সোনালী জয়ন্তী বর্ষে ডিব্রুগড়ে সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদের চিত্র প্রদর্শনী :: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ৩৫ জন শিল্পীর অংশগ্রহণ

ডিব্রুগড় থেকে এম হাশিম আলী, ৫ ডিসেম্বর: ডিব্রুগড়ের আমোলাপট্টি নাট্যমন্দির প্রেক্ষাগৃহে সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদের অসম রাজ্যিক আঞ্চলিক চিত্র প্রদর্শনী ও সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। গৌরবময় ৫০ বছর অতিক্রম করে সোনালী জয়ন্তী বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে পরিষদ বিশ্বজুড়ে এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে নানা

অনুষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে। সেই উদ্দেশ্যে দুদিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে প্রয়াত তিনজন শিল্পী হৃদয়ের কাছের জুবিন গার্গ, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঁশিবাদক দীপক শর্মা এবং ডিব্রুগড়ের অজানা শিল্পী চৈয়্যদ চাদুল্লার প্রতিচ্ছবিতে প্রদীপ প্রজ্বালন ও পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।গুৱাহাটী থেকে আগত প্রিন্টমেকার এবং চিত্রশিল্পী আফতার আলি রাজা ছাত্র–ছাত্রীদের প্রিন্টমেকিং

কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। চিত্র প্রদর্শনীর দরজা উদ্বোধন করেন ডিব্রুগড় হনুমানবক্স সুরজমল কানই মহাবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপিকা ড০ ভারতী দত্ত। প্রদীপ প্রজ্বালন করেন অম্বরীশ ভট্টাচার্য এবং ড০ শান্তনু সেনগুপ্ত। প্রদর্শনীতে অসমের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত ৩৫ জন চিত্রশিল্পী অংশগ্রহণ করেন।দ্বিতীয় দিনে সমাবর্তন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের স্বাগত ভাষণ দেন সর্বভারতীয় সঙ্গীত ও সংস্কৃতি পরিষদের সম্পাদক ড. শান্তনু সেনগুপ্ত। উদ্বোধনী ভাষণ প্রদান করেন মাজুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক বিভাগের রেজিস্ট্রার ড০ বিনোদ চন্দ্র বরা। সাহিত্যাচার্য ড০ ভীমকান্ত বরৱাকে পরিষদের পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। প্রবীণ সাংবাদিক ইকবাল আহমেদও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অম্বরীশ ভট্টাচার্য এবং সনৎময় বৰুৱাকে আজকের সমাবর্তনে সম্মানিত করা হয়।

পরিষদের সঙ্গে ২০ বছর ধরে যুক্ত ব্যক্তিকে ‘জীবন জোড়া সাধনা বঁটা’, অনলাইন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান, এবং প্রথম পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষাগুরুদের ‘গুরুশ্রী বঁটা’ প্রদান করা হয়। ‘বিশারদ’ এবং ‘রত্ন’ উত্তীর্ণ ছাত্র–ছাত্রীদের সনদপত্রও প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিব্রুগড় কানই মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ড০ শশীকান্ত শইকিয়া। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন পরিষদের বিভিন্ন কেন্দ্রের ছাত্র–ছাত্রীরা। দুদিনের এই অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মৈত্রেয়ী বৰুৱা ভৌমিক এবং আয়েত্রী বৰুৱা। সমাপনী শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন উদ্যোক্তা, পরিষদের সমন্বয়ক এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী চুটাপা চৌধুরী।



