে তিনতলা ভবনটিতে বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে আগুন ধরে যায় এবং ভবনটির কিছু অংশ ধসে পড়ে। সকাল সোয়া ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। এ ঘটনায় আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় আহত হওয়া নিউ জেনারেশন নামে ওই প্রতিষ্ঠানের ওয়ার্কশপ ইঞ্জিনিয়ার খাইরুল বলেন, হেমায়েতপুরের ফ্যাক্টরি থেকে অফিসে এসেছিলাম একটা কাজে। তারপর হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। চোখের সামনেই তিনজন মারা গেছেন। গতকাল রোববার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের দিকে সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে নিউমার্কেটের দিকে যাওয়ার পথে প্রিয়াঙ্গন শপিং মলের পাশের ভবনে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাজধানীর সায়েন্সল্যাবের বিস্ফোরণের ঘটনায় কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। বিস্ফোরণের তীব্রতা এমনই ছিল যে, পাশের একটি ১৪তলা আবাসিক ভবন কেঁপে ওঠে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ভবনটির বাসিন্দারা।
ভবনটির সিকিউরিটি গার্ড আব্দুল কাদির বলেন, বিস্ফোরণের সময় ভবনের গেটে বসেছিলাম। বিস্ফোরণের তীব্রতা এমনই ছিল যে, ভবনসহ আমার চেয়ার কেঁপে ওঠে। এত পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়। এর কিছুক্ষণ পরই ভবনের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে নিচে নামতে থাকেন। পরে বের হয়ে দেখি তিনতলা ভবনটির সামনে মানুষজন পড়ে আছে এবং সব কিছু ভেঙেচুরে গেছে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন ভবনটির পাশের মার্কেট প্রিয়াঙ্গনের শপিং সেন্টারের দোকানিরা। সেখানে দোকানি সানাউল্লাহ বলেন, আমি মার্কেটে বসে নাশতা করছিলাম। হঠাৎ বিকট শব্দে চারদিকে কেঁপে ওঠে। দৌড়ে মার্কেটের ভেতর থেকে বের হই। বের হয়ে দেখি শিরিন ম্যানশনের তিনতলা উড়ে গেছে। নিচে ৪ থেকে ৫ জন মানুষ পড়ে আছে। তাদের মধ্যে তিনজনকে দেখে মনে হয়েছে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই। এখনও মাথার মধ্যে বিকট শব্দ ঘুরছে।
অপরদিকে, রাজধানীর সায়েন্সল্যাব এলাকায় তিনতলা ভবনে বিস্ফোরণের পর বন্ধ হয়ে যায় মিরপুর-সায়েন্সল্যাব-নিউমার্কেট সড়ক। প্রায় তিন ঘণ্টা পর সড়কে শুরু হয় যান চলাচল। পরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে আবারও বন্ধ হয়ে যায় সড়ক। এ ঘটনার পর রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সড়ক স্বাভাবিক হয়েছে। এরপর শুরু হয় সব ধরনের যান চলাচল। ফলে প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সড়ক স্বাভাবিক হলেও তীব্র যানজট ছড়িয়েছে পুরো রাজধানীতে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বিকেল ৪টার দিকে দেখা গেছে, রাজধানীর সায়েন্সল্যাব, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট ও আজিমপুর সড়কে ধীরগতিতে যানবাহন চলছে।
জানতে চাইলে নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল গণি সাবু বলেন, বিস্ফোরণের পর সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিন ঘণ্টা পর সড়ক স্বাভাবিক হলেও শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আবারও সড়ক বন্ধ হয়ে যায়। এখন সড়ক স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে বিস্ফোণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) ড. খ মহিদ উদ্দিন বলেন, বিল্ডিংয়ের অবস্থা এখন পর্যন্ত খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনটির তিনতলায় ছোট ছোট অফিস ও একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অফিস রয়েছে। যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমি মনে করি, এ মুহূর্তে ভবনটিতে কারও প্রবেশ করা উচিত হবে না। আমরা ঝুঁকি নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের কারণ বলা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, চারটি কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। একটি হলো শর্টসার্কিট, জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণ, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ও এসি বিস্ফোরণও হতে পারে। তবে, এ মুহূর্তে সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষে সঠিক কারণ জানা যাবে। হতাহতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমরা শুনেছি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পপুলার হাসপাতালসহ কয়েকটি হাসপাতালে মিলে ১৫ জন চিকিৎসাধীন, তাদের মধ্যে চার থেকে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। আর তিনজন মারা গেছেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ও সিটিটিসির বোম ডিসপোজাল দলের প্রধান রহমত উল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে সায়েন্সল্যাবের বিস্ফোরণের ঘটনাটি ২০২১ সালে ঘটে যাওয়া মগবাজারের বিস্ফোরণের মতো গ্যাস থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণ। ভবনটিতে কোনও না কোনোভাবে গ্যাস জমে ছিল। জমে থাকা গ্যাসের মাত্রা যদি ৫ থেকে ১১ ঘনফুট হয়, এটা যদি ট্রিগার হয়, তাহলে এ ধরনের বিস্ফোরণ হতে পারে। এটি ট্রিগার সুইচ, ফ্যানের সুইচ বা এসির সুইচের মাধ্যমেও হতে পারে। এটা গ্যাস থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণ হতে পারে। আর এত বড় বিস্ফোরণ গ্যাস থেকেই সৃষ্টি হয়ে থাকে। আমাদের নগরবাসীকে সচেতন থাকতে হবে বৈদ্যুতিক সুইচ ও গ্যাসের চুলা জ্বালানোর আগে। দরজা-জ্বালানা খুলে যেন কক্ষ থেকে আগে গ্যাস বিতাড়িত করা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, সায়েন্সল্যাব এলাকার ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা নাশকতা নয়, এটি একটি দুর্ঘটনা। বিস্ফোরণের ঘটনাটি বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে। সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ফেরার সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে আমরা একটা তদন্ত কমিটি করব। তদন্ত কমিটি ফায়ার সার্ভিস এবং ঘটনাস্থলে কাজ করা এক্সপার্টদের ওপিনিয়ন (মতামত) নেবেন। পরে তারা একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। প্রাথমিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মনে হচ্ছে এটি নাশকতা নয়, দুর্ঘটনা থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে। বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। ঘটনাস্থলে স্প্রিন্টার, বিস্ফোরক বা নাশকতার কোনো আলামত মিলেছে কি না জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, এখনো বিস্ফোরক বা স্প্রিন্টার জাতীয় কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান কমান্ডিং অফিসার মেজর মো. কায়সার বারী জানান, রাজধানীর সায়েন্সল্যাবের শিরিন ম্যানশনের তৃতীয় তলায় বিস্ফোরণের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের আলামত পাওয়া যায়নি। আমরা প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরক শনাক্তকরণ যন্ত্র দিয়ে ঘটনাস্থলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছি। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পর আমরা মনে করছি এ বিস্ফোরণ বিস্ফোরক দ্রব্যের মাধ্যমে সংঘটিত হয়নি। যদি বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার করা হতো তাহলে আমাদের যন্ত্রের মাধ্যমে সেটা বুঝতে পারতাম।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা যেকোনো ধরনের বিস্ফোরণ হতে পারে। তবে প্রকৃত কারণ জানার জন্য আমাদের আরও তদন্ত করতে হবে। আমরা যেহেতু বিস্ফোরক শনাক্ত করি আমাদের যন্ত্র দিয়ে, তাই প্রাথমিকভাবে আমরা বলতে পারি এখানে বিস্ফোরক দ্রব্যের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এখানে বারুদ বা আইইডি ব্যবহারের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। বিস্ফোরণের আসল কারণ আরও তদন্ত শেষে পরে জানা যাবে।