উখিয়ায় বস্তাবন্দী অর্ধগলিত নারীর লাশ : চট্টগ্রামে র্যাব–১৫ এর অভিযানে স্বামী গ্রেফতার

এস এম হুমায়ুন কবির, কক্সবাজার থেকে : কক্সবাজারের উখিয়ার তচ্ছাখালী খাল থেকে বস্তাবন্দী অর্ধগলিত নারীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় প্রধান আসামি ও ভিকটিমের স্বামী জসিম উদ্দিন (৩৫)–কে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব–১৫। সোমবার (১ ডিসেম্বর ২০২৫) রাতে র্যাব–১৫ ও র্যাব–৭ এর যৌথ অভিযানে তাকে আটক করা হয়।

গত ১৩ নভেম্বর উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের তচ্ছাখালী খাল থেকে অজ্ঞাত নারীর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহটি রহিমা আক্তার (৩০)—এর বলে সনাক্ত করেন পরিবার। নিহত রহিমা উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের বাসিন্দা আমির হোসেনের মেয়ে এবং মরিচ্যা এলাকার জসিম উদ্দিনের স্ত্রী। পরিবার জানায়, রহিমা ৬ নভেম্বর রাত ১১টার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

র্যাব জানায়, ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় র্যাব–১৫ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ছায়া তদন্ত শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার ১ নম্বর আসামি জসিম উদ্দিনের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরে বোয়ালখালীর পূর্ব গোমদণ্ডী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব–১৫ এর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জসিম উদ্দিন স্বীকার করে, স্বামী–স্ত্রীর দীর্ঘদিনের পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তিনি। গত ৬ নভেম্বর সহযোগী এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি মোবারক–এর সহায়তায় সন্ধ্যায় রহিমাকে বাড়ির পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। পরে লাশ মাটিচাপা দেওয়া হয়। পরদিন ঘটনাস্থলের কাছে রক্ত দেখে এলাকার লোকজন সন্দেহ প্রকাশ করলে বিষয়টি আড়াল করতে রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে জসিম ও মোবারক লাশ তুলে বস্তাবন্দী করে তচ্ছাখালী খালে ভাসিয়ে দেয়।
ঘটনার পর নিহতের মা সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিন–চারজনকে আসামি করে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব–১৫ জানায়, আটক জসিম উদ্দিনকে হস্তান্তরসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।



