খিলক্ষেত ৪৩নং ওয়ার্ডে নিষিদ্ধ নেতাদের মুক্ত বিচরণে প্রশাসনের নীরাবতা

বিশেষ প্রতিনিধি : রাজধানীর খিলক্ষেত থানার ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে আবারও অস্থিরতার গন্ধ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এই ওয়ার্ডে বর্তমানে ডজনেরও বেশি বিতর্কিত ও নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক সংগঠন আ.লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগের নেতাকর্মী প্রকাশ্যেই সক্রিয় রয়েছেন।নাগরিকদের প্রশ্ন,যাদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে, তারা কীভাবে এখনো এলাকায় অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে?আইনের প্রয়োগ কি কেবল সাধারণ নাগরিকদের ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ?
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই বিতর্কিত ব্যক্তিরা গোপনে রাজনৈতিক জমায়েত, ক্ষমতার প্রদর্শন এবং প্রভাব বিস্তারমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকলেও প্রশাসন কার্যত নীরব। বরং অনেকে আশঙ্কা করছেন, এলাকাজুড়ে এক ধরনের নীরব মদদ কাজ করছে।বিষয়টি জানতে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির মুঠোফোনে অসংখ্যবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।ফলে রাজনৈতিক সমঝোতা বা নেপথ্যের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন আরও গভীর হয়েছে। স্থানীয়দের বলেন, যারা ক্ষমতার পালাবদলে টিকে থাকে তারা সবাই কোনো না কোনোভাবে এই অদৃশ্য সমঝোতারই অংশ।
খিলক্ষেতের বর্তমান পরিস্থিতি ঢাকার উপনগরাঞ্চলগুলোর বৃহত্তর রাজনৈতিক টানাপোড়েনের প্রতিচ্ছবি। মামলার আসামি কিংবা নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যদি প্রকাশ্যে সক্রিয় থাকতে পারে, তবে প্রশ্ন উঠবে —আইনের শাসন আসলে কার জন্য?প্রশাসনের নীরবতা কি নৈতিক দায় এড়ানোর চেষ্টা?



