বাংলাদেশ

দুর্নীতিতে জড়ালে মুখ তুলে কথা বলার অধিকার থাকে না”— রামুতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবসে ইউএনও ফজলে রাব্বানী

এস.এম. হুমায়ুন কবির, কক্সবাজার থেকে : রামুতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদযাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা ও দুদক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের সূচনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফজলে রাব্বানী চৌধুরী এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন।

পতাকা উত্তোলন শেষে বেলুন-ফেস্টুন উড়ানো হয় এবং র‌্যালি ও মানববন্ধনের মাধ্যমে দুর্নীতিবিরোধী সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। দিনব্যাপী আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী ও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা অংশ নেন।

উপজেলা পরিষদের হিমছড়ি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও মো. ফজলে রাব্বানী চৌধুরী বলেন—
“আমাদের প্রত্যেককে, প্রতিটা ক্ষেত্রে দুর্নীতি থেকে দূরে থাকতে হবে। দুর্নীতিতে জড়ালে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলার মুখ থাকবে না। নগর পুড়িলে নিজের আশ্রয়েও টিকতে পারবো না। সরকারি কর্মকর্তাদেরও আত্মসমালোচনার মাধ্যমে নিজেদের সংশোধন করতে হবে। আমাকেও আমার অপরাধের দায় নিতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি সমাজের স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি এবং সমতার জন্য মারাত্মক হুমকি। তাই দুর্নীতি প্রতিরোধে সম্মিলিত প্রয়াস প্রয়োজন। পরিবার থেকে নৈতিক শিক্ষা, শিশুদের সৎ ও সৃজনশীল মানসিকতা গড়ে তোলার গুরুত্ব তিনি তুলে ধরেন।

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের ঐক্য: গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন রামু উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাস্টার মোহাম্মদ আলম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দুদক সহকারী পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্বরূপ মুহুরী। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর আহমদ, রামু থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ ফরিদ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ এবং সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

বক্তারা বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে জনসম্পৃক্ততার বিকল্প নেই। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সততার চর্চা বাড়াতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পরিবার পর্যন্ত সকল পর্যায়ে সচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি।

দিনব্যাপী কর্মসূচি সফল করতে রামুর সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নজর কাড়ে।

Related Articles

Back to top button