স্কয়ার কোম্পানির প্রাণী খাদ্যে ওষুধ প্রতারণা

টাইমস ২৪ ডটনেট, ঢাকা: মুরগির খাবারে দেশের প্রখ্যাত কোম্পানি স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালসের বিরুদ্ধে ওষুধ প্রতারণার ও অবৈধ রি-প্যাকিংয়ের অভিযোগে এনেছে অর্গানিক চিকেন নামের একটি প্রতিষ্ঠান।শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠানের এমডি ইমরুল হাসান। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ওই কোম্পানির চিফ মার্কেটিং অফিসার শাহেদ হাসান ও কনসালটেন্ট কনসালটেন্ট চয়ন কুমার বর্মা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইমরুল হাসান। তিনি বলেন, স্কয়ার কোম্পানির ওষুধ প্রতারণার কারণে আমার কোম্পানির বিপুল ক্ষতির শিকার হয়। তাদের অর্গানিক ফিড মুরগিকে খাওয়ালে আমার খামারে মুরগির মৃত্যুহার বেড়ে যায়। পরে এস নিয়ে পরীক্ষা করলে দেখা যায় তারা মুরগির ফিডে ওষুধের যে ডোজ উল্লেখ করেছে তা সঠিক ছিল না। প্যাকেটের গায়ে আন্ডার ডোজ হিসাব লেখা ছিল। পরে বিষয়টি নিয়ে তাদের জানাতে গেলে তারা অভিযোগ অস্বীকার করে। উল্টো আমরা ফার্মিং করতে পারি না। এসব অভিযোগ আনে। মুরগির ফার্মিং না জানার কারণে আমাদের মুরগি মারা গেছে। এমন যুক্তি তাদের।
তিনি আরো বলেন, তারা ১০০ পারসেন্ট অর্গানিক ফিড বলে যেটি সুইজারল্যান্ড থেকে আমদানি করত সেটি আসত একটি বস্তায় ভরে। তারা সেই বস্তা থেকে ফিডগুলোকে রিপ্যাকিং করে বাজারে বিক্রি করত। বস্তার গায়ে যে লেখা থাকতো তা রিপ্যাকিংয়ে থাকতো না। স্কয়ারের এই কর্মকাণ্ডে তারা বিপুল ক্ষতির শিকার হলে কোম্পানির ফিড লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানায় ও তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে বলেন।
তবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ক্যাটাগরি ২ লাইসেন্স এর দায়িত্বে থাকা উপ পরিচালক ড. শাহীনূর ইসলাম জানিয়েছেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্কয়ারকে ক্ষতিগ্রস্ত খামারি অর্গানিক চিকেনের স্বত্বাধিকারী প্রকৌশলী ইমরুল হাসান-এর সঙ্গে দ্রুত আলোচনায় বসে সমাধানের জন্য বলা হয়েছে। তবে খামারি অভিযোগ করেছেন, সমাধানের পরিবর্তে স্কয়ারের পক্ষ থেকে তাকে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। ইমরুল হাসান বলেছেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সমাধানের নির্দেশ দিলেও স্কয়ার এখন পর্যন্ত আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি, বরং আমার ব্যাপারে বিভিন্ন জায়গায় ফোন দিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানিয়েছে, বিষয়টি তাদের নজরদারিতে রয়েছে এবং দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করা হবে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত খামারি ইমরুল হাসান দৃঢ়ভাবে বলেছেন— স্কয়ারের ডোজ জালিয়াতির কারনে যাদের ক্ষতি হয়েছে তাদের তো অবশ্যই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, এটা তো কোন অন্যায় দাবী নয়। আমরা আশাকরি হাজারো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে এই ধরনের অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া হবে না।



