কবি আবদুল হাই মাশরেকীর ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল

মাখদুম সামি কল্লোল: বাংলা গানের জনপ্রিয় ধারাকে সমৃদ্ধ করা কিংবদন্তি কবি ও গীতিকবি আবদুল হাই মাশরেকীর ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল বৃহস্পতিবার। ‘আল্লাহ মেঘ দে পানি দে ছায়া দে রে তুই আল্লাহ’, ‘মাঝি বাইয়া যাও রে’, ‘আমার কাঙ্খের কলসি’, ‘প্রাণ সখিরে বাবলা বনের ধারে ধারে’—এ ধরনের হৃদয়স্পর্শী অসংখ্য গানের স্রষ্টা মাটি ও মানুষের এই কবি ১৯৮৮ সালের এই দিনে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার দত্তপাড়ায় নিজ গ্রামে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৯০৯ সালের ১ এপ্রিল ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের কাঁকনহাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আবদুল হাই মাশরেকী। শৈশব থেকেই তাঁর সাহিত্যচর্চা শুরু। দেশের সংস্কৃতি ও জনজীবনের টানাপোড়েন, কষ্ট, প্রেম–সবই উঠে এসেছে তাঁর গানে ও কবিতায়। বাংলা সাহিত্যে হত্যা-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কবিতাকে প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের পথিকৃৎ হিসেবেও তিনি পরিচিত।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কবির জন্মভূমি ঈশ্বরগঞ্জে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ‘আবদুল হাই মাশরেকী পরিষদ’-এর উদ্যোগে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, কোরআন তেলাওয়াত এবং মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া আগামী ১৩ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে ‘কবি আবদুল হাই মাশরেকী গবেষণা কেন্দ্র’ ও ‘জনপ্রশাসন’ পত্রিকার যৌথ উদ্যোগে ‘এসো গণতন্ত্র গড়ে তুলি নতুন দিনের’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক রেজাউদ্দিন স্টালিন।
বাংলা সাহিত্য ও সংগীতের ভুবনে আবদুল হাই মাশরেকীর অবদান এখনও সমানভাবে শ্রদ্ধেয় ও অনুপ্রেরণাদায়ী। তাঁর প্রয়াণ দিবসে সাংস্কৃতিক অঙ্গন আবারও স্মরণ করবে এক নিবেদিতপ্রাণ সৃষ্টি–মানুষকে, যিনি মাটি ও মানুষের ভাষায় লিখেছিলেন হৃদয়ের গান।



